সমতের বিচার

দেখতে খুব সুন্দর সোনালী এক কুকুরছানা। যে একবার দেখেছে সেই সুন্দর বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। সবাই সুন্দর বলতে বলতে তার আসল নামটাই ঢাকা পড়ে গেছে। কুকুরছানার নাম হয়ে গেছে সুন্দর। পাড়ায় যারা নতুন, তারা অবশ্য সুন্দরের নাম শুনে অবাক হয়। সুন্দর কারও নাম হতে পারে? তাও আবার কুকুরছানার? নামে সুন্দর হলেও কাজেকর্মে কতটা সুন্দর তা নিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

সাদা হাতির অপেক্ষা—শওকত নূর

হাতিটি যখন দু’গাঁয়ের মধ্যকার ফাঁকা জায়গায় এসে হাজির হয়, তখন পড়ন্ত বিকেল। খবর পৌঁছতেই দু’গাঁয়ের লোকেদের মধ্যে তুমুল হইহট্টগোল পড়ে যায়। একই রকমের সাড়া পড়ে যায় আশপাশের পাখপাখালি, কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট প্রাণীদের মধ্যেও। বন অধ্যুষিত দুই গাঁ। লোকেদের মধ্যে সবসময় ঝগড়া ফ্যাসাদ লেগেই থাকত। এ কাজে তারা মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গটিকে ব্যবহার করত। সমবেত হয়ে তারা … বিস্তারিত পড়ুন

পুঁই মাচা-২য়অংশ–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

অন্নপূর্ণা তেলে-বেগুনে জুলিয়া উঠিলেন-কেন, তোমাকে একঘরে করতে বেশিকিছু লাগে নাকি? তুমি কি সমাজের মাথা না একজন মাতব্বর লোক? চাল নেই চুলো নেই, এক কড়ার মুরোদ নেই, চৌধুরীরা তোমায় একঘরে করবে তা আর এমন কঠিন কথা কী? —আর সত্যিই তো এদিকে ধাড়ী মেয়ে হয়ে উঠল।… হঠাৎ স্বর নামাইয়া বলিলেন-হল যে পনেরো বছরের, বাইরে কমিয়ে বলে বেড়ালে … বিস্তারিত পড়ুন

একজন মা হারা বীথি

আজ প্রথম দিন, স্কুলে যাবে বীথি মায়ের সাথে। শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে সে। তার মতোই ছোট্ট একটি ইউনিফর্ম সেলাই করে এনে দিয়েছে তার মা। সেলাই করা ইউনিফর্মটি ভার না হতেই পরে নেয় বীথি। ভোরে আসমান ছোঁয়া আনন্দের কারণে রাতে ভালো করে ঘুমই হয়নি। কখন সকাল হবে, নতুন ইউনিফর্ম পরে মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাবে—এই অপেক্ষায় … বিস্তারিত পড়ুন

ক্লাস ফ্রেণ্ড — সত্যজিৎ রায়-৩য় পর্ব

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। মোহিত এতক্ষণে উঠে দাঁড়িয়েছেন। সামনের সোফায় আগন্তুক বসার পর মোহিতও তাঁর নিজের জায়গায় বসলেন। মোহিতের নিজের ছাত্রজীবনের কয়েকটা ছবি তাঁর অ্যালবামে আছে; সেই ছবিতে চোদ্দ বছর বয়সের মোহিতের সঙ্গে আজকের মোহিতের আদল বার করতে অসুবিধা হয় না। তাহলে এঁকে চেনা এত কঠিন হচ্ছে কেন? ত্রিশ বছরে একজনের চেহারায় … বিস্তারিত পড়ুন

ক্লাস ফ্রেণ্ড — সত্যজিৎ রায়-চতুর্থ পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। কথায় বলে—শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়—অথচ তাতে শেষ অবধি শরীরটা গিয়ে কী দাঁড়ায় তা তো আর বলে না। সেটা আমায় দেখে বুঝতে হবে।’ বিপিন চা এনে দিল। সঙ্গে প্লেটে সন্দেশ আর শিঙাড়া। গিন্নির খেয়াল আছে বলতে হবে। ক্লাস ফ্রেন্ডের এই ছিরি দেখলে কী ভাবতেন সেটা মোহিত … বিস্তারিত পড়ুন

ক্লাস ফ্রেণ্ড — সত্যজিৎ রায়-শেষ পর্ব

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করন। আগন্তুক চায়ের কাপে শেষ চুকুম দিয়ে সেটা নামিয়ে রাখতেই ঘরে আরেকজন পুরুষ এসে ঢুকলেন। ইনি মোহিতের অন্তরঙ্গ বন্ধু বাণীকান্ত সেন। আরো দুজন আসার কথা আছে, তারপর তাসের আড্ডা বসবে। এটা রোজকার ঘটনা। বাণীকান্ত ঘরে ঢুকেই যে আগন্তুকের দিকে একটা সন্দিগ্ধ দৃষ্টি দিলেন সেটা মোহিতের দৃষ্টি এড়াল না। আগন্তুকের … বিস্তারিত পড়ুন

ভূত ধরলেন বিনোদবিহারী — উল্লাস মল্লিক-১ম পর্ব

গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। প্রোফেসার বিনোদবিহারী টেনশন শুরু হল। টেনশন হলেই তার হার্টবিট বেড়ে যায়, প্রবল ঘাম হয় এবং বঁই-বঁই করে মাথা ঘুরতে থাকে। মোটের ওপর, কাজকর্ম ভণ্ডুল। অথচ সময়টা এমনই যে, কাজ না করলে সব গুবলেট হয়ে যাবে। নিজের সুনাম যাবে, সরকার আর দেশের পাঁচজনের কাছে মুখ দেখাবার উপায় থাকবে না। … বিস্তারিত পড়ুন

ভূত ধরলেন বিনোদবিহারী — উল্লাস মল্লিক-২য় পর্ব

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তারপর চারশো পঞ্চাশ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি ছোটালেন অমৃতসরের দিকে। হার্ট-ব্যাঙ্কের পার্কিং জোনে গাড়ি পার্ক করে একটু এগোতেই প্রোফেসর গোবিন্দলাল বর্মনের সঙ্গে দেখা। গোবিন্দলাল বর্মনের ওপর ভোঁদড়ের দায়িত্ব ছিল। যত দূর জানেন বিনোদবিহারী, গোবিন্দলাল লুপ্তপ্রায় বাংলাদেশি ভোঁদড় জোগাড় করে ফেলেছেন। নিউজ চ্যানেলগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল সংবাদটা। কারণ … বিস্তারিত পড়ুন

ভূত ধরলেন বিনোদবিহারী — উল্লাস মল্লিক-৩য় পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ক’দিন আগেই তো, রান্নাঘরে খুটুর-খুটুর শব্দ শুনে বড় মাসিমা উঁকি দিয়ে দেখেন, কালোমতো কেউ একটা উবু হয়ে বসে মাছভাজা খাচ্ছে। চোরছাঁচড় হবে ভেবে বড় মাসিমা ‘চোর-চোর চিৎকার করে উঠলেন। সেই চিৎকার শুনে ভূতটা এত ঘাবড়ে গেল যে, বলার নয়। সোজা বড় মাসিমার পা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!