পুনর্জাগরন

খুব গরম পড়েছে। মাথার উপর ফ্যান চলছে। কিন্তু গরম কমার লক্ষণ নাই। কেমন যেন ভ্যাপসা গরম। কয়টা বাজে? ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম পৌনে সাতটা। নাহ! সময় আজকে আর যাবে না। সবাইকে সাড়ে সাতটায় মধ্যে ফয়সালের বাসায় আসতে বলা হয়েছে। এখনও অনেক সময় বাকি। গরমে অস্থির লাগছে। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নিলাম – কে কে আসল … বিস্তারিত পড়ুন

গল্পঃ ফোঁড়া

মিরাজের ছোট্ট রোজকার জীবনে ছোট্ট একটা পরিবর্তন এসেছে! বাসার কেউ খেয়াল করেনি, করার মত ফুসরত মা হারা সাত ভাই-বোনের এই টানাটানির সংসারে নেই্, সংসারের চাকাটা সচল রাখতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন বাবা। তাই পঞ্চম শ্রেণীর একটি বালক বিকেল বেলা মাঠে না গিয়ে বই-খাতা নিয়ে পিছনের বিল্ডিংয়ের হাবিবদের বাসায় যাওয়াটা নীরবেই চলতে থাকে। হাবিবের মা হাবিবকে কলোনীর … বিস্তারিত পড়ুন

ছোটগল্প: বিশ্বাসঘাতক

হালকা আলোকিত রুমটাতে একটা মাত্র ছায়ামুর্তি। তার হাতে জলন্ত সিগারেট। রুমের মধ্যে ছটফট করছে সে। যেন খাঁচায় বন্দি কোন পাখি! রুমের বিরাট টেবিলটার উপর শুধু একটা ল্যাপটপ। হালকা আলো কম্পিউটারটার মধ্য থেকে টিকরে বেরিয়ে রুমে একটা মায়াবী আবহ সৃষ্টি করেছে। হঠাৎ ছটফটানি থামিয়ে টেবিলের দিকে এগিয়ে এলো ছায়ামুর্তিটা। মেইল এড্রেস চ্যাক করতে গিয়েই নতুন মেইলটা … বিস্তারিত পড়ুন

বেওয়ারিশ

‘লোকটার বুক পকেটে একটা রঙ পেন্সিলের বাকশো আছে’-বাচ্চাদের কেউ একজন বলল। ‘তুই মরছ রঙ পেন্সিল লইয়া’-বড়দের কেউ একজন ধমকে উঠে। আরেকজন বলে, ‘আহা, কে করল এমন নিষ্ঠুর কামডা’! মাত্রই দেখে এসে একজন বর্ণনা দিচ্ছে, ‘ফুলহাতা শার্ট ইন করে পরা; পায়ের মোজা দেখে বুঝা যায় সু পরা ছিল। শার্ট আর প্যান্টের পকেট খুইজা এক বাকশো রঙ … বিস্তারিত পড়ুন

বেগুন বাড়ির পানি পড়া

হঠাৎ শরীর দুর্বল, খাদ্যে অরুচি, চোখ দু’টো হলুদ হলুদ ভাব। দুইদিন শরীরের দুর্বলতা নিয়েই অফিস করেছি। তৃতীয় দিন দুপুরে আনন্দ পত্রের ম্যানেজার খসরু ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি আমার চেহারা দেখেই চমকে উঠলেন। নিজের থেকেই তিনি আমাকে বিকালে পুপুলার ডায়গনেস্টিক সেন্টারে তার বন্ধু ডাঃ মোস্তাফিজ-এর কাছে নিয়ে গেলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জন্ডিস ধরা পড়ল। … বিস্তারিত পড়ুন

মাঝারি মাপের সুখ-দুঃখ

স্নায়ু এবং রক্তের চলাচল প্রায় শুন্যের কাছাকাছি নামিয়ে এনে মাজেদ তাকিয়ে আছে বেঢপ টিকটিকিটার দিকে। মাজেদ যোগসাধনার অভ্যাস নেই। সে তন্ত্রমন্ত্রও জানেনা। তবুও তার স্নায়ু এবং রক্তপ্রবাহের ওপর তাকে নিয়ন্ত্রন আনতেই হয়, কেননা, তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তাকে ইঙ্গিত দেয় নড়াচড়া করলেই বিপদ আসন্ন। লম্বায় এক বিঘতেরও বেশী সরীসৃপটি কালো পুঁতির মত কুতকুতে চোখ মেলে তাকিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

ছোটগল্পঃমানুষ

তখন ব্রিটিশরাজের শাসন চলছে।অখণ্ড ভারতের এক অখ্যাত গ্রামে রহিমুদ্দিন আর নিরঞ্জন পাশাপাশি বসবাস করত।ধর্মে রহিমুদ্দিন মুসলিম আর নিরঞ্জন হিন্দু হলেও অন্তরে তারা মানুষ ছিল বলে দুজনের খুব সদ্ভাব ছিল।হয়ত দেখা গেল রহিমুদ্দিনের জমিতে পানির সেচ দেয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না,নিরঞ্জন এসে হাত লাগাত।আবার মাঝেমাঝেই নিরঞ্জন রহিমুদ্দিনের হালের বলদ নিয়ে নিজের জমি চাষ করত।দুজন মিলে দুরগ্রামে … বিস্তারিত পড়ুন

মৃত্যুর প্রহর গুনছি।

পৃথিবী ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে কত বছর হলে? খুবই সহজ একটা প্রশ্ন কিন্তু উত্তরটা অনেক কঠিন। এতো কঠিন, কেউ এর নির্দিষ্ট করে উত্তর দিতেই পারে না। উত্তরটা জানা আমার জন্য খুবই প্রয়োজন। পৃথিবীতে বেচে থাকতে আর ইচ্ছে করছে না। আমার বয়স এখন সাতচল্লিশ। এই সাতচল্লিশ বছরকে আমার কাছে এখন হাজার বছর মনে হচ্ছে। আমি এই … বিস্তারিত পড়ুন

ছোটগল্প: রিভেঞ্জ

মধ্যরাত। সময়টা আনুমানিক সাড়ে বারোটা প্রায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। মেঘের রাশি থেকে বেরিয়ে আসা পানির ফোঁটাগুলো প্রচন্ড বেগে আঘাত হানছে কনস্টেবল নিজামের গায়ে। কিন্তু শরীরের উপর হালকা স্বচ্ছ রেইনকোট থাকায় পানির ক্ষুদ্র ফোঁটাগুলো তাকে ভিজিয়ে দিতে পারছে না। নির্ঘুম চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে রাস্তার বাঁকটা পার হলো সে। এবং সাথে সাথেই থমকে দাঁড়াল। সামান্য … বিস্তারিত পড়ুন

রবিন একটি ভালো ছেলে ! ছোট গল্প

রবিন তার হাতের স্যুটকেসটাকে প্রথমে গাড়ি পেছনে রাখলেও পরে রবিন ভাবলো নাহ! যে দিনকাল পড়েছে চুরবাটপার সব দেশেই তবু অ্যামেরিকার গুইন শহরে এর একটু বেশিই আড্ডা । চোরের ভয়ে রবিন স্যুটকেসটাকে গাড়ির পেছন থেকে এনে এবার গাড়ির ওপরে ভালো ভাবে বেঁধে নিল । এখন পুরো নিরাপদ সে । আজ কাল যা হয়েছে সারজেনের চেয়ে ট্রাফিক … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!