কঙ্কাল-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

বৎসরের জীবন্ত, যৌবনতাপে উত্তপ্ত আরক্তিম রূপখানি একবার তোমার চোখের সামনে দাঁড় করাই , বহুকালের মতো তোমার দুই চক্ষে নিদ্রা ছুটাইয়া দিক , তোমার অস্থিবিদ্যাকে অস্থির করিয়া দেশছাড়া করি । ” আমি বলিলাম , “ তোমার গা যদি থাকিত তো গা ছুঁইয়া বলিতাম , সে বিদ্যার লেশমাত্র আমার মাথায় নাই । আর তোমার সেই ভুবনমোহন পূর্ণযৌবনের … বিস্তারিত পড়ুন

কঙ্কাল-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৩য় অংশ

অল্পে অল্পে শুনিলাম, এই বিবাহে ডাক্তার বারো হাজার টাকা পাইবেন । কিন্তু আমার কাছে এ সংবাদ গোপন করিয়া আমাকে অপমান করিবার তাৎপর্য কী । আমি কি তাঁহার পায়ে ধরিয়া বলিয়াছিলাম যে , এমন কাজ করিলে আমি বুক ফাটিয়া মরিব । পুরুষদের বিশ্বাস করিবার জো নাই । পৃথিবীতে আমি একটিমাত্র পুরুষ দেখিয়াছি এবং এক মুহূর্তে সমস্ত … বিস্তারিত পড়ুন

কাবুলিওয়ালা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

আমার পাঁচ বছর বয়সের ছোটো মেয়ে মিনি এক দণ্ড কথা না কহিয়া থাকিতে পারে না । পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়া ভাষা শিক্ষা করিতে সে কেবল একটি বৎসর কাল ব্যয় করিয়াছিল , তাহার পর হইতে যতক্ষণ সে জাগিয়া থাকে এক মুহূর্ত মৌনভাবে নষ্ট করে না । তাহার মা অনেকসময় ধমক দিয়া তাহার মুখ বন্ধ করিয়া দেয় , … বিস্তারিত পড়ুন

কাবুলিওয়ালা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

শুনিয়া মিনি শ্বশুর নামক কোনো-এক অপরিচিত জীবের দুরবস্থা কল্পনা করিয়া অত্যন্ত হাসিত ।   এখন শুভ্র শরৎকাল । প্রাচীনকালে এই সময়েই রাজারা দিগ্‌বিজয়ে বাহির হইতেন । আমি কলিকাতা ছাড়িয়া কখনো কোথাও যাই নাই , কিন্তু সেইজন্যই আমার মনটা পৃথিবীময় ঘুরিয়া বেড়ায় । আমি যেন আমার ঘরের কোণে চিরপ্রবাসী , বাহিরের পৃথিবীর জন্য আমার সর্বদা মন … বিস্তারিত পড়ুন

প্রিন্সিপাল | মাখরাজ খান

কথাটা শুনেই জোনাব আলীর মুখ বিকৃত হয়ে গেলো- বলে কি? এত কাজ কি একদিনে করা সম্ভব? আতা, অফিস সহকারী আতাউর তার পাশের চেয়ারে বসা ছিলো-সে বললো সম্ভব না হলে যাও প্রিন্সিপালকে বলে এসো। -হ্যাঁ তাই যাব। সারা বছরের কাজ কি একদিনে করা যায়? প্রিন্সিপাল আজহারুল ইসলাম পাশের রুমেই ছিলেন-তিনি কলিং বেল বাজালেন। বকুলি গিয়ে হাজির … বিস্তারিত পড়ুন

নিস্তারণ | শাহ নেওয়াজ চৌধুরী

রশীদ জমাদ্দারের নামের ‘জমাদ্দার’ বিশেষণটি তার অলৌকিক ক্ষমতাপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে রাতারাতি উঠে গেল। নামের ‘জমাদ্দার’ বিশেষণটির স্থলে ‘ফকির’ শব্দটি বসে তার নাম দাঁড়াল রশীদ ফকির। একদিন শেষরাতের দিকে রশীদ জমাদ্দার ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ল। তার বউ রাহীর ঘুম বেশ পাতলা। কোলের বাচ্চাটা বেশ জ্বালায়। মায়ের স্তনের বোঁটা মুখে নিয়ে ঘুমানোর অভ্যেস ওর। বাচ্চাকে দুধ দিতে … বিস্তারিত পড়ুন

আসলে কী ঘটেছিল | ইমদাদুল হক মিলন

এই বাড়ির কাজের লোকটির নাম বারেক। তিরিশ একত্রিশ বছর বয়স। এখনও বিয়ে করেনি। রোগা পটকা কেংলা ধরনের। চেহারায় মিষ্টতা আছে, চোখ দুটো সুন্দর। এক বালতি পানি এনে দরজার বাইরে একপাশে রাখল সে। সন্ধ্যা প্রায় হয়ে আসছে। তবু বালতি ভরা টলটলে পরিষ্কার পানিটা দেখতে পেলাম। বারেককে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে এভাবে বালতি ভরা পানি রাখলে কেন? বারেক … বিস্তারিত পড়ুন

কে আসে | ইমদাদুল হক মিলন

কে আপনি, কে? এই যে, এই যে আপনি, কালো আলখাল্লা পরে আমার বুক বরাবর এসে দাঁড়িয়েছেন। কে আপনি? আপনার মুখটা আমি দেখতে পাচ্ছি না। আগের দিনকার শাহজাদিদের মতো কালো নেকাবে মুখ ঢেকে রেখেছেন, কিন্তু আকৃতিতে আপনি বিশাল। কোনো মেয়ে এত দীর্ঘাঙ্গী হয় না। আপনি কে? কে আপনি? আরে, চট করে আবার কোথায় চলে গেলেন? এই … বিস্তারিত পড়ুন

অপরিচিতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম খন্ড

আজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র। এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড়ো, না গুণের হিসাবে। তবু ইহার একটু বিশেষ মূল্য আছে। ইহা সেই ফুলের মতো যাহার বুকের উপরে ভ্রমর আসিয়া বসিয়াছিল, এবং সেই পদক্ষেপের ইতিহাস তাহার জীবনের মাঝখানে ফলের মতো গুটি ধরিয়া উঠিয়াছে। সেই ইতিহাসটুকু আকারে ছোটো, তাহাকে ছোটো করিয়াই লিখিব। ছোটোকে যাঁহারা সামান্য বলিয়া ভুল … বিস্তারিত পড়ুন

অপরিচিতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় খন্ড

শম্ভুনাথবাবু আমার দিকে চাহিয়া কহিলেন, “সেই কথা তবে ঠিক? উনি যা বলিবেন তাই হইবে? এ সম্বন্ধে তোমার কিছুই বলিবার নাই? ” আমি একটু ঘাড়-নাড়ার ইঙ্গিতে জানাইলাম, এ-সব কথায় আমার সম্পূর্ণ অনধিকার। “আচ্ছা তবে বোসো, মেয়ের গা হইতে সমস্ত গহনা খুলিয়া আনিতেছি।” এই বলিয়া তিনি উঠিলেন। মামা বলিলেন, “অনুপম এখানে কী করিবে। ও সভায় গিয়া বসুক।” … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!