কী কান্ড! — মৈত্রেয়ী নাগঃ১ম অংশ

ট্রেনের দুলুনিতে দিব্যি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ ট্রেনটা থেমে যাওয়ায় জেগে গিয়ে চোখ খুলেই আঁতকে উঠলাম। সামনের অন্ধকারের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে একজোড়া সবুজ চোখ। শুধু তাই না, চোখদুটো অপলক চেয়ে আছে আমার দিকেই। আমার উল্টোদিকের বাঙ্কে যদ্দূর মনে পড়ছে কেউ ছিল না, যেমন খালি ছিল আমার ঠিক তলার বাঙ্কটাও। আমি চট করে চোখ বুজে ফেলে শুয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

কী কান্ড! — মৈত্রেয়ী নাগঃশেষ অংশ

  এদিকে ট্রেন থেকে এত লোক নেমেছে একসঙ্গে যে, একটা রিকশাও নেই স্ট্যান্ডে। আগেও দেখেছি গরম বেশি পড়লে, যখন দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়, তখনই রিকশাগুলো কোথায় হারিয়ে যায়। নইলে তাদের প্যা- পো শব্দে কান তোলা হয়ে যাওয়ার জোগাড়! বিরক্ত হয়ে সবে ভাবছি বেড়াল পরিবারটিকে ব্যাগসমেত বটগাছটার তলায় নামিয়ে দেব কিনা, এমন সময় একটা ধূলিধূসর টাটা … বিস্তারিত পড়ুন

ছাল-ছাড়ান বাঘ–রৈলোক্য নাথ মুখোপাধ্যায়

এইরূপে চারিদিকে আমি দেখিয়া বেড়াইলাম। বলা বাহুল্য যে, আমাকে কেহ দেখিতে পাইল না সূক্ষ্ম শরীর অতি ক্ষুদ্র, হাওয়া দিয়া গঠিত সূক্ষ্ম শরীর কেহ দেখিতে পায় না। একে যমদূতের ভয়, তাহার উপর আবার এই সমুদয় হৃদয়-বিদারক দৃশ্য। সে স্থানে আমি অধিকক্ষণ তিষ্ঠিতে পারিলাম না। আমি ভাবিলাম,-‘দূর কর! বনে গিয়া বসিয়া থাকি। সুন্দরবনে মনুষ্যের অধিক বাস নাই, … বিস্তারিত পড়ুন

আইনস্টাইনের ভর্তিযুদ্ধ —– মোঃ জাহিদুল ইসলাম

আলবার্ট আইনস্টাইনের মন আজ ভীষণ খারাপ। সকাল থেকেই তার টেনশন হচ্ছিল। বুয়েট এডুকেশান বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখল, পদার্থবিজ্ঞান সাবজেক্টে তার এ প্লাস তো দূরের কথা পাস নাম্বারটাই মিস্ হয়ে গেছে। তার জিপিএ-F! এটা কোনো কথা হলো! বুয়েট মিস মানে জীবন মিস , বউ মিস, সুনাম মিস। তাহলে ! সারাদিন ভাঙা লোহা-লস্কর নিয়ে কাজ করে টেসলার … বিস্তারিত পড়ুন

হাসির গল্প – বনফুল

খুব ছোট ছোট করিয়া মাথায় চুল ছাঁটা, স্থানে স্থানে মাংস বাহির করা। উহার উপর মাথা ও কপাল বেষ্টন করিয়া কয়েক ফেরতা টোয়াইনজাতীয় সুতা বেশ জোরে বাঁধা থাকাতে রগের শিরাগুলি স্ফীত এবং চক্ষু দুইটি লাল। এইখানেই বিসদৃশতার শেষ হয় নাই। রোমশ নাসারন্ধ্রে কফ ও নস্য মিলিয়া দৃষ্টিকটুতার সৃষ্টি করিয়াছে, এবং তাহা কয়েক দিনের না-কামানো দাড়িগোঁফের সহযোগে … বিস্তারিত পড়ুন

মেথরের হাঁড়ি — মোহাম্মদ আবু আখতার

এক ভদ্রলোক ট্রেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। তার পাশেই ছিলেন সাধারণ পোশাক পরিহিত এক মাওলানা সাহেব। পথে পানির প্রয়োজন পড়তে পারে মনে করে মাওলানা সাহেব একটি মাটির হাঁড়িতে   পানি নিয়েছিলেন। তা দেখে ভদ্রলোক বললেন- হুজুর! মেথরের মতো এ কেমন ভান্ড নিয়ে এসেছেন আপনি? মাওলানা ছিলেন সরল প্রকৃতির। তাই তিনি নম্রভাবে বললেন, ‘ভাই! যেমন মানুষ তেমনি তার … বিস্তারিত পড়ুন

পাত্রী দেখা

বিয়ের যেহেতু বয়স হয়েছে, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বিয়েটা করেই ফেলব। বিয়েতো আর এমনি এমনি করা যাবে না। তার জন্য মেয়ে খুঁজে বের করতে হবে। এই কাজে অত্যন্ত দক্ষ আমার এক দুলাভাই আছেন, যার ওপর পড়ল আমার জন্য বউ খোঁজার ‘গরু দায়িত্ব’। গরু দায়িত্ব এজন্য বললাম, হারানো গরু খুঁজতে যে কষ্ট সহ্য করতে হয় বউ খুঁজে … বিস্তারিত পড়ুন

আরে অর্থাৎ

আমাদের স্কুলের বুড়ো হেড পন্ডিতমহাশয় মরিয়া গেলে যিনি নূতন হেডপন্ডিত নিযুক্ত হইয়া আসিলেন, তাঁহার নামা শ্রীরমানাথ বিদ্যাভূষণ। তিনি সংস্কৃত কলেজ হইতে বি.এ. পাশ করিয়াছিলেন। নূতন পন্ডিত মহাশয়ের বয়স বেশি নহে- বোধ হয়, তেইশ-চব্বিশ বৎসর হইবে। বয়স কম হইলেও তিনি খুব পন্ডিত ছিলেন, পড়াইতেও খুব ভাল পারিতেন। কিন্তু তাঁহার একটা মুদ্রাদোষ বড়োই প্রবল ছিল। তিনি একটা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!