নষ্টনীড়-প্রথম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভূপতির কাজ করিবার কোনো দরকার ছিল না। তাঁহার টাকা যথেষ্ট ছিল, এবং দেশটাও গরম। কিন্তু গ্রহবশত তিনি কাজের লোক হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। এইজন্য তাঁহাকে একটা ইংরেজি খবরের কাগজ বাহির করিতে হইল। ইহার পরে সময়ের দীর্ঘতার জন্য তাঁহাকে আর বিলাপ করিতে হয় নাই। ছেলেবেলা হইতে তাঁর ইংরেজি লিখিবার এবং বক্তৃতা দিবার শখ ছিল। কোনোপ্রকার প্রয়োজন না … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাগানের সংকল্প তাহাদের অন্যান্য অনেক সংকল্পের ন্যায় সীমাহীন কল্পনাক্ষেত্রের মধ্যে কখন হারাইয়া গেল তাহা অমল এবং চারু লক্ষও করিতে পারিল না। এখন অমলের লেখাই তাহাদের আলোচনা ও পরামর্শের প্রধান বিষয় হইয়া উঠিল। অমল আসিয়া বলে, “বোঠান, একটা বেশ চমৎকার ভাব মাথায় এসেছে।” চারু উৎসাহিত হইয়া উঠে; বলে, “চলো, আমাদের দক্ষিণের বারান্দায়–– এখানে এখনই মন্দা পান … বিস্তারিত পড়ুন

দালিয়া-পঞ্চম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তাহার পরদিনই রহমত শেখ জুলিখাকে গোপনে পত্র লিখিল যে , ‘ আরাকানের নূতন রাজা ধীবরের কুটিরে দুই ভগ্নীর সন্ধান পাইয়াছেন এবং গোপনে আমিনাকে দেখিয়া অত্যন্ত মুগ্ধ হইয়াছেন- তাহাকে বিবাহার্থে অবিলম্বে প্রাসাদে আনিবার আয়োজন করিতেছেন । প্রতিহিংসার এমন সুন্দর অবসর আর পাওয়া যাইবে না । ‘ তখন জুলিখা দৃঢ়ভাবে আমিনার হাত ধরিয়া কহিল , “ ঈশ্বরের … বিস্তারিত পড়ুন

দালিয়া-ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অশ্বারোহী, পদাতিক, নিশান, হস্তী, বাদ্য এবং আলোকে ধীবরের ঘর দুয়ার ভাঙিয়া পড়িবার জো হইল । রাজপ্রাসাদ হইতে স্বর্ণমণ্ডিত দুই শিবিকা আসিয়াছে । আমিনা জুলিখার হাত হইতে ছুরিখানি লইল । তাহার হস্তিদন্তনির্মিত কারুকার্য অনেকক্ষণ ধরিয়া দেখিল । তাহার পর বসন উদ্‌ঘাটন করিয়া নিজের বক্ষের উপর একবার ধার পরীক্ষা করিয়া দেখিল । জীবনমুকুলের বৃন্তের কাছে ছুরিটি একবার … বিস্তারিত পড়ুন

এক টাকা

এক. পাটুরিয়া ফেরী ঘাটে যখন সুজয়দের বাসটি পৌঁছে তখন বাজে রাত পৌনে একটা আর সুজয় ছিল গভীর ঘুমে অচেতন। ঈদের ছুটি শেষে ভার্সিটিতে ফিরছে সে, বাস ভর্তি মেডিকেল, খুলনা ভার্সিটি আর কুয়েটের ছাত্রছাত্রী, দু একজন বাদে। আজ মনে হয় ভাগ্য ভালো, বড় ফেরীতেই উঠেছে ঈগল পরিবহনের চেয়ারকোচ ননএসি এই বাসটি। পেছনের সিট থেকে মাথায় চাটি … বিস্তারিত পড়ুন

