আমাদের ছোট নদী—নির্মলেন্দু গুণ

গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব দিক ঘেঁষে ছোট্ট নদী ধলাই দূষণ আর মানুষের লোভের ফাঁদে পড়ে আমাদের অনেক নদীই আজ শ্রীহীন। স্মৃতির প্রিয় স্রোতস্বিনী হারিয়েছে তাঁর সোনালি যৌবন। এই আয়োজন আদতে বাংলাদেশের সব বিপদাপন্ন নদ-নদীর জন্য এক শোকগাথা। বর্ষায় ফুটে ওঠে বাংলাদেশের নদ-নদীর সত্যিকার রূপ। তাই বর্ষার প্রারম্ভেই নদী নিয়ে আমাদের এই আয়োজন। ‘আমি এখন পড়ি যে ভাই … বিস্তারিত পড়ুন

আসল নাম বলা যাবে না —ওকত চৌধুরী

‘ভাই, আমি কি আপনার নামটি জানতে পারি? আপনাকে কেন জানি চেনা-চেনা লাগছে। না মানে, সমস্যা থাকলে দরকার নেই। জাস্ট কিউরিসিটি।’ ‘আসল নাম তো বলা যাবে না। নকল নাম—হিট খাইছি ৪১০। পরিষ্কার শুদ্ধ উচ্চারণে বললে হিট খেয়েছি ৪১০।’ ‘জি!’ ‘কিছুই বোধহয় বুঝতে পারছেন না, তাই না?’ ‘আসলে এমন নাম হয় কিনা…এই প্রথম শুনেছি…আমার বোকামির জন্য মাফ … বিস্তারিত পড়ুন

নদীতীরে —– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

তারপর আমি ইন্দিরা গান্ধীকে জিজ্ঞেস করলুম, আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন? উনি একটু হেসে বললেন, ছেলেবেলায় আমি বইয়ের পোকা ছিলুম। —এখন বই-টই পড়ার সময় পান না বোধ হয়? সে রকম সময় পাই না, তা ঠিকই। তবে, যেটুকু সময় বাঁচানো যায়… যেমন ধরো, যখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হয়—এ রকম প্রায়ই যেতে হয়, বিমানে বসে … বিস্তারিত পড়ুন

আলো ও ছায়া— শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়–চতুর্থ পরিচ্ছেদ

  বার-তের বৎসরের বালকের হাত হইতে কোন নির্দয় রসহীন অভিভাবক তাহার অর্ধ-পঠিত কৌতুকপূর্ণ নভেলটা টানিয়া লুকাইয়া রাখিয়া দিলে তাহার যেমন অবস্থা হয়, ভিতরের প্রাণটা ব্যাকুলভাবে সেই শুষ্কমুখ শঙ্কিত বালককে এ-ঘর ও-ঘর ছুটাইয়া লইয়া বেড়ায়, ভয়ে ভয়ে তীব্র চক্ষু দুটি শুধু যেমন সেই প্রিয় পদার্থটিকে আবিষ্কার করিবার জন্য ব্যস্ত এবং বিরক্ত হইয়া থাকে, আর সর্বদাই যেন … বিস্তারিত পড়ুন

আলো ও ছায়া— শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়–পঞ্চম পরিচ্ছেদ

  বিবাহ করিয়া যজ্ঞদত্ত বধূ ঘরে আনিল।বিকারগ্রস্ত রোগী ঘরে লোক না থাকিলে যেমন সমস্ত শক্তি এক করিয়া জলের ঘড়াটার পানে ছুটিয়া গিয়া আঁকড়াইয়া ধরে, সুরমা তেমনি করিয়া নূতন বধূকে আলিঙ্গন করিল। নিজের যতগুলি গহনা ছিল পরাইয়া দিল, যতগুলি বস্ত্র ছিল সমস্ত তাহার বাক্সে ভরিয়া দিল। শুষ্কমুখে সমস্ত দিন ধরিয়া বধূ সাজাইবার ধুম দেখিয়া যজ্ঞদত্ত মুখ … বিস্তারিত পড়ুন

আলো ও ছায়া— শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়–ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

