টুকুর দিনরাত্রি

দুই হাঁটু এক জায়গা করে তার ওপর থুতনি, আর হাতদুটো পায়ের পাতার কাছে রেখে আঙুলের ফাঁকে আঙুল ঢুকিয়ে বাঁশের চাঙায় বসে আছে টুকু। আজহারের দোকানের সামনের চাঙা। মুদি দোকান। কিন্তু চা’ও বিক্রি করে আজহার। আজহারের দোকানের পাশেই জাহাঙ্গীরের হোটেল। তার ওপাশে দিলীপের সেলুন। তিন রাস্তার মোড়ে চার-পাঁচটি দোকান। মাঝ বয়সী হেমন্ত। কিন্তু সন্ধ্যার পরপরই অন্ধকারের … বিস্তারিত পড়ুন

একটাকার কাহিনী (ছোটগল্প)

“আপনি তো আচ্ছা বেহায়া মানুষ। কুষ্টিয়া থেকে দৌলতদিয়ার ভাড়া #একটাকা দিচ্ছেন!? আপনি কি পাগল টাগল হয়ে গেলেন? যা ভাড়া তাই দিন।“ এভাবেই বাসের হেল্পার সাহেব এক ব্যক্তির সাথে কথা কাটাকাটি করছিলেন। বাসের বাকি যাত্রীরা দৃশ্য টা ভালই উপভোগ করছিলেন। কেও হয়তো ভাবছিলেন লোকটা হয়তো টাকায় আট মন চাল কিনেই গাড়ীতে উঠেছেন। লোকটা অবশ্য চাল খাচ্ছিলেন … বিস্তারিত পড়ুন

এক অস্তিত্ববাদীর নোট —- দেবদুলাল মুন্না

কিছুই করা হয়নি । বেড়াতাম । এখন বাসায়ই থাকি। লিখতাম । ভাষা খুঁজে পাই না । চাকরি করতাম । হারিয়েছি । রাজনীতি নিয়ে ভাবতাম । ভাবিনা । স্বপ্ন দেখতাম । ঘুম হয়না আজকাল । একা একা থাকি । ভাগ্যিস আব্বাজান চারতলা বাসা রেখে মারা গেছেন । বাসাভাড়া দিয়েই চলে জীবনযাপন । সারাদিন বাসায় কাটে । … বিস্তারিত পড়ুন

হাঁস ও কতিপয় মৃত্যু

করিম ও কুদ্দুস। বাচ্চা হাঁসের মতো ছোটবেলা থেকে একসাথে সাঁতার কেটে কেটে বড়ো হচ্ছে। বড়ো হওয়ার আগেই করিম ‘সাহেব বাবু’ হওয়ার প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছে,মানে পড়ালেখার জগতে প্রবেশ করেছে। ফলত দুজনের ‘বড়োর’ ভেতরে করিমের ‘বড়ো’ হওয়াটা তুলনামূলক অধিকতর ‘বড়ো’র মর্যাদাসম্পন্ন। বোঝাই যাচ্ছে, কুদ্দুসের ওসব বালাই নেই। আল্লাহ পাক যতটুকু ‘বড়ো’ হওয়া তার জন্য বরাদ্দ রেখেছেন ঠিক … বিস্তারিত পড়ুন

বুচি

সগ্গলি আমারে বুচি কইয়েই ডাকত। সৎ মায়ের ঘরে আপনা ভাই, ভাইবৌ, আর ভাস্তে ভাস্তিতে ভরা সংসারডা,আর আমি ছিলাম প্যাটে -ভাতে। আমার গায়ের রঙ ছিলো সইস্যের ত্যালের মতো। নাক বুচা ছিল দেইহে কিডা যে নাম বুচি থুইছিল কবার পারিনে! আমার বুদ্ধি ভালো ছিলোনা। কোহানে কি কতি অবি করতি অবি ভালো বুজতাম না। বয়স আমার আঠারো উনিশ … বিস্তারিত পড়ুন

