গুপি গাইন ও বাঘা বাইন-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী-৩য় অংশ

সেদিনকার আগুনে দারোগামশাই ত পুড়ে মারা গিয়েছিলেন, তাঁর দলের অতি অল্প লোকই বেঁচেছিল। সেই লোকগুলো গিয়ে রাজামশাইকে এই ঘটনার খবর দিতে তাঁর মনে বড়ই ভয় হল। পরদিন আর দু-চার জন লোক রাজসভায় এস বলল যে, তারা সেই আগুনের তামাশা দেখতে সেখানে গিয়েছিল। তারা তখন ভারি আশ্চর্যরকমের গান-বাজনা শুনেছে, আর ভূত দুটোকে শূন্যে উড়ে পালাতে স্বচক্ষে … বিস্তারিত পড়ুন

ঝানু চোর চানু-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী-১ম অংশ

ছেলেবেলা থেকেই চানু শয়তানের একশেষ, আশেপাশের লোকজন তার জ্বালায় অস্থির। চানুর বাবা বড় গরিব ছিল, চানু ভাবল-বিদেশে গিয়ে টাকা পয়সা রোজগার করে আনবে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ, একদিন সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল। খানিক দূরে গিয়েই বনের ভিতর দিয়ে একটা নির্জন রাস্তা-চানু সেই রাস্তা ধরে চলল। সমস্ত দিন বৃষ্টিতে ভিজে শ্রান্ত-কান্ত হয়ে স্যার সময় পথের … বিস্তারিত পড়ুন

জীবনের জন্য পানি

ইউরোপের আরেক দেশ স্পেন।প্রাচীন ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এদেশে রয়েছে হাজার হাজার লোককাহিনী।তার মধ্যে তিন ভাই আর এক বোনের কাহিনী সারাবিশ্বে ছরিয়ে পড়েছিল।এই তিন ভাই আর এক বোন প্রথমদিকে দিকে বাশ করতো একতা ছোট্ট কুঠিরে,কিন্তু তারা তিনজন ছিল পরিশ্রমীও সৎ।কিছুদিন পরে তারা প্রাসাদের মতো একরা সুন্দর বাড়ি তৈরি করল।   আশপাশের লোকজন তাদের সুরম্য প্রাসাদের প্রশংসা করে … বিস্তারিত পড়ুন

সাতরঙের দরোজা || উত্তম সেন

এখানে কী করে এলো সে! একেবারে অচেনা জায়গা। এর আগে কোনোদিন এসেছিল বলে মনে পড়ে না তার। তবে রঙগুলো খুব চেনা তার। রঙধনুর সাত রঙ। সাতটা দরোজাই খোলা। প্রত্যেক খোলা দরোজার ভেতর থেকে সাত রকমের আলোর দ্যুতি বেরুচ্ছে। কোথাও কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এবার আরেকটু সামনে এগিয়ে গেল ছেলেটা; একেবারে সাত দরোজার সামনে। প্রথমেই সে এসে … বিস্তারিত পড়ুন

সরকার সাহেবের গাধা || হুমায়ূন কবীর ঢালী

হেলাল সরকারের একটা পোষা কুকুর আর একটা গাধা আছে। কুকুরটা খুবই স্নেহবৎসল। বিশ্বস্তস্ন। সব সময় হেলাল সরকারের কাছাকাছি থাকে। হেলাল সরকার যেখানেই যান, প্রিয় কুকুরটাও সাথে যায়। তিনি গোসল করতে গেলে কুকুরটা পুকুরঘাটে দাঁড়িয়ে থাকে। রাতে হেলাল সরকার যে ঘরে ঘুমান, কুকুরটা সে ঘরের দরজায় বসে থাকে। অচেনা কাউকে দেখলে ঘেউঘেউ করে ডেকে ওঠে। হেলাল … বিস্তারিত পড়ুন

ভূতকথার গল্প || মোমিন মেহেদী

ভূতকথার সাথে আমার পরিচয় খুব ছোট থেকেই। শুনেছি গল্প না শুনালে আমাকে খাওয়ানো যেত না ছোটবেলায়। আমাকে প্রথম ভূতকথা শুনিয়েছিলেন আমার আপি। ছোটবেলায় আমার সাত ফুপি, একমাত্র বড় আপি, কারো কাছেই গল্প শোনা থেকে বিরত থাকিনি। ভূতকথা শব্দটিই অনেক অনেক বেশি কাছে টানতো আমাকে। আজো টানে। ছোটবেলায় মনে দাগ কেটে যাওয়া একটি ভূতকথা তোমাদের জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

জলহস্তী ও কচ্ছপ || সুহৃদ সরকার

অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক জলহস্তীর নাম ছিলো পবন ঠাকুর। স্থলরাজ্যের বেশ বড়-সড় প্রাণী। হাতির পরেই ছিলো তার স্থান। তবে সে নিজেকে প্রাণীদের রাজা বলে ঘোষণা করেছিলো। তো রাজা জলহস্তীর ছিলো সাত সাতটি রানী। যখন তখন সে বড় বড় ভোজসভার আয়োজন করতো। রাজ্যের সবাইকে সে ভোজসভায় ডাকা হতো। মজার ব্যাপার ছিলো, জলহস্তীর সাত স্ত্রী … বিস্তারিত পড়ুন

ঠাকুরদা-২য় অংশ

পরসা খরচ নিয়ে কিন্তু ঠাকুরদার একটু বদনাম ছিল। ঐ যে হুঁকোর খাতিরে ছেলেদের একপোয়া সন্দেশ কিনে খাইয়েছিলেন, তা ছাড়া আর তাঁর জীবনে তিনি কখনো কাউকে কিছু কিনে খাওয়ান নি। লোকে বলত, তাঁর ঘরের ভিতরে তিন-জালা টাকা পোঁতা আছে। কিন্তু নিজে তিনি এমনভাবে চলতেন যেন অনেক কষ্টে তাঁর দুটি খাবার জোটে, সেও বুঝি-বা একবেলা বই দুবেলা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখীরাম-২য় অংশ

দুঃখীরামের এই সাজার হুকুম হইল যে, তাহাকে থলের ভিতর পুরিয়া পাথর বাঁধিয়া সমুদ্রে ফেলিয়া দেওয়া হইবে। রাজামশায়ের সামনেই থলে আর পাথর আনিয়া সব বাঁধিয়া ঠিক করা হইল,তারপর রাজা চারিটা জল্লাদকে যে, ‘একে সমুদ্রে ফেলিয়া দিয়া আয়।’ দুঃখীরামকে সকলেই ভালবাসিত। সুতরাং তাহার এই সাজার কথা শুনিয়া সকলেরই ভারি ক্লেশ হইল। পথে যাইতে যাইতে জল্লাদেরা চুপিচুপি পরামর্শ … বিস্তারিত পড়ুন

ঠাকুরদা-১ম অংশ

একগ্রামে এক বুড়ো ব্রাহ্মণ ছিলেন। তাঁর নাম ছিল ভবানীচরণ ভট্রাচার্য। গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে তাঁর খুব ভাব ছিল। তাঁরা তাঁকে বলত ঠাকুরদাদা। তাদের কাছ থেকে শিখে দেশসুদ্ধ লোকেও তাঁকে ঐ নামেই ডাকত। ছেলেরা ঠাকুরদার কাছে খুবই আদর পেত, আর তাঁকে জ্বালাতন করত তার চেয়েও বেশি। ঠাকুরদা ভারি পণ্ডি আর বুদ্ধিমান ছিলেন। খালি এক বিষয়ে তাঁর একটা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!