দালিয়া-প্রথম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পরাজিত শা সুজা ঔরঞ্জীবের ভয়ে পলায়ন করিয়া আরাকান-রাজের আতিথ্য গ্রহণ করেন । সঙ্গে তিন সুন্দরী কন্যা ছিল । আরাকান-রাজের ইচ্ছা হয় , রাজপুত্রদের সহিত তাহাদের বিবাহ দেন । সেই প্রস্তাবে শা সুজা নিতান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করাতে একদিন রাজার আদেশে তাঁহাকে ছলক্রমে নৌকাযোগে নদীমধ্যে লইয়া নৌকা ডুবাইয়া দিবার চেষ্টা করা হয় । সেই বিপদের সময় কনিষ্ঠা … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধিত পাষাণ–১ম পর্ব–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি এবং আমার আত্মীয় পূজার ছুটিতে দেশভ্রমণ সারিয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আসিতেছিলাম, এমন সময় রেলগাড়িতে বাবুটির সঙ্গে দেখা হয় । তাঁহার বেশভূষা দেখিয়া প্রথমটা তাঁহাকে পশ্চিমদেশীয় মুসলমান বলিয়া ভ্রম হইয়াছিল । তাঁহার কথাবার্তা শুনিয়া আরো ধাঁধা লাগিয়া যায় । পৃথিবীর সকল বিষয়েই এমন করিয়া আলাপ করিতে লাগিলেন , যেন তাঁহার সহিত প্রথম পরামর্শ করিয়া বিশ্ববিধাতা সকল … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধিত পাষাণ–২য় পর্ব–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আড়াই শত বৎসরের কৃষ্ণবর্ণ যবনিকা ঠিক আমার সম্মুখে দুলিতেছে- ভয়ে ভয়ে একটি ধার তুলিয়া ভিতরে দৃষ্টিপাত করি — সেখানে বৃহৎ সভা বসিয়াছে , কিন্তু গাঢ় অন্ধকারে কিছুই দেখা যায় না। হঠাৎ গুমট ভাঙিয়া হু হু করিয়া একটা বাতাস দিল — শুস্তার স্থির জলতল দেখিতে দেখিতে অপ্সরীর কেশদামের মতো কুঞ্চিত হইয়া উঠিল, এবং সন্ধ্যাছায়াচ্ছন্ন সমস্ত বনভূমি … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধিত পাষাণ–৩য় পর্ব–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সাজ পরা একটি ভীষণ কাফ্রি খোজা কোলের উপর খোলা তলোয়ার লইয়া দুই পা ছড়াইয়া দিয়া বসিয়া ঢুলিতেছে। দূতী লঘুগতিতে তাহার দুই পা ডিঙাইয়া পর্দার এক প্রান্তদেশ তুলিয়া ধরিল। ভিতর হইতে একটি পারস্য-গালিচা-পাতা ঘরের কিয়দংশ দেখা গেল। তক্তের উপরে কে বসিয়া আছে দেখা গেল না — কেবল জাফরান রঙের স্ফীত পায়জামার নিম্নভাগে জরির-চটি-পরা দুইখানি ক্ষুদ্র সুন্দর … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধিত পাষাণ–৪য় পর্ব–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কটাক্ষের আঘাত । কী অসীম ঐশ্বর্য , কী অনন্ত কারাগার । দুই দিকে দুই দাসী বলয়ের হীরকে বিজুলি খেলাইয়া চামর দুলাইতেছে । শাহেনশা বাদশা শুভ্র চরণের তলে মণিমুক্তাখচিত পাদুকার কাছে লুটাইতেছে ; বাহিরের দ্বারের কাছে যমদূতের মতো হাবশি দেবদূতের মতো সাজ করিয়া , খোলা তলোয়ার হাতে দাঁড়াইয়া । তাহার পরে সেই রক্তকলুষিত ঈর্ষাফেনিল ষড়যন্ত্রসংকুল ভীষণোজ্জ্বল … বিস্তারিত পড়ুন

