ভীতু কামা (জুলু দেশের গল্প)

এক যে ছিল ছোট ছেলে, তার নাম ছিল কামা। সে এতটুকু মানুষ ছিল, তার পেটটি ছিল বড়, হাত-পা ছিরল কাঠি কাঠি। সে অন্য ছেলেদের সঙ্গে জোরে পারত না, খেলতে গেলে খালি তাদের হাতে মার খেত। বেচারা চুপ করে সে সব সয়ে থাকত, তার গায়ে জোর ছিল না, কাজেই কি নিয়ে ঝগড়া করবে? তার ইচ্ছা হত … বিস্তারিত পড়ুন

ডুমরুধরের কুমির শিকার –ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাকধ্যায়

শঙ্কর ঘোষ জিজ্ঞাসা করিলেন,-শুনিয়াছি যে,সন্দুরবনে নদী নালায় অনেক কুমির আছে!তোমার আবাদে ঐ জলাভূমিতে কুমির কিরূপ? ডমরুধর বলিলেন,-কুমির!আমার আবাদের কাছে যে দনী আছে,কুমিরে তাহা পরিপূর্ন।খেজুরের পাতার মতো তাহারা ভাসিয়া বেড়ায়।অথবা কিনারায় উঠে তারা পালে পালে রৌদ্র পোহায়।গরু মানুষ,ভেড়া,বাগে পাইলেই লইয়া নিয়া যায়।কিন্তু এসব কুমির কে আমতা গ্রাহ্য করি না।একবার আমার আবাদের নিকট এক কুমিরের আবির্ভাব হইয়াছিল।ইহার … বিস্তারিত পড়ুন

সাগর কেন লোনা?–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে ছিল রাজা, তার নাম ফ্রদি। তার ছিল একটা যাঁতা, তাকে বলত গ্রত্তি। সে যাঁতা যেমন তেমন যাঁতা ছিল না, তাকে ঘুরিয়ে যে জিনিস ইচ্ছা, তাই তার ভিতর বার করা যেত। কিন্তু ঘোরাবে কে? সে যাঁতা ছিল পাহাড়ের মত বড়। রাজার চাকরেরা সেটা নাড়তেই পারল না। রাজার দেশে যত জোয়ান ছিল, সকলে হার মেনে … বিস্তারিত পড়ুন

নুতন গল্প-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক রাজা, তার তিন ছেলে। বড় ছেলে গাঁজা খায়, মেজ ছেলে লাঠি হাতে ঘুরিয়া বেড়ায়, ছোট ছেলে বাপের কাছে বসিয়া রাজ্যের কাজকর্ম দেখে। বড় দুটো ছোটটিকে দেখিতে পারে না। ‘সোনার গাছ রূপোর পাতা, শ্বেত কাকের বাসা তাতে!’ রাজার বড় ইচ্ছা এই গাছ ছেলেরা আনিয়া দেয়। তিন ছেলে কত জায়গায় ঘুরিল। বড় দুটির কি হইল জানা … বিস্তারিত পড়ুন

গিল্‌ফয় সাহেবের অদ্ভুত সমুদ্র-যাত্রা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

তোমরা ‘ইউনাইটেড্‌ স্টেট্‌স’ কোথায় জান? পৃথিবীর মানচিত্রের বাঁ ধারে গোলাকাটির নাম নূতন মহাদ্বীপ। নূতন মহাদ্বীপের বড় দেশটা আমেরিকা। আমেরিকার মাঝখানটা খুব সরু, দেখিতে দুটি দেশের মত দেখায়। এই দুইটির উপরেরটির নাম উত্তর আমেরিকা আর নীচেরটির নাম দক্ষিণ আমেরিকা। উত্তর আমেরিকার যত দেশ, ইউনাইটেড্‌ স্টেট্‌স তাহার মধ্যে সকলের বড়। ইউনাইটেড্‌ স্টেট্‌সে গিলফয় সাহেবের বাড়ি। গিলফয় সাহেব … বিস্তারিত পড়ুন

