খাতা– ১ম অংশ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখিতে শিখিয়া অবধি উমা বিষম উপদ্রব আরম্ভ করিয়াছে । বাড়ির প্রত্যেক ঘরের দেয়ালে কয়লা দিয়া বাঁকা লাইন কাটিয়া বড়ো বড়ো কাঁচা অক্ষরে কেবলই লিখিতেছে — জল পড়ে , পাতা নড়ে । তাহার বউঠাকুরানীর বালিশের নিচে ‘ হরিদাসের গুপ্তকথা ‘ ছিল , সেটা সন্ধান করিয়া বাহির করিয়া তাহার পাতায় পাতায় পেনসিল দিয়া লিখিয়াছে — কালো জল … বিস্তারিত পড়ুন

খাতা– ২য় অংশ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজকাল বালিকার সংক্ষিপ্ত রচনার মধ্যে মধ্যে দীর্ঘ বিচ্ছেদ নাই । পূর্বোদ্ ধৃত পদটির পরেই দেখা যায় লেখা আছে — দাদা যদি একবার বাড়ি নিয়ে যায় তাহলে দাদার লেখা আর কখনো খারাপ করে দেব না । শুনা যায় , উমার পিতা উমাকে প্রায় মাঝে মাঝে বাড়ি আনিতে চেষ্টা করেন । কিন্তু, গোবিন্দলাল প্যারীমোহনের সঙ্গে যোগ দিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–পঞ্চম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সতীশ। মা, এমন করে তো চলে না। বিধু। কেন, কী হয়েছে। সতীশ। চাঁদনির কোট ট্রাউজার পরে আমার বার হতে লজ্জা করে। সেদিন ভাদুড়ি-সাহেবের বাড়ি ইভ্‌‌নিং পার্টি ছিল, কয়েকজন বাবু ছাড়া আর সকলেই ড্রেস সুট পরে গিয়েছিল, আমি সেখানে এই কাপড়ে গিয়ে ভারি অপ্রস্তুতে পড়েছিলাম। বাবা কাপড়ের জন্য যে সামান্য টাকা দিতে চান তাতে ভদ্রতা রক্ষা … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মিস্টার ভাদুড়ির বাড়িতে টেনিস-ক্ষেত্র নলিনী। ও কী সতীশ, পালাও কোথায়। সতীশ। তোমাদের এখানে টেনিস পার্টি জানতেম না, আমি টেনিস সুট পরে আসি নি। নলিনী। সকল গোরুর তো এক রঙের চামড়া হয় না, তোমার না হয় ওরিজিন্যাল বলেই নাম রটবে। আচ্ছা, আমি তোমার সুবিধা করে দিচ্ছি। মিস্টার নন্দী, আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ আছে। নন্দী। অনুরোধ … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–সপ্তম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শশধর। দেখো মন্মথ, সতীশের উপরে তুমি বড়ো কড়া ব্যবহার আরম্ভ করেছ; এখন বয়েস হয়েছে, এখন ওর প্রতি অতটা শাসন ভালো নয়। বিধু। বলো তো রায়মশায়। আমি তো ওঁকে কিছুতেই বুঝিয়ে পারলেম না। মন্মথ। দুটো অপবাদ এক মুহূর্তেই। একজন বললেন নির্দয়, আর-একজন বললেন নির্বোধ। যাঁর কাছে হতবুদ্ধি হয়ে আছি তিনি যা বলেন সহ্য করতে রাজি আছি- … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–অষ্টম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নলিনী। সতীশ, আমি তোমাকে কেন ডেকে পাঠিয়েছি বলি, রাগ কোরো না। সতীশ। তুমি ডেকেছ বলে রাগ করব, আমার মেজাজ কি এতই বদ। নলিনী। না, ও-সব কথা থাক্‌। সকল সময়েই নন্দী-সাহেবের চেলাগিরি কোরো না। বলো দেখি, আমার জন্মদিনে তুমি আমাকে অমন দামী জিনিস কেন দিলে। সতীশ। যাঁকে দিয়েছি তাঁর তুলনায় জিনিসটার দাম এমন কি বেশি। নলিনী। … বিস্তারিত পড়ুন

অনধিকার প্রবেশ-১ম অংশ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  একদা প্রাতঃকালে পথের ধারে দাঁড়াইয়া এক বালক আর-এক বালকের সহিত একটি অসমসাহসিক অনুষ্ঠান সম্বন্ধে বাজি রাখিয়াছিল। ঠাকুরবাড়ির মাধবীবিতান হইতে ফুল তুলিয়া আনিতে পারিবে কি না, ইহাই লইয়া তর্ক। একটি বালক বলিল “পারিব”, আর-একটি বালক বলিল, “কখনোই পারিবে না”। কাজটি শুনিতে সহজ অথচ করিতে কেন সহজ নহে তাহার বৃত্তান্ত আর-একটু বিস্তারিত করিয়া বলা আবশ্যক। পরলোকগত … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–নবম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিধু। আমার উপর রাগ কর যা কর, ছেলের উপর কোরো না। তোমার পায়ে ধরি, এবারকার মতো তার দেনাটা শোধ করে দাও। মন্মথ। আমি রাগারাগি করছি নে, আমার যা কর্তব্য তা আমাকে করতেই হবে। আমি সতীশকে বার বার বলেছি, দেনা করলে শোধবার ভার আমি নেব না। আমার সে কথার অন্যথা হবে না। বিধু। ওগো, এতবড় সত্যপ্রতিজ্ঞ … বিস্তারিত পড়ুন

অনধিকার প্রবেশ-২য় অংশ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এবং বাহু প্রসারিত করিয়া তুলিতে যাইবে অমনি সেই প্রবল চেষ্টার ভরে জীর্ণ মঞ্চ সশব্দে ভাঙিয়া পড়িল। আশ্রিত লতা এবং বালক একত্রে ভূমিসাৎ হইল। জয়কালী তাড়াতাড়ি ছুটিয়া আসিয়া তাঁহার ভ্রাতুষ্পুত্রটির কীর্তি দেখিলেন, সবলে বাহু ধরিয়া তাহাকে মাটি হইতে তুলিলেন। আঘাত তাহার যথেষ্ট লাগিয়াছিল, কিন্তু সে আঘাতকে শাস্তি বলা যায় না, কারণ, তাহা অজ্ঞান জড়ের আঘাত। সেইজন্য … বিস্তারিত পড়ুন

কর্মফল–দশম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভাদুড়িজায়া। শুনেছ? সতীশের বাপ হঠাৎ মারা গেছে। মিস্টার ভাদুড়ি। হাঁ, সে তো শুনেছি। জায়া। সে-যে সমস্ত সম্পত্তি হাসপাতালে দিয়ে গেছে, কেবল সতীশের মার জন্য জীবিতকাল পর্যন্ত ৭৫ টাকা মাসহারা বরাদ্দ করে গেছে। এখন কী করা যায়। ভাদুড়ি। এত ভাবনা কেন তোমার। জায়া। বেশ লোক যা হোক তুমি। তোমার মেয়ে যে সতীশকে ভালোবাসে সেটা বুঝি তুমি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!