শিকারী গাছ – সুকুমার রায়

উপযুক্তরকম জল মাটি বাতাস আর সূর্যের আলো পাইলেই গাছেরা বেশ খুশী থাকে, আর তাহাতেই তাহাদের রীতিমত শরীর পুষ্টি হয় আমরা ত বরাবর এইরকমই দেখই এবং শুনি। তাহারা যে আবার পোকা মাকড় খাইতে চায়, শিকার ধরিবার জন্য নানারকম অদ্ভুত ফাঁদ খাটাইয়া রাখে এবং বাগে পাইলে পাখিটা ইঁদুরটা পর্যন্ত হজম করিয়া ফেলে, এ কথাটা চট্‌ করিয়া বিশ্বাস … বিস্তারিত পড়ুন

সূক্ষ্ম হিসাব – সুকুমার রায়

একজন লোককে তাহার বয়স জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল। সে তৎক্ষণাৎ কাগজ পেন্সিল লইয়া হিসাব করিয়া বলিল, “আঠার বৎসর তিন মাস ষোল দিন চার ঘণ্টা—কত মিনিট ঠিক বলতে পারলাম না।” যিনি প্রশ্ন করিয়াছিলেন তিনি ত উত্তর শুনিয়া চটিয়াই লাল। বাস্তবিক, আমাদের সকল কাজের যদি এরকম চুলচেরা সূক্ষ্ম হিসাব রাখিতে হয়, তবে হিসাবের খবর লইতেই সমস্ত জীবনটা কাটিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

সেকালের বাঘ – সুকুমার রায়

সেকালে এমন সব জন্তু ছিল যা আজকাল আর দেখা যায় না—এ কথা তোমরা নিশ্চয়ই জান। সেকালের চার দাঁতওয়ালা হাতি, ত্রিশ হাত লম্বা কুমির বা হাঁসুলি-পরা তিন শিঙা গন্ডার, এর কোনটাই আজকাল পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে গুহা গহ্বরে পাহাড়ের গায়ে বা বরফের নীচে, তাদের কঙ্কালের কিছু কিছু চিহ্ন পাওয়া যায়—তা থেকেই পণ্ডিত লোকে বুঝতে পারেন … বিস্তারিত পড়ুন

সেকালের বাদুড় – সুকুমার রায়

‘সেকালের জন্তু’র কথা বলিলেই একটা কোন কিম্ভুতকিমাকার জানোয়ারের চেহারা মনে আসে। যে-সকল জন্তু এখন দেখিতে পাই না, অথচ যাহার কঙ্কালচিহ্ন দেখিয়া বুঝিতে পারি যে সে এককালে পৃথিবীতে ছিল, তাহার চেহারা ও চালচলন সম্বন্ধে স্বভাবতই কেমন একটা কৌতূহল জাগে। তাহার উপর যদি তাহার মধ্যে কোন অদ্ভুত বিশেষত্বের পরিচয় পাই, তবে ত কথাই নাই। সেকালের ‘বাদুড়’ লিখিলাম … বিস্তারিত পড়ুন

সূদন ওঝা –সুকুমার রায়

সূদন ছিল ভারি গরিব,তার এক মুঠো অন্নেরও যায়গা নাই।রোজ জুয়া খেলে লোককে ঠকিয়ে যা পায়,তাই দিয়ে কোন রকমে তার চলে যায়।যে দিন যা উপায় করে,সেই দিনই তা খরচ করে ফেলে।একটি পয়সাও হাতে রাখে না।এই ভাবে কয়েক বছর কেটে গেল।ক্রমে সূদনের জ্বালায় গ্রামের লোক অস্থির হয়ে পড়ল।পথে তাকে দেখলেই ঘরে গিয়ে দরজা দেয়,সে এমন পাকা খেলোয়াড় … বিস্তারিত পড়ুন

