চোখের বালি–নবম অংশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  এমন সময় দোতলা হইতে “মহিনদা মহিনদা” রব উঠিল। “আরে কে হে, এসো এসো” বলিয়া মহেন্দ্র জবাব দিল। বিহারীর সাড়া পাইয়া মহেন্দ্রের চিত্ত উৎফুল্ল হইয়া উঠিল। বিবাহের পর বিহারী মাঝে মাঝে তাহাদের সুখের বাধাস্বরূপ আসিয়াছে– আজ সেই বাধাই সুখের পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয় বলিয়া বোধ হইল। আশাও বিহারীর আগমনে আরাম বোধ করিল। মাথায় কাপড় দিয়া সে … বিস্তারিত পড়ুন

চোখের বালি–দশম অংশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  বিহারী নিজে বসিয়া মহেন্দ্রকে দিয়া চিঠি লিখাইয়া এবং সে-চিঠি লইয়া পরদিনই রাজলক্ষ্মীকে আনিতে গেল। রাজলক্ষ্মী বুঝিলেন, এ চিঠি বিহারীই লিখাইয়াছে– কিন্তু তবু আর থাকিতে পারিলেন না। সঙ্গে বিনোদিনী আসিল। গৃহিণী ফিরিয়া আসিয়া গৃহের যেরূপ দুরবস্থা দেখিলেন– সমস্ত অমার্জিত, মলিন, বিপর্যস্ত– তাহাতে বধূর প্রতি তাঁহার মন আরো যেন বক্র হইয়া উঠিল। কিন্তু বধূর এ কী … বিস্তারিত পড়ুন

চোখের বালি–দ্বিতীয় অংশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  মেয়ে দেখিবার কথা মহেন্দ্র প্রায় ভুলিয়াছিল, অন্নপূর্ণা ভোলেন নাই। তিনি শ্যামবাজারে মেয়ের অভিভাবক জেঠার বাড়িতে পত্র লিখিয়া দেখিতে যাইবার দিন স্থির করিয়া পাঠাইলেন। দিন স্থির হইয়াছে শুনিয়াই মহেন্দ্র কহিল, “এত তাড়াতাড়ি কাজটা করিলে কেন কাকী। এখনো বিহারীকে বলাই হয় নাই।” অন্নপূর্ণা কহিলেন, “সে কি হয় মহিন। এখন না দেখিতে গেলে তাহারা কী মনে করিবে।” … বিস্তারিত পড়ুন

চোখের বালি–তৃতীয় অংশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  রাত্রে মহেন্দ্রের ভালো নিদ্রা হইল না। প্রত্যুষেই সে বিহারীর বাসায় আসিয়া উপস্থিত। কহিল, “ভাই, ভাবিয়া দেখিলাম, কাকীমার মনোগত ইচ্ছা আমিই তাঁহার বোনঝিকে বিবাহ করি।” বিহারী কহিল, “সেজন্য তো হঠাৎ নূতন করিয়া ভাবিবার কোনো দরকার ছিল না। তিনি তো ইচ্ছা নানাপ্রকারেই ব্যক্ত করিয়াছেন।” মহেন্দ্র কহিল, “তাই বলিতেছি, আমার মনে হয়, আশাকে আমি বিবাহ না করিলে … বিস্তারিত পড়ুন

চোখের বালি–চতুর্থ অংশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  রাজলক্ষ্মী তখন হঠাৎ অপরিমিত উৎসাহে বধূকে ঘরকন্নার কাজ শিখাইতে প্রবৃত্ত হইলেন। ভাঁড়ার-ঘর রান্নাঘর ঠাকুরঘরেই আশার দিনগুলি কাটিল, রাত্রে রাজলক্ষ্মী তাহাকে নিজের বিছানায় শোয়াইয়া তাহার আত্মীয়বিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ করিতে লাগিলেন। অন্নপূর্ণা অনেক বিবেচনা করিয়া বোনঝির নিকট হইতে দূরেই থাকিতেন। যখন কোনো প্রবল অভিভাবক একটা ইক্ষুদণ্ডের সমস্ত রস প্রায় নিঃশেষপূর্বক চর্বণ করিতে থাকে তখন হতাশ্বাস লুব্ধ বালকের … বিস্তারিত পড়ুন

