কর্মফল–প্রথম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  আজ সতীশের মাসি সুকুমারী এবং মেসোমশায় শশধরবাবু আসিয়াছেন— সতীশের মা বিধুমুখী ব্যস্তসমস্তভাবে তাঁহাদের অভ্যর্থনায় নিযুক্ত। “এসো দিদি, বোসো। আজ কোন্‌ পুণ্যে রায়মশায়ের দেখা পাওয়া গেল! দিদি না আসলে তোমার আর দেখা পাবার জো নেই।” শশধর। এতেই বুঝবে তোমার দিদির শাসন কিরকম কড়া। দিনরাত্রি চোখে চোখে রাখেন। সুকুমারী। তাই বটে, এমন রত্ন ঘরে রেখেও নিশ্চিন্ত … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দাম্পত্য কলহে চৈব বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া— শাস্ত্রে এইরূপ লেখে। কিন্তু দম্পতিবিশেষে ইহার ব্যতিক্রম ঘটে, অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা তাহা অস্বীকার করেন না। মন্মথবাবুর সহিত তাঁহার স্ত্রীর মধ্যে যে বাদপ্রতিবাদ ঘটিয়া থাকে তাহা নিশ্চয়ই কলহ, তবু তাহার আরম্ভও বহু নহে, তাহার ক্রিয়াও লঘু নহে— ঠিক অজাযুদ্ধের সঙ্গে তাহার তুলনা করা চলে না । কয়েকটি দৃষ্টান্ত দ্বারা এ কথার প্রমাণ … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–তৃতীয় পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মন্মথ। ও কী ও, তোমার ছেলেটিকে কী মাখিয়েছ। বিধু। মূর্ছা যেয়ো না, ভয়ানক কিছু নয়, একটুখানি এসেন্স মাত্র। তাও বিলাতি নয়— তোমাদের সাধের দিশি। মন্মথ। আমি তোমাকে বারবার বলেছি, ছেলেদের তুমি এ-সমস্ত শৌখিন জিনিস অভ্যাস করাতে পারবে না। বিধু। আচ্ছা, যদি তোমার আরাম বোধ হয় তো কাল হতে কেরোসিন এবং ক্যাস্টর অয়েল মাখাব। মন্মথ। সেও … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–চতুর্থ পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সতীশ। জেঠাইমা। জেঠাইমা। কী বাপ। সতীশ। আজ ভাদুড়ি-সাহেবের ছেলেকে মা চা খাওয়াবেন, তুমি যেন সেখানে হঠাৎ গিয়ে পোড়ো-না। জেঠাইমা। আমার যাবার দরকার কী সতীশ। সতীশ। যদি যাও তো তোমার এ কাপড়ে চলবে না, তোমাকে— জেঠাইমা। সতীশ, তোর কোনো ভয় নেই, আমি এই ঘরেই থাকব, যতক্ষণ তোর বন্ধুর চা খাওয়া না হয়, আমি বার হব না। … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–পঞ্চম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সতীশ। মা, এমন করে তো চলে না। বিধু। কেন, কী হয়েছে। সতীশ। চাঁদনির কোট ট্রাউজার পরে আমার বার হতে লজ্জা করে। সেদিন ভাদুড়ি-সাহেবের বাড়ি ইভ্‌‌নিং পার্টি ছিল, কয়েকজন বাবু ছাড়া আর সকলেই ড্রেস সুট পরে গিয়েছিল, আমি সেখানে এই কাপড়ে গিয়ে ভারি অপ্রস্তুতে পড়েছিলাম। বাবা কাপড়ের জন্য যে সামান্য টাকা দিতে চান তাতে ভদ্রতা রক্ষা … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মিস্টার ভাদুড়ির বাড়িতে টেনিস-ক্ষেত্র নলিনী। ও কী সতীশ, পালাও কোথায়। সতীশ। তোমাদের এখানে টেনিস পার্টি জানতেম না, আমি টেনিস সুট পরে আসি নি। নলিনী। সকল গোরুর তো এক রঙের চামড়া হয় না, তোমার না হয় ওরিজিন্যাল বলেই নাম রটবে। আচ্ছা, আমি তোমার সুবিধা করে দিচ্ছি। মিস্টার নন্দী, আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ আছে। নন্দী। অনুরোধ … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–সপ্তম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শশধর। দেখো মন্মথ, সতীশের উপরে তুমি বড়ো কড়া ব্যবহার আরম্ভ করেছ; এখন বয়েস হয়েছে, এখন ওর প্রতি অতটা শাসন ভালো নয়। বিধু। বলো তো রায়মশায়। আমি তো ওঁকে কিছুতেই বুঝিয়ে পারলেম না। মন্মথ। দুটো অপবাদ এক মুহূর্তেই। একজন বললেন নির্দয়, আর-একজন বললেন নির্বোধ। যাঁর কাছে হতবুদ্ধি হয়ে আছি তিনি যা বলেন সহ্য করতে রাজি আছি- … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–অষ্টম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নলিনী। সতীশ, আমি তোমাকে কেন ডেকে পাঠিয়েছি বলি, রাগ কোরো না। সতীশ। তুমি ডেকেছ বলে রাগ করব, আমার মেজাজ কি এতই বদ। নলিনী। না, ও-সব কথা থাক্‌। সকল সময়েই নন্দী-সাহেবের চেলাগিরি কোরো না। বলো দেখি, আমার জন্মদিনে তুমি আমাকে অমন দামী জিনিস কেন দিলে। সতীশ। যাঁকে দিয়েছি তাঁর তুলনায় জিনিসটার দাম এমন কি বেশি। নলিনী। … বিস্তারিত পড়ুন

অনধিকার প্রবেশ-১ম অংশ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  একদা প্রাতঃকালে পথের ধারে দাঁড়াইয়া এক বালক আর-এক বালকের সহিত একটি অসমসাহসিক অনুষ্ঠান সম্বন্ধে বাজি রাখিয়াছিল। ঠাকুরবাড়ির মাধবীবিতান হইতে ফুল তুলিয়া আনিতে পারিবে কি না, ইহাই লইয়া তর্ক। একটি বালক বলিল “পারিব”, আর-একটি বালক বলিল, “কখনোই পারিবে না”। কাজটি শুনিতে সহজ অথচ করিতে কেন সহজ নহে তাহার বৃত্তান্ত আর-একটু বিস্তারিত করিয়া বলা আবশ্যক। পরলোকগত … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–নবম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিধু। আমার উপর রাগ কর যা কর, ছেলের উপর কোরো না। তোমার পায়ে ধরি, এবারকার মতো তার দেনাটা শোধ করে দাও। মন্মথ। আমি রাগারাগি করছি নে, আমার যা কর্তব্য তা আমাকে করতেই হবে। আমি সতীশকে বার বার বলেছি, দেনা করলে শোধবার ভার আমি নেব না। আমার সে কথার অন্যথা হবে না। বিধু। ওগো, এতবড় সত্যপ্রতিজ্ঞ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!