  উপরের জানালা হইতে সুরমা দেখিল, যজ্ঞদত্ত বাড়ি ফিরিয়া আসিল, কিন্তু সঙ্গে বৌ নাই। ঘরে প্রবেশ করিলে কহিল, যজ্ঞদাদা, বৌকে কোথায় রেখে এলে? পিসীর বাড়ি। সঙ্গে আনলে না কেন? থাক, কিছুদিন পরে আনলেই হবে। কথাটা সুরমার বুকে বিঁধিল। দুইজনেই চুপ করিয়া রহিল। প্রিয়জনের সহিত তর্ক করিতে গিয়া হঠাৎ বচসা হইয়া গেলে যেমন দুইজনেই কিছুক্ষণ ক্ষুণ্ণমনে … বিস্তারিত পড়ুন

আলো ও ছায়া— শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়–সপ্তম পরিচ্ছেদ

সুরমা দেখিল বৌ আসিয়াছে। উগ্র নেশার প্রথম ঝোঁকটা কাটাইয়া দিয়া সে স্থির হইয়াছে। তাই বৌ দেখিতে বাড়াবাড়ি করিল না। শান্ত ধীরভাবে প্রিয়সম্ভাষণ করিল, মৌখিক নহে, অন্তরগত মঙ্গলেচ্ছা তাহার শুষ্ক মুখের উপর জ্যোতি ফিরাইয়া আনিল। বৌ, কৈ ভাল ছিলে না ত? বৌ মাথা নাড়িয়া কহিল, মাঝে মাঝে জ্বর হ’ত। সুরমা তাহার কপালের ঘাম মুছাইয়া বলিল, এখানে … বিস্তারিত পড়ুন

আলো ও ছায়া— শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়–অষ্টম পরিচ্ছেদ

  ছয় দিন পরে ভাল করিয়া জ্ঞান হইলে, সুরমা জিজ্ঞাসা করিল, দাদা কেমন আছেন? দাসী কহিল, ভাল আছেন। আমি দেখে আসব। কিন্তু উঠিতে গিয়া আবার শুইয়া পড়িল। দাসী কহিল, তুমি বড় দুর্বল, তাতে জ্বর হয়েছে, উঠো না, ডাক্তার বারণ করেছে। সুরমা আশা করিল যজ্ঞদাদা দেখিতে আসিবে, বৌ দেখিতে আসিবে। একদিন দুইদিন করিয়া ক্রমে এক সপ্তাহ … বিস্তারিত পড়ুন

অতনু ফিরে যাবে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়— প্রথম অধ্যায়

কন্যার বিবাহযোগ্য বয়সের সম্বন্ধে যত মিথ্যা চালানো যায় চালাইয়াও সীমানা ডিঙাইয়াছে। বিবাহের আশাও শেষ হইয়াছে।—ওমা, সে কি কথা! হইতে আরম্ভ করিয়া চোখ টিপিয়া কন্যার ছেলেমেয়ের সংখ্যা জিজ্ঞাসা করিয়াও এখন আর কেহ রস পায় না, সমাজে এ রসিকতাও বাহুল্য হইয়াছে। এমনি দশা অনুরাধার। অথচ ঘটনা সে-যুগের নয়, নিতান্তই আধুনিককালের। এমন দিনেও যে কেবলমাত্র গণ-পণ, ঠিকুজি-কোষ্ঠী ও … বিস্তারিত পড়ুন

অতনু ফিরে যাবে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়— দ্বিতীয় অধ্যায়

বিজয়ের পরনে খাঁটি সাহেবি পোশাক, মাথায় শোলার টুপি, মুখে কড়া চুরুট, পকেটে রিভলবার, চেরির ছড়ি ঘুরাইতে ঘুরাইতে বাবুদের বাড়ির সদর-বাটীতে আসিয়া প্রবেশ করিল। সঙ্গে মস্ত লাঠি-হাতে দু’জন হিন্দুস্থানী দরোয়ান, অনেকগুলি অনুগত প্রজা, বিনোদ ঘোষ ও পুত্র কুমার। সম্পত্তি দখল করার ব্যাপারে যদিচ হাঙ্গামার ভয় আছে, তথাপি ছেলেকে নাড়ুগোপাল করার পরিবর্তে মজবুত করিয়া গড়িয়া তোলার এ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!