হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–৫ম অংশ

নীতুর সাইকিয়াট্রিস্ট ভদ্রলোকের নাম ইরতাজুল করিম। নামের শেষে বি সি ডি অনেক অক্ষর।এতগুলি অক্ষর যিনি জোগাড় করেছেন তাঁর অনেক বয়স হবার কথা, কিন্তু ভদ্রলোক মধ্যবয়স্ক এবং হাসিখুশি। মুখে জর্দা দেয়া পান। বিদেশি ডিগ্রীধারী ভদ্র্রলোকেরা জর্দ্দা দেয়া পান খান না। আর খেলেও বাড়িতে চুপিচুপি খান। কেউ এলে দাঁত মেজে বের হন। এই ভদ্রলোক দেখি বেশ আয়েশ … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–৬ষ্ঠ অংশ

মোরশেদ সাহেব সম্ভবত বাসায় ফেরেননি। এখন সবে সন্ধ্যা। যাদের ঘরে কোনো আকর্ষণ নেই তারা সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফেরে না। ঠিক সন্ধ্যায় তারা একধরনের অস্থিরতায় আক্রান্ত হয়। এই অস্থিরতা শুধু মানুষের বেলাতেই যে হয় তা না—পশুপাখিদের ক্ষেত্রেও হয়। সেই কারণেই হয়তো সব ধর্মে সন্ধ্যা হল উপাসনার সময়। মনের অস্থিরতা দুর করে মনকে শান্ত করার এক বিশেষ প্রক্রিয়া। … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–৭ম অংশ

এমা দরজা খুলে তাকিয়ে রইল। মনে হচ্ছে আমাকে চিনতে পারছে না। মাফলার দিয়ে মাথা ঢাকা। চিনতে না পাবার সেটা একটা করাণ হতে পারে। ‘কেমন আছেন?’ এমা যন্ত্রের মতো বলল, ভাল। ‘আপনার পরীক্ষা কেমন হল খোঁজ নিতে এলেম।’ ‘ভেতরে আসুন।’ আমি ভেতরে ঢুকলাম। এমা দরজা বন্ধ করে দিল। রাত আটটা বাজে টিভিতে বাংলা খবর হচ্ছে। খবর … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–৮ম অংশ

  টেলিফোন করার জায়গা পাচ্ছি না। গ্রীন ফার্মেসি বন্ধ। কম্পউটারের নতুন একটা সার্ভিস সেন্টার হয়েছে। ওদের টেলিফোন আছে—গেলেই টেলিফোন করতে দেয়। সার্ভিস সেন্টারটিও বন্ধ। এসছি তরঙ্গিণী স্টোরে। নতুন ছেলেটা আমাকে দেখেই বলল, টেলিফোন নষ্ট। মিথ্যা বলছে বোঝাই যাচ্ছে। বলার সময় মুখের চামড়া শক্ত হয়ে গেছে। সে মনে হয় আগেই থেকে ঠিক করে রেখেছিল—আমাকে দেখলেই বলবে,“টেলিফোন … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–৯ম অংশ

  নীতুর একটি চিঠি এসেছে। নীতুর স্বভাবও দেখা যাচ্ছে ইয়াদের মতো। চিঠি পাঠিয়েছে ইংরেজিতে টাইপ করে। ডাকে পাঠায়নি, হাতে-হাতে পাঠিয়েছে। নীতুর ম্যানেজার চিঠি নিয়ে এসেছে। তার উপর নির্দেশ, চিঠি আমার হাতে দিয়ে অপেক্ষা করবে এবং জবাব নিয়ে যাবে। বড়লোকের ম্যানেজার শ্রেণীর কর্মচারীরা নিজের প্রভু ছাড়া সবার উপর বিরক্ত হয়ে থাকে। এই ভদ্রলোককে দেখলাম মহা বিরক্ত। … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–১০ তম অংশ

রাত এগারোটায় ইয়াদের সন্ধ্যানে বের হলাম।   ইয়াদ থাকে মীরপুর দশ নম্বরে, সিঅ্যান্ডবি গুদামে। গুদামের ভেতর গাদাগাদি করে রাখা রাস্তার কালভার্টের সিরামিক স্ল্যাব। দেখতে বিশাল আকৃতির সিলিন্ডারের মতো। তার একটিতে ইয়াদের সংসার। বাইরে থেকে ইয়াদ বলে ডাকতেই সে খুশি-খুলি গলায় বলল, চলে আয়। মাথা নিচু করে ঢুকবি। দাঁড়া এক সেকেণ্ড, বাতি জ্বালাই। সে কুপি জ্বালল। … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–১১ তম অংশ

  রূপার চিঠি এসেছে। কী অবহেলায় খামটা মেঝেতে পড়ে আছে। আরেকটু হলে চিঠির উপর পা দিয়ে দাঁড়াতোম। খাম খুলে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললাম—এতবড় কাগজে একটি মাত্র লাইন, তুমি কেমন আছ? নাম সই করেনি, তারিখ দেয়নি। চিঠি কোথেকে লেখা তাও জানার উপায় নেই। শুধু একটি বাক্য—তুমি কেমন আছ? প্রশ্নবোধক চিহ্নটি শাদা কাগজে কী কোমল ভঙ্গিতে আঁকা হয়েছে। আমি … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–১২ তম অংশ

  ইয়াদের বাড়ি সব সময় আলোয় ঝলমল করে। সন্ধ্যার পর থেকেই এরা বোধহয় সব ক’টা বাতি জ্বালিয়ে রাখে। আজ ওদের বাড়ি অন্ধকার। গেট থেকে গাড়ি-বারান্দা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের বাতিগুলো পর্যন্ত নেভানো। শুধু বারান্দায় বাতি জ্বলছে। আমি গেটের দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করলাম, ‍কেউ নেই নাকি?   ‘আপা আছেন।’ ‘কুকুর দু’টা কোথায়—টুটি-ফুটি?’ ‘ওরা বান্ধা আছে। ভয় নাই, যান।’ … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–১৩ তম অংশ

  আমি বাস করছি অন্ধকারে এবং আলোয়। চেতন এবং অবচেতন জগতের মাঝামাঝি। Twilight zon. আমার চারপাশের জগৎ অস্পষ্ট। আমি কি বেঁচে আছি? আমাকে ঘিরে অনেক লোকের ভিড় । এটা কি কোনো হাসপাতাল? আমার কোনো ক্ষুধাবোধ নেই, কিন্তু প্রবল তৃষ্ণা । পানি পানি বলে চিৎকার করতে ইচ্ছা করছে। চিৎকার করতে পারছি না। স্বপ্ন ও সত্য একাকার … বিস্তারিত পড়ুন

হিমু : হুমায়ুন আহমেদ–২য় অংশ

ঘরের ভেতর দু’টা চিঠি। একটির খাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে রুপার কাছে থেকে এসেছে। কার্টিস পেপারে ধবধবে সাদা খাম। খামের এক মাথায় রুপালি কালিতে এমবস করা রুপার নাম। সাদার উপর রুপালি ফোটে না, তবুও এটাই রুপার স্টাইল। অন্য চিঠিটি ব্রাউন কাগজের। ঠিকানা ইংরেজিতে টাইপ করা। দু’টা চিঠির কোনোটিতেই স্ট্যাম্প নেই—হাতে হাতে পৌছে দেয়া। আমি রুপার চিঠি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!