ভাগা ভাগি

বাপ মরিয়া গিয়াছে। দুই ভাই পৃথক হইবে । বড়ভাই ছোটভাইকে বলিল, “দেখ, আমাদের একটিমাত্র গাই আছে, কাটিয়া ত আর দুই ভাগ করা যাইবে না। তুই ছোটভাই । তোকেই গাই’র বড় ভাগটা দেই । তুই গাই’র মুখের দিকটা নে । আর আমি গাই’র লেজের দিকটা লই ।” ছোটভাই ভারি খুশি! বড়ভাই যে তাহাকে ভাল ভাগটা দিয়াছে, … বিস্তারিত পড়ুন

দুটি বাজে গল্প – সুকুমার রায়

দুই বন্ধু ছিল। একজন অন্ধ আর একজন কালা। দুইজনে বেজায় ভাব। কালা বিজ্ঞাপনে পড়িল, আর অন্ধ লোকমুখে শুনিল, কোথায় যেন যাত্রা হইবে, সেখানে সঙরা নাচগান করিবে। কালা বলিল, ‘অন্ধ ভাই, চল যাত্রায় গিয়া দেখি।’ অন্ধ হাত নাড়িয়া গলা খেলাইয়া কালাকে বুঝাইয়া দিল, ‘কালা ভাই, চল যাত্রায় নাচগান শুনিয়া আসি।’ দুইজনে যাত্রার আসরে গিয়া বসিল। রাত … বিস্তারিত পড়ুন

ডাকাতের হাতে – তারাপদ রায়

এতক্ষণ ভদ্রলোককে কেউই লক্ষ করেনি। ভদ্রলোক মেজের এক প্রান্তে দেয়াল ঘেঁষে গালে হাত দিয়ে বসে ছিলেন। ঘরময় দুরন্ত উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা। পুলিসের লোক, খবরের কাগজের লোক—কে কাকে লক্ষ করে! একটু আগে বাজারের পেছনে ব্যাঙ্কের এই একতলার ঘরে ডাকাতি হয়ে গেছে। পুলিসের কর্তারা ব্যাঙ্কের এজেন্ট ও ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে ডাকাতির বিবরণ ও অপহূত অর্থের পরিমাণ জেনে … বিস্তারিত পড়ুন

রাতের অতিথি– শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

‘- গোপালবাবু যে! শুনলুম কাল রাতে আপনার বাড়িতে চোর এসেছিল! — ওঃ সে কী কান্ড মশাই। চোর বলে চোর! সাংঘাতিক চোর! — চোর-ডাকাতরই যুগ পড়েছে মশাই। চারদিকে চুরির একেবারে মচ্ছোব পড়ে গেছে। কী চুরি হচ্ছে না বলুন। সোনা- দানা, টাকা পয়সা, বাসনকোসন, জামাকাপড়, এমনকি জুতো, ঝাঁটা, বস্তা, পাপোষ যা পাচ্ছে চেঁছেপুঁছে নিয়ে যাচ্ছে। পরেশবাবুর বাড়িতে … বিস্তারিত পড়ুন

সেই ছেলেটি -রাকিব উদ্দীন

গ্রামের নাম করুনা নগর। খবুই সুন্দর গ্রাম। দেখতে ছবির মতো। এই গ্রামেরই পূর্ব কোণে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের বসবাস। ভালোই জমিজমা আছে তাদের। উত্তরাধিকার সূত্রেই তারা এখানে বসবাস করে। অন্য আট-দশটি পরিবার থেকে ভিন্ন তাদের জীবনযাপন। বাবা এবং মা দু’জনই পেশায় শিক্ষকতা করেন। ১৫ নভেম্বর ১৯৯৫ সাল। রাত ১০টা। আকাশে এক ফালি চাঁদ হেসে আছে। এই … বিস্তারিত পড়ুন

হযবরল || সুকুমার রায় ||

বেজায় গরম। গাছতলায় দিব্যি ছায়ার মধ্যে চুপচাপ শুয়ে আছি, তবু ঘেমে অস্থির। ঘাসের উপর রুমালটা ছিল, ঘাম মুছবার জন্য যেই সেটা তুলতে গিয়েছি অমনি রুমালটা বলল “ম্যাও!” কি আপদ! রুমালটা ম্যাও করে কেন? চেয়ে দেখি রুমাল তো আর রুমাল নেই, দিব্যি মোটা-সোটা লাল টক্টকে একটা বেড়াল গোঁফ ফুলিয়ে প্যাট্ প্যাট্ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে! … বিস্তারিত পড়ুন

হাসান ও পবিত্র হাসির গল্প

একশ টাকার ভাংতি নাই।কথাটি বলে শেষ করতে না করতেই লোকটি চোখ গরম করে বলল,একশ টাকার ভাংতি দিতে না পারলে,দোকান দিয়ে রাখছ কেন? লোকটির চেহারায় ভদ্রতার ছাপ সুস্পষ্ট।সুন্দর শার্ট-প্যান্ট পড়ে আছে,উচ্চারণ ভালো,শুধু ব্যবহার খারাপ।আমি চোখে মাসুম বাচ্চাদের মতো হাসি ফুটিয়ে তুললাম।ভাইজান,মাত্র তিন টাকা বিল হয়ছে,এই টাকার জন্য ভাংতি কেমনে দিই?এক কাজ করেন,কার্ড নিয়া যান। ওই ব্যাটা,এত … বিস্তারিত পড়ুন

স্বপ্ন

স্বপ্নকে আরবিতে হিলমুন, ফার্সিতে খাব এবং ইংরেজিতে ড্রিম বলে। সজাগ থেকে স্বপ্ন দেখা যায় না। আমরা ঘুমিয়ে যা দেখি তা স্বপ্ন নয়, বরং যা আমাদের ঘুমোতে দেয় না তাই স্বপ্ন। সবাই স্বপ্নপ্রেমি। সবাই স্বপ্ন দেখতে বড্ড ভালোবাসি। কেউ কেউ স্বপ্ন দেখাতে আবার বেশ ভালোবাসেন। স্বপ্নরাজ্য কারো পৈত্রিক সম্মতি নয়। এখানে কারো বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন চলে না। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখীরাম-১ম অংশ

দুঃখীরাম খুব গরীব ঘরের ছেলে ছিল। সকলে তাহাকে দুঃখীরাম বলিয়া ডাকিত, কিন্তু তাহার এর চাইতে ঢের ভাল একটা নাম ছিল-সেটা আমি ভুলিয়া গিয়াছি। দুঃখীরামের যখন দুই বৎসর বয়স, তখন তাহার মা-বাপ মরিয়া গেল। পৃথিবীতে তাহার আপনার বলিতে আর কেহই ছিল না, খালি ছিল মামা কেষ্ট। দু বছরের ছেলে দুঃখীরাম মামার খবর কিছুই জানিত না, তাহার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!