হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–চতুর্থ অংশ

বড় রাস্তার ফুটপাতে উবু হয়ে বসে বয়স্ক এক ভদ্রলোক ঠোঙ্গা থেকে বাদাম নিয়ে নিয়ে খাচ্ছেন। খাওয়ার ব্যাপারটায় বেশ আয়োজন আছে। খোসা থেকে বাদাম ছড়ানো হয়। খোসাগুলি রাখা হয় সামনে। ভদ্রলোক অনেকক্ষণ বাদামে ফুঁ দিতে থাকেন। ফুঁয়ের কারণে বাদামের গায়ে লেগে থাকা লাল খোসা উড়ে যায়। তখন তিনি অনেক উপর থেকে একটা একটা করে বাদাম তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

বন্ধু

হ্যালো.. নাহিদ !! -হ্যালো.. কে বলছেন ? -শালা আমারেই ভুইলা গেলি ! -তুই কল্লোল না ! -হুম ভুলেই তো গেছিস.. -আরে গত মাসে ফোনটা হারিয়ে গেসে সাথে সিমটাও তাই কারো খবরই নিতে পারি নাই.. -কই তুই ? -আগের বাসাতেই.. -ঐ যে মালিবাগের ঐটাতেই ! -হুম তুই কি ঢাকায় নাকি ? -হ আসলাম আর কি ! … বিস্তারিত পড়ুন

কোরবানী — জাহিদুজ্জামান

ছোট বেলা আমার একটা গরু ছিল স্কুল থেকে ফিরে ছুটে যেতাম তার কাছে। আমাকে দেখলেই মাথা তুলে তাকাত। আমি দড়ি ধরে তার পিছন পিছন হাঁটতাম। গরুটা ঘাস খেত আর গলার ঘণ্টা বাজত। আমি কাছে থাকলেই মনে হয় ঘণ্টাটা সে বেশি করে বাজাত, ঘাস খেত আর ঘণ্টা বাজাত; আমি তার কাছে চুপ করে বসে থাকতাম। আমার … বিস্তারিত পড়ুন

তিনবন্ধুর কথা − মৃন্ময় চক্রবর্তী

হারান, কানাই, মনিরুল রায়পুকুরের পাড়ে বসে আছে। পুকুরের চারপাশে তালবন। জলে অজস্র চাঁদমালা ফুটেছে, অপূর্ব তার শোভা। তিন প্রাণবন্ধু মাঝে মাঝেই এই নির্জনে এসে বসে গল্প করে, নিষিদ্ধ কাজ সারে। ওদের সামনে পদ্মপাতার উপরে নাচ করে ডাহুক। ভর দুপুরে বুনো ঝোপ থেকে শিয়াল বেরিয়ে অবাক হয়ে ওদের দেখে, আবার চলে যায়। জায়গাটা গ্রামের প্রান্তে। এখানে … বিস্তারিত পড়ুন

চৌহদ্দি — সৈয়দ ওমর হাসান

মালেক হুজুর উত্তর ভেদুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পৌরনীতির প্রভাষক। লম্বা জুব্বা আর চুড়িদার পাজামা পরেন সবসময়। মাথায় পরেন সাদা নেটের টুপি। মালেক হুজুরের চেহারা কৃষ্ণবর্ণ। লম্বা দাড়িতে ঈষৎ পাক ধরেছে তার। গোঁফজোড়া ছোট করে ছাঁটা। বয়স চল্নিশের কোঠায়। তার চেহারা কৃষ্ণবর্ণ হলেও মলিন নয়। চেহারায় উজ্জ্বলতা আছে যাকে নূরানী ছাট বলা যায়। কেউ অব্যাহতভাবে ধর্মকর্ম করলে … বিস্তারিত পড়ুন

আমার বেলা যে যায় —দেবাশিস কোনার

আমি এখন হাওয়ায় উড়ছি । উঠতি বয়েস । মা-বাবার কথা শুনছি না । এদিক সেদিক করে একটা দুচাকা মটোর সাইকেল কিনে টো টো করে ঘুরছি দিন রাত । সকলেই যে যার কাজে ব্যস্ত । কারোর আমার দিকে নজর দেবার সময় বা ইচ্ছা কোনটাই নেই । সুতরাং আমি বিন্দাস আছি । কেবল মা মাঝে মাঝে আমাকে … বিস্তারিত পড়ুন

স্কুলের ছুটিতে দু’জনে

হাবলু চল মাছ মারতি যাই। প্রস্তাব ছুঁড়ে দেয় আলাল। কথাটা মন্দ না। আজতো শুক্রবার ইস্কুল ছুটি অতএব যাওয়া যায়। চল যাই। আলালের সাথে করে কেঁচো খুঁড়তে বেরোয় দুজন। মাছের প্রিয় হলো লাল কেঁচো। দেখতে ভাল হতে হবে। না হলে তিঁনিরা খাননা। এমনিতেই আলালের সাথে মাছ ধরে পারেনা হাবলু। এর জন্য খুবই কষ্ট হয় হাবলু’র। কারণ … বিস্তারিত পড়ুন

কষ্মিন কালের কথা

আমি বেশ কয়েকবার বাড়ী থেকে পালিয়েছি। বাড়ী থেকে পালানোটা আমার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর মনে হতো। আমি ব্যপারটা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতাম। আমি খুব ছোট বেলা থেকে বাড়ী পালানো শুরু করেছি। প্রথম প্রথম ছোট খাট পালানো পালাতাম। যেমন আব্বুর ভয়ে আসরের দিকে আমি আর নেই। সবাই খোঁজাখুজি শুরু। আর আমি সেটা দেখে বেশ পজা পেতাম। তখন … বিস্তারিত পড়ুন

হরিণের হৃৎপিণ্ড

রুম থেকে বুকশেলফটা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে, সব বই নামাতে হচ্ছে। হঠাৎ হাতে লাগল ছোটবেলার প্রিয় একটা বই। এটা এখনও বাসায় আছে ! অবাক হলাম। এই বইটা পড়তে পড়তে ঘুমাতে যেতাম প্রতিদিন। কয়বার যে বইটা পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই। বইটা রাস্তা থেকে কেনা, নাম “ঘুমপাড়ানী গল্প” । কোন লেখক এর নাম নেই, সম্পাদনায় “আবুল বাশার”। সূচীপত্রে … বিস্তারিত পড়ুন

বনের ধারে নদীর পারে

বনের ধারে নদীর পারে রহিমদের বাড়ি। গাঁয়ের নাম মকুলি। সেখানে আবার কয়লার খাদ। সেই খাদে কাজ করে রহিমের বাবা। মকুলিগাঁয়ের পাশের গ্রাম- নওয়াডি। সেখানে রামেদের বাড়ি। রামের বাবা রোজ আসে মকুলি। রহিমের বাবার সাথে একসঙ্গে কাজ করে। রহিমের বাবা প্রতি রোববার আসে রহিমদের বাড়ি। সঙ্গে আসে ছোটো ছেলে রহিম। ঠিক পরের রোববার রামের বাবা আসে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!