সবজান্তা দাদা – সুকুমার রায়

“এই দ্যাখ্‌‌ টেঁপি, দ্যাখ্‌‌ কি রকম করে হাউই ছাড়তে হয়। বড় যে রাজুমামাকে ডাকতে চাচ্ছিলি? কেন, রাজুমামা না হলে বুঝি হাউই ছোটানো যায় না? এই দ্যাখ্‌‌।” দাদার বয়স প্রায় বছর দশেক হবে, টেঁপির বয়স মোটে আট, অন্য অন্য ভাইবোনেরা আরো ছোট। সুতরাং দাদার দাদাগিরির অন্ত নেই। দাদাকে হাউই ছাড়তে দেখে টেঁপির বেশ একটু ভয় হয়েছিল, … বিস্তারিত পড়ুন

অজানা দেশে – সুকুমার রায়

সেদিন একটা বইয়ে মাঙ্গো পার্কের কথা পড়ছিলাম। প্রায় সওয়া শ বৎসর আগে অর্থাৎ লিভিংস্টোনের অনেক পূর্বে মাঙ্গো পার্ক আফ্রিকার অজানা দেশ দেখতে গিয়েছিলেন। এক-একজন মানুষের মনে কেমন নেশা থাকে, নূতন দেশ নূতন জায়গার কথা শুনলে তারা সেখানে ছুটে যেতে চায়। তারা অসুবিধার কথা ভাবে না, বিপদ-আপদের হিসাব করে না—একবার সুযোগ পেলেই হয়। মাঙ্গো পার্ক এই … বিস্তারিত পড়ুন

অর্ফিয়ুস- সুকুমার রায়

নয়টি বোন ছিলেন, তাঁহারা ছন্দের দেবী। গানের ছন্দ, কবিতার ছন্দ, নৃত্যের ছন্দ, সঙ্গীতের ছন্দ—সকলরকম ছন্দকলায় তাঁহাদের সমান কেহই ছিল না। তাঁহাদেরই একজন, দেবরাজ জুপিটারের পুত্র আপোলোকে বিবাহ করেন। আপোলো ছিলেন সৌন্দর্যের দেবতা, শিল্প ও সঙ্গীতের দেবতা। তিনি যখন বীণা বাজাইয়া গান করিতেন তখন দেবতারা পর্যন্ত অবাক হইয়া শুনিতেন। এমন বাপ-মায়ের ছেলে অর্ফিয়ুস যে গান-বাজনায় অসাধারণ … বিস্তারিত পড়ুন

আর্কিমিডিস – সুকুমার রায়

প্রায় বাইশ শত বৎসর আগে, গ্রীস সাম্রাজ্যের অধীন সাইরাকিউস নগরে আর্কিমিডিসের জন্ম হয়। আর্কিমিডিসের মতো অসাধারণ পণ্ডিত সেকালে গ্রীক জাতির মধ্যে আর দ্বিতীয় ত ছিলই না— সমস্ত পৃথিবীতে তাঁহার সমান কেহ ছিল কিনা সন্দেহ। দিন রাত তিনি আপনার পুঁথিপত্র লইয়া কি যে চিন্তায় ডুবিয়া থাকিতেন, আর অঙ্ক কষিয়া কত যে আশ্চর্য তত্ত্বের হিসাব করিতেন, লোকে … বিস্তারিত পড়ুন

ফুলি চললো ফিলিমে –পূর্ণেন্দু পত্রী

দেবু তার মেজোবৌদিকে সুমিতার ঘরে ঢুকে সটান মেঝেয় শুয়ে,হাত-পা ছাড়িয়ে গড়াতে গড়াতে বললে- দারুন গুড নিউজ আছে তোমার।সিনিমার নামার চান্স এসে গেছে তো— সুমিতা সদ্য স্নান করে এসে আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখে ঘাড়ে একটু পাউডারের পাফ বোলাচ্ছিল।সিনিমার কোথায় ঠোটে লিপস্টিক ঘসতে ঘসতেই ঠোঁট উল্টে বলে-থাক,সাত-সকালে তোমাকে আর সিনিমার কথা বলে রসিকতা করতে হেব না।যখন বসয় … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!