অপঠিত “মা”, প্রার্থনা ও বাজি

আজকাল গুলশানের কথা বড় বেশি মনে পড়ে সন্ধ্যারাণীর। একটু খুঁটিয়ে দেখলে ঠিক গুলশান না, তার ঘরের তাকে রাখা কালচে-সবুজ মলাটের বইটার কথাই মনে পড়ে, প্রথম পাতায় নিউজপ্রিন্টের চোষকাগজে ফাউন্টেন পেনের নীল কালিতে শিরাউপশিরা বের করা- ‘গুলশানকে শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ ক্ষুদ্র উপহার, ইতি কাজল’- লেখাটাও তার চোখে ভাসে। বইটা সে পড়ে নি, শুধু দেখেছিল; তাও অন্তত … বিস্তারিত পড়ুন

এ্যাপ্লিকেশন

অনেক অনেক দিন আগে। আমাদের একটি পারিবারিক ছাগল ছিলো। দুধ দেয়ার জন্য বিশেষ আদর-যত্ন করে পালা হতো ছাগলটিকে। আমার মা গরুর দুধ খেতেন না তখন, বড় ভাইয়াও খেতেন না। গরুর দুধ, মাংস সব বারণ। এ্যাজমা (হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট নামেও পরিচিত) আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। বড় ভাইয়া আর আমার মায়ের ঐতিহ্যবাহী রোগটি এখন আমি বহন করছি। ঐতিহ্য খুব … বিস্তারিত পড়ুন

ছুটি কিংবা অবসরের উপাখ্যান

ধরি আমার মৃত্যু হয়েছে। অংকের দুই পাশের পক্ষের মত আমার বেহুলা আছে, আমি লক্ষ্মীন্দর। আমার নশ্বর দেহটার পাশে আমার সমস্ত সত্ত্বা বা আমার লেখনি জীবন বেহুলার রূপ ধরে স্বামীর মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে অকূল সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে বিলাপ করে বেড়াবে হয়তো। নারায়ণদেবের বেহুলার সেই মর্মস্পর্শী পংক্তিগুলোর মত হবে সেই বেহুলার আর্তনাদ- “জাগ প্রভু কালিন্দী নিশাচরে ঘুচাও … বিস্তারিত পড়ুন

হুমায়ূন আহমেদের চশমা

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে কিছু লিখিনি। পরের বছরও কিছু লিখতে পারিনি। এবার বেশ কিছুদিন আগে থেকে চিন্তা করেছিলাম মৃত্যু দিবসে কিছু লিখবো । সেই কারনেই এই লেখার অবতারনা। লেখাটা কোন ধরনের উচ্চমার্গের বিশ্লেষন না , কিংবা তার প্রশংসাগাথা বা নির্মম সমালোচনাও না । নেহাত একজন প্রাক্তন ভক্তের সাদাসিধে স্মৃতিচারন। ইচ্ছা ছিলো হুমায়ূনের বই … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষ্যাত

“গাজী কাওকাব আফরোজ, কাউ আর কাফ, গরু আর বাছুর একসাথে একই নামের মধ্যে, আজিব ব্যাপার!” সালাম বিনিময়ের পরপরই বসের মুখে এ কথা শুনলে যে-কারোরই চমকে ওঠার কথা, আশফাকেরও তাই হলো। লাঞ্চের পর সে গিয়েছিল একটা তহশিল ভিজিটে, ফিরে এসে অফিসের সামনে বসের গাড়ি দেখে যথেষ্ট অবাক হয়েছে। ফিল্ড লেভেলে সিনিয়র অফিসার খবর না দিয়ে হঠাৎ … বিস্তারিত পড়ুন

ভোরের অধিগ্রহণ

১ সন্ধ্যার পরে রাতটা ঝুপ করে নামে, আর জাহানারার চোখ আর কান সজাগ হয়ে উঠে। মাটি থেকে মাথা তোলা ভেজা কুয়াশা তার শন হয়ে যাওয়া চুল কামড়ে ধরে, তার কণ্ঠ হয়ে যায় ঘর্ঘরে। প্রথম প্রথম হাজেরার কেমন গা কাটকাটা দিয়ে উঠতো, কিন্তু এখন সে নিশ্চিন্ত ঘুমায়। এমন অসংখ্য পূর্নিমা, অমাবস্যা, শীত-গ্রীষ্ম রাত এই গাছটার কাছে … বিস্তারিত পড়ুন

শঙ্খবাস

চারিদিকে তাকালে ঘোরলাগা অন্ধকারে দৃষ্টি সওয়াতে সময় দিতে হয় । এমন আবছা অন্ধকারেই রোজ জাল নিয়ে বেড়িয়ে যায় কালাম । উঠোনে রাতেই পানি উঠিয়ে রাখে জরি । সুপারি গাছের পাতা দিয়ে যত্ন করে ঢেকে রেখে পাশে বদনাটা রাখতেও কখনও ভুল হয় না তার । এত সকালে উঠে লোকটা কাজে যায় , ভাবতেই খুব খারাপ লাগে … বিস্তারিত পড়ুন

কবিয়াল

সৈকতের লাল কাঁকড়ার মত হুট করে কোথায় যেন গায়েব হয়ে গেল লাল টকটকে সূর্যটা। বালুর কোন গর্তে লুকিয়েছে সূর্যটা- ছানি পড়া চোখে মাঝি ভাল করে দেখতে পায়নি। নাম মাঝি হলেও এই বেয়াল্লিশ বছরের দীর্ঘ জীবনে লগি-বৈঠা ছুঁয়েও দেখেনি কখনো। ভাল করে সাঁতারও জানে না। পুকুর ঘাটে কোমর পানিতে নেমে গোসল করেই জীবন গেছে। গলা পানিতে … বিস্তারিত পড়ুন

গোফাগুন–কুলদা রায়

মাকে বলব না। কাউকে বলব না। বলা যাবে না। সকাল থেকেই রোদ উঠেছে। ফুল ফুটেছে। হাতি নাচছে। ঘোড়া নাচছে। আজ অন্য কিছু হবে। ভিন্নতর কিছু হবে। যে লোকটিকে চিনি তাকে তো চিনিই না। দাদা বলল, চল না, চল না যাই। দাদা বলছে যাবে। দাদা কিন্তু যাবে না। অথচ যেতে চায়। অধীর হয়ে বলছে, চল না … বিস্তারিত পড়ুন

গল্প- সূর্যাস্ত, বৃষ্টি ও দরজা

জেগে ওঠার পর থেকে কিছুই বুঝতে পারছে না রেজা। অস্পষ্ট লাগছে সব। বিছানায় শুয়ে আছে ও, এটা শুধু বুঝতে পারে। কাঁথা একটা গায়ে চাপা দেয়া। গন্ধ আসছে সেটা থেকে। শুকনো গন্ধ। সর্দি লাগলে যেমন করে নাকটা, তেমন করছে। কয়েকবার শ্বাস ছাড়ে জোরে জোরে। সর্দি লাগল নাকি? ঘুমাবার আগে তো সর্দি ছিল না? ধুলো দিয়ে ভর্তি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!