গিন্নি–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছাত্রবৃত্তি ক্লাসের দুই-তিন শ্রেণী নীচে আমাদের পণ্ডিত ছিলেন শিবনাথ। তাঁহার গোঁফদাড়ি কামানো, চুল ছাঁটা এবং টিকিটি হ্রস্ব। তাঁহাকে দেখিলেই বালকদের অন্তরাত্মা শুকাইয়া যাইত। প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়, যাহাদের হুল আছে তাহাদের দাঁত নাই। আমাদের পণ্ডিতমহাশয়ের দুই একত্রে ছিল। এ দিকে কিল চড় চাপড় চারাগাছের বাগানের উপর শিলাবৃষ্টির মতো অজস্র বর্ষিত হইত, ও দিকে তীব্র বাক্যজ্বালায় … বিস্তারিত পড়ুন

চিত্রকর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় পর্ব

রঙ্গলাল চিত্রবিদ্যায় হঠাৎ নামজাদা হয়ে উঠলেন । অর্থাৎ, দেশের রসিক লোক তাঁর রচনার অদ্ভুতত্ব দিয়ে খুব অট্টহাস্য জমালে । তারা যেরকম কল্পনা করে তার সঙ্গে তাঁর কল্পনার মিল হয় না দেখে তাঁর গুণপনার সম্বন্ধে তাদের প্রচণ্ড অবজ্ঞা হল । আশ্চর্য এই যে , এই অবজ্ঞার জমিতেই বিরোধ-বিদ্রূপের আবহাওয়ায় তাঁর খ্যাতি বেড়ে উঠতে লাগল ; যারা … বিস্তারিত পড়ুন

জয়পরাজয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

রাজকন্যার নাম অপরাজিতা । উদয়নারায়ণের সভাকবি শেখর তাঁহাকে কখনো চক্ষেও দেখেন নাই । কিন্তু যে দিন কোনো নূতন কাব্য রচনা করিয়া সভাতলে বসিয়া রাজাকে শুনাইতেন সেদিন কণ্ঠস্বর ঠিক এতটা উচ্চ করিয়া পড়িতেন যাহাতে তাহা সেই সমুচ্চ গৃহের উপরিতলের বাতায়নবর্তিনী অদৃশ্য শ্রোত্রীগণের কর্ণপথে প্রবেশ করিতে পারে । যেন তিনি কোনো-এক অগম্য নক্ষত্রলোকের উদ্দেশে আপনার সংগীতোচ্ছ্বাস প্রেরণ … বিস্তারিত পড়ুন

জয়পরাজয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

প্রতিঘাত করিতে লাগিল , এবং কেবল সেই ধ্বনির বেগে সমস্ত জনমণ্ডলীর বক্ষকবাট থর্ থর্ করিয়া স্পন্দিত হইয়া উঠিল । কত কৌশল , কত কারুকার্য , উদয়নারায়ণ নামের কতরূপ ব্যাখ্যা , রাজার নামাক্ষরের কতদিক হইতে কতপ্রকার বিন্যাস , কত ছন্দ , কত যমক । পুণ্ডরীক যখন শেষ করিয়া বসিলেন , কিছুক্ষণের জন্য নিস্তব্ধ সভাগৃহ তাঁহার কণ্ঠের … বিস্তারিত পড়ুন

জয়পরাজয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৩য় অংশ

বাঁশির গান , যমুনার কল্লোল , প্রেমের মোহ একেবারে দূর হইয়া গেল ; যেন পৃথিবীর উপর হইতে কে একজন বসন্তের সবুজ রঙটুকু মুছিয়া লইয়া আগাগোড়া পবিত্র গোময় লেপন করিয়া গেল । শেখর আপনার এতদিনকার সমস্ত গান বৃথা বোধ করিতে লাগিলেন ; ইহার পরে তাঁহার আর গান গাহিবার সামর্থ্য রহিল না । সেদিন সভা ভঙ্গ হইল … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!