এক শীতে হারানো সুখের গল্প

আবার শীতকাল চলে এসেছে। অথচ এখনো চলছে কার্তিক মাস। তারপরও বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে। শীতকালটা আমার খুব বেশি প্রিয় ঋতু না। আবার অপ্রিয়ও না। শীতের ভোরে ঘুম থেকে উঠতে ভালো লাগে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে কুয়াশার উড়ে বেড়ানো দেখতে ভালো লাগে। জিন্স-জ্যাকেট-কেডস্ ইত্যাদিতে নিজেকে আগাগোড়া মুড়িয়ে ধূমায়িত চায়ের কাপে চুমুক … বিস্তারিত পড়ুন

রক্তজবার ঘ্রাণ—— জায়েদ ফরিদ

ঘুম থেকে ঊঠে কাউকে কিছু না বলেই হেঁটে যাই এক মাইল দূরের রেল স্টেশনে। একরাশ ধোঁয়ামেঘ ছড়িয়ে পুরনো একটি কয়লার ইঞ্জিন এসে থামে, প্ল্যাটফর্ম পার হয়ে বেশ খানিকটা দূরে। লাইনের দুপাশে দাঁড়ানো ছাইমাখা কয়েকটি পরিবারের চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে- এখনি গনগনে কয়লা ঝরাবে ইঞ্জিন। রেলসড়কের ঢালে মজা পুকুর। সেখান থেকে এক বালতি জল তুলে এনে … বিস্তারিত পড়ুন

কাঠিবাবু —- সায়ন্তনী পুততুন্ড

লোকটার নাম বটকৃষ্ণ। অপভ্রংশে বটকেষ্ট। বয়স ত্রিশ থেকে তেতাল্লিশ পর্যন্ত যে কোন সংখ্যা হতে পারে। দৈর্ঘ্যে পাঁচ ফুট দু ইঞ্চি। ওজন চল্লিশ কে জি! উস্কোখুস্কো চুল, আমের আঁটির মতো মুখে তেল মজুত রাখার উপযুক্ত দুটি গাল, কাদা ঘোলা চোখ এবং খিটখিটে মেজাজের মালিক! নিন্দুকেরা বলে বটকেষ্টর মুখ দেখলে নাকি একটানা সাতদিন ডিসেকশন টেবিলে কাটানোর এফেক্ট … বিস্তারিত পড়ুন

লুল্লু … ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়

“লে লুল্লু”- আমীর শেখের মুখ দিয়া যখন এই কথা দুইটি নির্গত হইল, তখন তিনি জানিতেন না ইহাতে কী বিপত্তি ঘটিবে। কথা দুইটি আমীরের অদৃষ্টে বজ্রাঘাতরূপে পতিত হইল। আমীরের বাটী দিল্লী শহরে, আমীর জাতিতে মুসলমান। একদিন অন্ধকার রাত্রিতে আমীরের বিবি একেলা বাহিরে গিয়াছিলেন। পরিহাস করিয়া, স্ত্রীকে ভয় দেখাইবার নিমিত্ত আমীর ভিতর হইতে বলিলেন, “লে লুল্লু”। অর্থাৎ … বিস্তারিত পড়ুন

মনিবকে বাঁচাও (শিশুতোষ গল্প)

অপু’র লাল রঙ্গের, গুলাকার বড় একটি বেলুন আছে। তার একটি ছোট্ট কুকুরও আছে। এর নাম চুটকু। চুটকু অপু’কে খুব পছন্দ করে। চুটকু অপু’র সাথে খেলতেও পছন্দ করে। অপুদের বাড়িতে বড় কালো একটি বিড়াল আছে। চুটকু বিড়ালটিকে একদুম পছন্দ করে না। ওদের বাড়িতে ছোট্ট একটি বাদামি রঙ্গের ইদুরও আছে। বড় কালো বিড়ালটি ইদুরটিকে পছন্দ করে না। … বিস্তারিত পড়ুন

রং টার্ন —- কালেক্টেড

সিগারেট টা ধরিয়ে বেশ আয়েশ করে বসল নীল । দশ মিনিটের বিরতিতে আছে এখন সে । তাছাড়া দুর্বা ও আশে পাশে নেই । দুর্বার যন্ত্রনায় তার সিগারেট টাও খাওয়া হয় না ঠিকমত । আগে বারান্দায় বসে রকিং চেয়ারে গা মেলে দিয়ে গান শুনতে শুনতে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ত ! দুর্বা এসে তার পুরা জীবন টাই এলোমেলো … বিস্তারিত পড়ুন

ন্যাংচাদার হাহাকার — নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

ক্যাবলা বললে, বড়দার বন্ধু গোবরবাবু ফিলিমে একটা পার্ট পেয়েছে। টেনিদা চার পয়সার চীনে বাদাম শেষ করে এখন তার খোলাগুলোর ভেতর খোজাখুজি করছিল। আশা ছিল দু-একটা শাস এখনো লুকিয়ে থাকতে পারে। যখন কিছু পেলে না, তখন খুব বিরক্ত হয়ে একটা খোলাই তুলে নিলে, কড়মড় করে চিবুতে চিবুতে বললে, বারণ কর ক্যাবলা—এক্ষুণি বারণ করে দে । ক্যাবলা … বিস্তারিত পড়ুন

কালীঘাটের পাখা — তারাপদ রায়

‘এসি পাখা ডিসি পাখা আকাশের কানে কানে শিশি বোতল রেগুলেটার সরু সরু গানে গানে” কোনও পণ্ডিত পাঠক যাতে মনে না করেন যে এই অসামান্য পঙক্তি দুটি এই ব্যর্থ কবির রচনা, সেই জন্যে প্রথমেই তার ভ্রম নিরসন করা দরকার। এই শ্লোকটি মূলত সুকুমার রায়ের এবং প্রয়োজনবোধে এর কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন আমার স্বর্গীয় অগ্রজ। আমার … বিস্তারিত পড়ুন

পদ্মাসন –তারাপদ রায়

সকালবেলা বাজার করতে দেরি হয়ে গিয়েছিল, তাড়াতাড়ি দাড়ি কামিয়ে অফিস যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। এমন সময় জরুরি খবর এল আমার এক মামাশ্বশুর সকালবেলা পদ্মাসন করতে গিয়ে আটকিয়ে গিয়েছেন। ভদ্রলোক কাছেই থাকেন, সুতরাং এই বিপদে সর্বপ্রথমে আমাকেই খবর দিয়েছেন। বিপদটা সত্যি যে কী, তা আমি প্রথমে বুঝে উঠতে পারিনি। যদি পদ্মাসন করতে না পারেন, আটকিয়ে যান, … বিস্তারিত পড়ুন

নৈশকাহিনী — তারাপদ রায়

আমার এই নৈশকাহিনী রাত্রির কোনও ঘটনা নিয়ে নয়। আমার এই কাহিনীর বিষয়বস্তু হল নেশা। আমার বিষয় অবশ্য ঠিক নেশা নয়, নেশার পরিমাপ নিয়ে এই আলোচনা। এক টিপ নস্যি, আড়াই প্যাকেট সিগারেট, তিন হেঁচকির জর্দা, সাত ছিলিম গাজা কিংবা চার পেগ হুইস্কি— একেক রকম নেশার সামগ্রীর মাপ হয় একেকভাবে— অন্তত এতকাল এই ছিল আমার সাবেকি ধারণা। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!