রাত পাহারা চোখ— মাহবুব আলী

এই মধ্য বৈশাখে তপ্ত রোদের ভেতর, হাঁটতে হাঁটতে কুদ্দুসের জিহ্বা আধহাত বের হয়ে আসে। বলতে গেলে বিনে পয়সায় বা আধা-মাগনা পেটে-ভাতে নাইট ডিউটি। সে কাজে ফাঁকি নেই। সারারাত প্রায় জেগেই থাকে। আজ ভোর ভোর সকাল থেকে দুচোখ ঢুলু ঢুলু। মাথা টলমল করছে। হলুদ প্রাচীর ঘেঁষে একটি কাঁঠাল গাছ, সেটির নিচে এককোণায় বসে ছিল। নতুন কান্দা … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিবন্ধী— মাহবুব আলী

এখন কারও করুণ দৃষ্টি তাকে কাবু করতে পারে না। রিনি দুচোখ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়। বিছানার উপর বড় এক স্যুটকেস। সেখানে মোটামুটি সবকিছু নেয়া হয়ে গেছে। মঈন ভোর রাতে প্যাকেটে ভরে দিয়েছে একুশ ইঞ্চি টেলিভিশন। দরজার সামনে বারান্দায় পড়ে আছে ওটা। রিনি কী করবে? তার এসবে কোনো প্রয়োজন নেই। কে শোনে কার কথা! মঈন তখন জোর … বিস্তারিত পড়ুন

বঙ্গীয় আর্দ্রতা উদ্‌যাপন— যশোধরা রায়চৌধুরী

নিতাইবাবু কাঁদিয়া ফেলিলেন। অথচ সেইদিন অশ্রুসংবরণ করিয়াছিলেন। কন্যাবিদায়ের মুহূর্তে তাঁহার চক্ষুদুইটি শুষ্ক ছিল। চার-পাঁচদিন পূর্বে কন্যা চলিয়া গিয়াছে , কন্যা-জামাতার চাঁদমুখ পর্যবেক্ষণ করিয়া গিন্নি সুলতাদেবী ডুকরাইয়া কাঁদিয়া উঠিয়াছিলেন, কন্যার অনিষ্টকামনা করিবেন না বলিয়া সরিয়া গিয়াছলেন কিচেনের এক কোণে। কন্যা টিনাও , যথাবিহিত অশ্রুছলছল নয়নে প্রথমে প্রণামাদি সারিয়াছিল, তৎপরে বান্ধবী , পিশি, বৌদি এবং অন্যান্য নারীকুলের … বিস্তারিত পড়ুন

লড়াই

রুটির শেষ টুকরাটি নিয়ে, টম কিং, গভীর মনযোগের সহিত মাংসের ঝোলটুকু মুছে নিয়ে যখন মুখে পুড়ল, তখন তার দুচোখ বেয়ে অশ্রু-ধারা বইয়ে গেল নিঃশব্দে। খাবার টেবিল থেকে যখন উঠল সে, তখনও সে দমন করল প্রচণ্ড ক্ষুধার অনুভূতি। সে একাই খেল। দু’টি বাচ্চাকে তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। যাতে টের না পায় যে, তারা কিছুই খায়নি। … বিস্তারিত পড়ুন

দুখের দিনে

সকালবেলাতেই ঘোষ পাব্লিকেশনের অনন্ত বাবু এসে হাজীর দুর্গাপদ বাবুর বাড়িতে। এই সময় যে তিনি আসেন না, এমন নয়। এর আগেও এসেছেন। সেই পুরনো ধুতি আর শার্ট, মাথার যাই যাই করা চুল তেল দিয়ে পাট পাট করা, আর পায়ে কোলাপুরি চটি। অনন্ত বাবু’র মুখে এই একটি হাসি সব সময় লেগেই থাকে। কারোর দুঃখের দিনেই হোক, বা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!