চোখের বালি–পঞ্চম অংশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  কিছুকাল অনাবৃষ্টিতে যে শস্যদল শুষ্ক পীতবর্ণ হইয়া আসে, বৃষ্টি পাইবামাত্র সে আর বিলম্ব করে না; হঠাৎ বাড়িয়া উঠিয়া দীর্ঘকালের উপবাসদৈন্য দূর করিয়া দেয়, দুর্বল নত ভাব ত্যাগ করিয়া শস্যক্ষেত্রের মধ্যে অসংকোচে অসংশয়ে আপনার অধিকার উন্নত ও উজ্জ্বল করিয়া তোলে, আশার সেইরূপ হইল। যেখানে তাহার রক্তের সম্বন্ধ ছিল, সেখানে সে কখনো আত্মীয়তার দাবি করিতে পায় … বিস্তারিত পড়ুন

অন্তর্ধান —– হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়

সকাল থেকে বাবা-কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা মর্নিংওয়াকে কখনও যান না। শরীর তো তাঁর দিব্যি সুস্থ, সবল। সামান্য সর্দি-কাশি ছাড়া বড়ো একটা প্রবলেম তাঁর ছেলে-মেয়েরা দেখে নি। অসুস্থ ব’লতে যিনি ছিলেন, তিনি মা। মিতুর প্রবলেমটা ধরা প’ড়তে তিনি সেই যে বিছানায় প’ড়ে গিয়েছিলেন, আর ওঠেন নি। পাঁচটা মাস তিনি ভুগেছেন আর ভুগিয়েছেন বাড়ির মানুষকে। … বিস্তারিত পড়ুন

দস্যু—- মোঃ জাহিদুল ইসলাম

এক. পশ্চিমের আকাশটা খানিক মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। শীতকাল কিনা তাই সূর্যের ম্রিয়মাণ আলোয় মনে হচ্ছে, বেলা পড়ে এল। কিন্তু, বাস্তবিক অর্থে তা নয়, তখনও দুপুর দেড়টার ন্যায় আন্দাজ করা যায়। বেলা ঠিকই আছে। নেই শুধু আমার অবাধ্য মনটা। আমার সম্মুখে একটা নগ্ন চিঠি পড়ে আছে। একদৃষ্টে সে দিকেই তাকিয়ে আছি। মনে আকাশ পাতাল ভাবনা। চিঠিটাই … বিস্তারিত পড়ুন

ঝ রা মু কু ল— মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান

কিছুক্ষণ আগে সূর্য অস্ত গেছে। সোনালী আভা তখনও পশ্চিম আকাশের গায়ে লেগে আছে। কামাল হারিকেনটা জ্বালিয়ে জানালা খুলে বই বের করে পড়তে বসেছে। কিন্তু পড়তে মন বসছে না। খোলা জানালা দিয়ে দূর আকাশের অসংখ্য তারকারাজী দেখা যাচ্ছে। শরতের স্নিগ্ধ বাতাস ঝির-ঝির করে বয়ে চলেছে। হঠাৎ পাশের বাড়ি থেকে রেডিওতে গান ভেসে আসে ‘‘স্মৃতির বেদনা…. আজ … বিস্তারিত পড়ুন

সময়ের প্রয়োজনে —-জহির রায়হান

কিছুদিন আগে সংবাদ সংগ্রহের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটা অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে গিয়েছিলাম। ক্যাম্প-কমান্ডার ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। সেই ব্যস্ততার মুহূর্তে আমার দিকে একটা খাতা এগিয়ে দিয়ে বললেন, আপনি বসুন। এই খাতাটা পড়ুন বসে বসে। আমি কয়েকটা কাজ সেরে নিই। এরপর আপনার সঙ্গে আলাপ করব। খাতাটা হাত বাড়িয়ে নিলাম। লাল মলাটে বাঁধানো একটা খাতা। ধুলো, কালি আর তেলের কালচে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!