ফলকনামা — নির্মাল্য

সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না প্রতুলের। গালভরা নাম হলে কি হবে, পাড়ায় আর পার্টি অফিসে তিনি পুঁটু’দা নামেই বিখ্যাত। কলেজ থেকেই যখন রাজনীতি করছেন, তখনই প্রথম দেওয়াল লিখনে নিজের নাম দেখে চমকে উঠেছিলেন। পুঁটুদা’কে এই চিহ্নে ভোট দিন। “ট” এর টিকি’র ওপর থেকে ধারালো কাস্তে উঁকি মারছে। সিনিয়র নেতাকে পুঁটু নামটা নিয়ে আপত্তি করতেই একসার … বিস্তারিত পড়ুন

কিস্তিমাত — তপোব্রত

কথাটা শুনে দাবার বোর্ড থেকে মুখটা তুলে একবার প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখের দিকে তাকালেন আর্থার। চশমার আড়ালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর চোখগুলো তখন খুশিতে জ্বলজ্বল করছে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বোর্ডের দিকেই চোখ ফেরালেন তিনি। কোনো রাস্তা আছে কি কিস্তি বাঁচানোর? বোর্ডের ওপর গুটি বেশি নেই। অনেকক্ষণ ধরে খেলা হচ্ছে তাই বেশিরভাগ গুটিই বোর্ডের বাইরে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আর্থারের সাদা … বিস্তারিত পড়ুন

ভালো কাজ

কাল শুক্রবার। স্কুল বন্ধ। মাস্টার মশাই সব ছাত্র ছাত্রীকে বললেন, -আগামীকাল তোরা সবাই একটা একটা করে ভালো কাজ করবি। আর শনিবার দিন আমি ক্লাসে একে একে সবাইকে জিজ্ঞেস করবো তোরা কে কি করেছিস । মনে থাকবেতো? সবাই সমস্বরে বলল, -জি মাস্টার মশাই। একটু পরে স্কুল ছুটি। প্রতিদিনের মতো ক্লাস শেষ হবার আগে ছাত্র ছাত্রীরা মাস্টার … বিস্তারিত পড়ুন

তিন পুরুষ

একজন সাদেক সাহেব। প্রতিদিন সকালে মসজিদে যান নামাজ পড়তে। সেখান থেকে মর্ণিং ওয়াকে বের হন। রোজকার অভ্যাস। আজ বছর দশ হল সরকারি চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন অফুরন্ত অবসর। কিন্তু সময় যে কাটেনা! আজও একা একা হাঁটতে বের হয়েছেন। মসজিদটা বাজারের ঠিক মাঝে। গার্লস স্কুলের পিছনদিকে। ফজরের নামাজে যে ক’জন মুসল্লী আসেন তাদের ভিতরে কয়েকজন … বিস্তারিত পড়ুন

ভীতু কামা— আফ্রিকার রূপকথা

এক যে ছিল ছোট ছেলে, তার নাম ছিল কামা। সে এতটুকু মানুষ ছিল, তার পেটটি ছিল বড়, হাত-পা ছিরল কাঠি কাঠি। সে অন্য ছেলেদের সঙ্গে জোরে পারত না, খেলতে গেলে খালি তাদের হাতে মার খেত। বেচারা চুপ করে সে সব সয়ে থাকত, তার গায়ে জোর ছিল না, কাজেই কি নিয়ে ঝগড়া করবে? তার ইচ্ছা হত … বিস্তারিত পড়ুন

হাজার বছরের গল্প—সোনালী মিত্র

সবে সন্ধ্যা নেমেছে, চারিদিক ঝিঁঝিঁ ডাকা স্তূপাকার অন্ধকার।ধূপ আর ধুনোর মোহময় শুদ্ধতায় পরিবেশে স্থিতিশীল একটা কেন্দ্রীভূত সুর ভাসছে। মন্দিরের প্রদীপ ঘণ্টার আওয়াজে কেঁপে কেঁপে উঠে এক ছান্দিক মূর্ছনায় ভরিয়ে তুলছে গর্ভগৃহ, দ্বিজ সুমন্তক নিশীথকালীন শেষ আরতি সমাপন করে ঈশ্বরের ধ্যানে লীন হতে চান কিছুক্ষণ, কিন্তু আজ তার মনে বড়ই চঞ্চল, মন জুড়ে বড়ই সংশয়, আগামী … বিস্তারিত পড়ুন

কৃষ্ণলক্ষ্মী—- -তারাপদ রায়

ক্রিস্টাইন মনরো, নাম শুনে মনে হতে পারে পরমা সুন্দরী। মেরিলিন মনরোর আত্মীয়া। কিন্তু তা নয়। সে একটি কলহ পরায়ণা অথচ নরম মনের কালো মেয়ে। কালো তা সে যতই কালো হোক, তার থেকেও সে অনেক বেশি কালো। চেহারায়, চরিত্রে। অকালমৃতা চিত্রতারকা স্বপ্নসুন্দরী মেরিলিন মনরোর সঙ্গে তার কোনও তুলনাই হয় না। ক্রিষ্টাইন মনরোকে পাড়ার আট-দশ জনের মতো … বিস্তারিত পড়ুন

একদিন অনেক রাতে—দিব্যেন্দু পালিত

তেমন কোনও কাজ ছিল না বলে কমপিউটার খুলে বসেছিল নীলা। তাতেও যে খুব মন লাগছিল তা নয়, আজকাল যে-কোনও কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই সে উল্টোপাল্টা ভাবে। দুপুরে এক বার দেখেছিল, এখনও দেখল ই-মেলে কোনও মেসেজ নেই। তাতে হতাশ হলেও দুঃখিত হল না সে। কে-ই বা পাঠাবে! শেষ মেসেজ পাঠিয়েছিল তার দাদা হিন্দোল, কাল বিকেলে, এখানে … বিস্তারিত পড়ুন

আশরাফ সাহেবের গরু কেনা

আশরাফ সাহেব চিন্তায় চিন্তায় মহা অস্হির হয়ে গেছেন । গরু কেনার গুরু দায়িত্বটা পড়েছে এবার উনার উপর । উনার অস্হিরতা সংক্রামক ব্যাধির মত পরিবারের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে । সংক্রামকের কাজটা অবশ্য আশরাফ সাহেব নিজেই করে থাকেন । তিনি ঘরের ভিতর পায়চারি করছেন । আর বলছেন, ইশ বড় ভাই এভাবে চলে গেলেন কেন ! তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

টুকুর দিনরাত্রি

দুই হাঁটু এক জায়গা করে তার ওপর থুতনি, আর হাতদুটো পায়ের পাতার কাছে রেখে আঙুলের ফাঁকে আঙুল ঢুকিয়ে বাঁশের চাঙায় বসে আছে টুকু। আজহারের দোকানের সামনের চাঙা। মুদি দোকান। কিন্তু চা’ও বিক্রি করে আজহার। আজহারের দোকানের পাশেই জাহাঙ্গীরের হোটেল। তার ওপাশে দিলীপের সেলুন। তিন রাস্তার মোড়ে চার-পাঁচটি দোকান। মাঝ বয়সী হেমন্ত। কিন্তু সন্ধ্যার পরপরই অন্ধকারের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!