ত্যাগ–প্রথম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফাল্গুনের প্রথম পূর্ণিমায় আম্রমুকুলের গন্ধ লইয়া নব বসন্তের বাতাস বহিতেছে। পুষ্করিণীতীরের একটি পুরাতন লিচুগাছের ঘন পল্লবের মধ্য হইতে একটি নিদ্রাহীন অশ্রান্ত পাপিয়ার গান মুখুজ্যেদের বাড়ির একটি নিদ্রাহীন শয়নগৃহের মধ্যে গিয়া প্রবেশ করিতেছে। হেমন্ত কিছু চঞ্চলভাবে কখনো তার স্ত্রীর একগুচ্ছ চুল খোঁপা হইতে বিশ্লিষ্ট করিয়া লইয়া আঙুলে জড়াইতেছে, কখনো তাহার বালাতে চুড়িতে সংঘাত করিয়া ঠুং ঠুং … বিস্তারিত পড়ুন

ত্যাগ–দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

হেমন্ত বাহির হইতে ফিরিয়া আসিয়া স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিল, “সত্য কি।” স্ত্রী কহিল, “সত্য।” “এতদিন বল নাই কেন।” “অনেকবার বলিতে চেষ্টা করিয়াছি, বলিতে পারি নাই। আমি বড়ো পাপিষ্ঠা।” “তবে আজ সমস্ত খুলিয়া বলো।” কুসুম গম্ভীর দৃঢ়স্বরে সমস্ত বলিয়া গেল— যেন অটলচরণে ধীরগতিতে আগুনের মধ্যে দিয়া চলিয়া গেল, কতখানি দগ্ধ হইতেছিল কেহ বুঝিতে পারিল না। সমস্ত শুনিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

দালিয়া-প্রথম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পরাজিত শা সুজা ঔরঞ্জীবের ভয়ে পলায়ন করিয়া আরাকান-রাজের আতিথ্য গ্রহণ করেন । সঙ্গে তিন সুন্দরী কন্যা ছিল । আরাকান-রাজের ইচ্ছা হয় , রাজপুত্রদের সহিত তাহাদের বিবাহ দেন । সেই প্রস্তাবে শা সুজা নিতান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করাতে একদিন রাজার আদেশে তাঁহাকে ছলক্রমে নৌকাযোগে নদীমধ্যে লইয়া নৌকা ডুবাইয়া দিবার চেষ্টা করা হয় । সেই বিপদের সময় কনিষ্ঠা … বিস্তারিত পড়ুন

দালিয়া-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছোটো নদীটি বহিয়া যাইতেছিল, এবং প্রথম গ্রীষ্মের শীতল প্রভাতবায়ুতে কৈলু গাছের রক্তবর্ণ পুষ্পমঞ্জরী হইতে ফুল ঝরিয়া পরিতেছিল । গাছের তলায় বসিয়া জুলিখা আমিনাকে কহিল , “ ঈশ্বর যে আমাদের দুই ভগ্নীকে মৃত্যুর হাত হইতে রক্ষা করিয়াছেন, সে কেবল পিতার হত্যার প্রতিশোধ লইবার জন্য । নহিলে আর তো কোনো কারণ খুঁজিয়া পাই না । ” আমিনা … বিস্তারিত পড়ুন

দালিয়া-তৃতীয় পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জুলিখা আমিনার অবস্থা চিন্তা করিয়া ভারি বিমর্ষ হইয়া চুপ করিয়া বসিয়া রহিল । এমন সময় হঠাৎ ধুপ্‌ করিয়া একটা লম্ফের শব্দ হইল এবং পশ্চাৎ হইতে কে একজন জুলিখার চোখ টিপিয়া ধরিল । জুলিখা ত্রস্ত হইয়া কহিল , “ কেও । ” স্বর শুনিয়া যুবক চোখ ছাড়িয়া দিয়া সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল; জুলিখার মুখের দিকে চাহিয়া অম্লানবদনে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!