জুতা চোর

কী ব্যাপার করিম সাহেব, মন খারাপ মনে হয়? যাকে প্রশ্নটা করলাম তিনি আমাদের পাড়ার শ্রদ্ধাস্পদ একজন ব্যক্তি। অঢেল টাকা-পয়সা থাকা সত্বেও এলাকায় তাকে সবাই ভাল মানুষ বলেই জানে। আমার সাথে তার পরিচয় খুব বেশী দিনের না। দুমাস আগে এ পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে আসি। আমার মতো তিনিও মধ্য বয়সের। বয়স জনিত রোগবালাই এড়াবার জন্য প্রতিদিন … বিস্তারিত পড়ুন

এক ঠকের পাল্লায় তিন ঠক —জসিম উদ্দিন– পঞ্চম পর্ব

এদিকে ছদ্মবেশী ঠক পীরবাবা বাড়িতে বসে ভাবতে লাগল কি করা যায়। কারণ তিনি জানতেন যে ঘোড়ার মলের সাথে পয়সা না পেয়ে তারা তিন জন অবশ্যই আসবে। ঠক পীরবাবা তার বাড়ির পেছনে জঙ্গলে বসে বসে ভাবতে লাগলেন এখন কি করা যায়। তিনি ভাবতে লাগলেন যে, এবারো একটি অলৌকিক কিছু করে দেখাতে হবে। যাতে তার প্রতি তাদের … বিস্তারিত পড়ুন

মজার দুষ্টু বিদ্রোহ

মধুমতি নদী থেকে উঠে আসা বড়খালের জোয়ার ভাটার পানিতে সাঁতার কাটার সময় ওরা এক আলাদা জগত তৈরি করে। ওরা সবাই প্রায় কিশোর বয়সের। তবে ভালো সাঁতার জানা ছোটদের কেউ কেউও ওই খেলায় খেলার সুযোগ পায়। দেখলে মনে হবে ওরা বুঝি পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দদায়ক ওই খেলা খেলছে আর সে খেলায় ওরাই সবচেয়ে সেরা। এই খেলায় অন্যসব … বিস্তারিত পড়ুন

আদুভাই– আবুল মনসুর আহমদ– ১ম অংশ

এক আদুভাই ক্লাস সেভেনে পড়তেন। ঠিক পড়তেন না বলে পড়ে থাকতেন বলাই ভাল। কারণ ঐ বিশেষ শ্রেণি ব্যতীত আর কোন শ্রেণিতে তিনি কখনো পড়েছেন কি না, পড়ে থাকলে ঠিক কবে পড়েছেন, সে কথা ছাত্ররা কেউ জানত না। শিক্ষকরাও অনেকে জানতেন না বলেই বোধ হত। শিক্ষকরাও অনেকে তাঁকে ‘আদুভাই’ বলে ডাকতেন। কারণ নাকি এই যে, তাঁরাও … বিস্তারিত পড়ুন

আদুভাই– আবুল মনসুর আহমদ– ২য় অংশ

দুই ডিসেম্বর মাস। সব ক্লাসের পরীক্ষা ও প্রমোশন হয়ে গিয়েছে। প্রথম বিবেচনা, দ্বিতীয় বিবেচনা, তৃতীয় বিবেচনা ও বিশেষ বিবেচনা ইত্যাদি সকল প্রকারের ‘বিবেচনা’ হয়ে গিয়েছে। ‘বিবেচিত’ প্রমোশন-প্রাপ্তের সংখ্যা অন্যান্য বারের ন্যায় সে-বারও পাশ-করা প্রমোশন-প্রাপ্তের সংখ্যার দ্বিগুণেরও ঊর্ধ্বে উঠেছে। কিন্তু আদুভাই এসব বিবেচনার বাইরে। কাজেই তাঁর কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। টেস্ট-পরীক্ষা দিয়ে আমরা টিউটরিয়েল ক্লাস করছিলাম। … বিস্তারিত পড়ুন

আদুভাই– আবুল মনসুর আহমদ– ৪র্থ অংশ

 চার আমি সেবার বিএ পরীক্ষা দেব। খুব মন দিয়ে পড়ছিলাম। হঠাৎ লাল লেফাফার এক পত্র পেলাম। কারো বিয়ের নিমন্ত্রণ-পত্র হবে মনে করে খুললাম। ঝরঝরে তকতকে সোনালি হরফে ছাপা পত্র। পত্র-লেখক আদুভাই। তিনি লিখেছেন : তিনি সেবার ক্লাস সেভেন থেকে ক্লাস এইটে প্রমোশন পেয়েছেন বলে বন্ধু-বান্ধবদের জন্য কিছু ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করেছেন। দেখলাম, তারিখ অনেক আগেই চলে … বিস্তারিত পড়ুন

রসগোল্লা

‘চুঙ্গিঘর কথাটা বাঙলা ভাষাতে কখনও বেশি চালু ছিল না বলে আজকের দিনে অধিকাংশ বাঙালী যদি সেটা ভুলে গিয়ে থাকে তবে তাই নিয়ে মর্মাহত হবার কোনো কারণ নেই। ইংরেজিতে একে বলে ‘কাস্টম্ হাউস’, ফরাসিতে ‘দুয়ান, জার্মানে ৎস্ল্-আম্ট্, ফার্সিতে ‘গুমরুক্’ ইত্যাদি। এতগুলো ভাষাতে যে এই লক্ষ্মীছাড়া প্রতিষ্ঠানটার প্রতিশব্দ দিলুম, তার কারণ আজকের দিনে আমার ইয়ার, পাড়ার পাঁচু, … বিস্তারিত পড়ুন

খৃষ্টবাহন – সুকুমার রায়

তার নাম অফেরো। অমন পাহাড়ের মত শরীর, অমন সিংহের মত বল, অমন আগুনের মত তেজ, সে ছাড়া আর কারও ছিল না। বুকে তার যেমন সাহস, মুখে তার তেমনি মিষ্টি কথা। কিন্তু যখন তার বয়স অল্প, তখনই সে তার সঙ্গীদের ছেড়ে গেল; যাবার সময় বলে গেল, “যদি রাজার মত রাজা পাই, তবে তার গোলাম হয়ে থাকব। … বিস্তারিত পড়ুন

গোলরুটি- রূশদেশের উপকথা

এক ছিল বুড়ো আর বুড়ি। একদিন বুড়িকে বুড়ো ডেকে বলল: “ও বুড়ি একবার হাঁড়িটা ছেঁচে, ময়দার টিন ছেড়ে বেছে দেখ না, একটু ময়দা পাস কিনা। একটা গোল রুটি করে দিবি? বুড়ী কখন একটা মোরগের পাখনা নয়ে বসে গেল। হাঁড়ি ছেঁচে, ময়দার টিন ঝেড়ে, কোন রকমে দুমুঠো ময়দা বের করল। ময়ান দিয়ে বুড়ী ময়দাটুকু ঠাসলো। তারপর … বিস্তারিত পড়ুন

সবজান্তা – সুকুমার রায়

আমাদের ‘সবজান্তা’ দুলিরামের বাবা কোন একটা খবরের কাগজের সম্পাদক । সেই জন্য আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে তাহার সমস্ত কথার উপরে অগাধ বিশ্বাস দেখা যাইত । যে কোন বিষয়েই হোক, জার্মানির লড়াইয়ের কথাটাই হোক আর মোহনবাগানের ফুটবলের ব্যাখ্যাই হোক, দেশের বড় লোকদের ঘরোয়া গল্পই হোক, আর নানারকম উৎকট রোগের বর্ণনাই হোক, যে কোন বিষয়ে সে মতামত … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!