হাতির চেয়ে চড়ুই কেন শক্তিশালী

আফ্রিকা মহাদেশের কোথা তোমরা কতবার,কত যায়গায় শুনেছ।সেই আফ্রিকার কালো মানুষের মানুষের একটা কোথা শোন।আফিকার গভীর বন-জঙ্গলে তোমরা তো জানোই।সে এক গহিন জঙ্গলের কাহিনী।সেখানে গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের এলো পৌছায় না মাটিতে।চারদিকে পাতার ঝরার শব্দ ছাড়া আর কিছুই নেই।নিরব সেই বন।বনের মাঝখানে বিশাল এক তেতুলগাছ।সেই তেতুল গাছের ডালে থাকে একটা বাদামি রঙের ছোট্ট একটা চড়ুই … বিস্তারিত পড়ুন

ছোট ভাই-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী-২য় অংশ

ররঙ্গা তাকে দেখেই ভারি খুশি হয়ে অমনি তাকে ডাকল, ‘এসো, এসো, ঘরে এসো।’ রুরু জড়সড় হয়ে গেল। তখন ররঙ্গার জিজ্ঞাসা করল, ‘তুমি কে?’ রুরু বলল, ‘সেই যে ছ’জন লোক বউ খুঁজতে এসেছে, যাদের জন্য ভোজ হচ্ছে, আমি তাদের ছোট ভাই।’ ররঙ্গা বলর, ‘তুমি কেন তবে ভোজে যাও নি?’ রুরু বলল, ‘আমাকে তারা নিয়ে যায় নি, … বিস্তারিত পড়ুন

সাতমার পালোয়ান-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক রাজার দেশে এক কুমার ছিল, তার নাম ছিল কানাই। কানাই কিছু একটা গড়িতে গেলেই তাহা বাঁকা হইয়া যাইত, কাজেই তাহা কেহ কিনিত না। কিন্তু তাহার স্ত্রী খুব সুন্দর হাঁড়ি কলসি গড়িতে পারিত্‌ ইহাতে কানাইয়ের বেশ সুবিধা হইবারই কথা ছিল। সে সকল মেহন্নত তাহার স্ত্রী ঘাড়ে ফেলিয়া সুখে বেড়িয়া বেড়াইতে পারিত। কিন্তু তাহার স্ত্রী বড়ই … বিস্তারিত পড়ুন

গুপি গাইন ও বাঘা বাইন-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী-২য় অংশ

এই ব’লে দুজনায় সেই ভিজা কাপড়েই প্রাণ খুলে গান বাজানা শুরু করল। বাঘার ঢোলটি সেদিন কিনা ভিজা ছিল, তাইতে তার আওয়াজটি হয়েছিল যার পর নাই গম্ভীর। আর গুপিও ভাবছিল, এই তার শেষ গান, কাজেই তার গলার আওয়াজটিও খুবই গম্ভীর হয়েছিল। সে গান যে কি জমাট হয়েছিল, সে আর কি বলব? এক ঘণ্টা দু ঘণ্টা ক’রে … বিস্তারিত পড়ুন

গুপি গাইন ও বাঘা বাইন-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী-৩য় অংশ

সেদিনকার আগুনে দারোগামশাই ত পুড়ে মারা গিয়েছিলেন, তাঁর দলের অতি অল্প লোকই বেঁচেছিল। সেই লোকগুলো গিয়ে রাজামশাইকে এই ঘটনার খবর দিতে তাঁর মনে বড়ই ভয় হল। পরদিন আর দু-চার জন লোক রাজসভায় এস বলল যে, তারা সেই আগুনের তামাশা দেখতে সেখানে গিয়েছিল। তারা তখন ভারি আশ্চর্যরকমের গান-বাজনা শুনেছে, আর ভূত দুটোকে শূন্যে উড়ে পালাতে স্বচক্ষে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!