হুমায়ূন আহমেদের লেখা ভৌতিক গল্প ‘ছায়াসঙ্গী’ -শেষ

আমার স্ত্রী তাকে খুব যত্ন করে খাওয়াল। খাওয়ার শেষে তাকে শাড়িটি দেওয়া হলো। মেয়েটি অভিভূত হয়ে গেল। এ রকম একটা উপহার বোধহয় তার কল্পনাতেও ছিল না। তার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে লাগল। আমি তাকে আমার ঘরে ডেকে নিলাম। কোমল গলায় বললাম, কেমন আছ রহিমা? রহিমা ফিসফিস করে বলল, ভালো আছি ভাইজান। ‘শাড়ি পছন্দ … বিস্তারিত পড়ুন

কাবুলিওয়ালা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৩য় অংশ

মতো রঙ ধরিয়াছে । কলিকাতার গলির ভিতরকার ইষ্টকজর্জর অপরিচ্ছন্ন ঘেঁষাঘেঁষি বাড়িগুলির উপরেও এই রৌদ্রের আভা একটি অপরূপ লাবণ্য বিস্তার করিয়াছে । আমার ঘরে আজ রাত্রি শেষ হইতে না হইতে সানাই বাজিতেছে । সে বাঁশি যেন আমার বুকের পঞ্জরের হাড়ের মধ্য হইতে কাঁদিয়া কাঁদিয়া বাজিয়া উঠিতেছে । করুণ ভৈরবী রাগিণীতে আমার আসন্ন বিচ্ছেদব্যথাকে শরতের রৌদ্রের সহিত … বিস্তারিত পড়ুন

খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-প্রথম পরিচ্ছেদ

রাইচরণ যখন বাবুদের বাড়ি প্রথম চাকরি করিতে আসে তখন তাহার বয়স বারো । যশোহর জিলায় বাড়ি, লম্বা চুল , বড়ো বড়ো চোখ , শ্যামচিক্কণ, ছিপ্‌ছিপে বালক । জাতিতে কায়স্থ । তাহার প্রভুরাও কায়সথ । বাবুদের এক-বৎসর-বয়স্ক একটি শিশুর রক্ষণ ও পালন-কার্যে সহায়তা করা তাহার প্রধান কর্তব্য ছিল । সেই শিশুটি কালক্রমে রাইচরণের কক্ষ ছাড়িয়া স্কুলে … বিস্তারিত পড়ুন

খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

রাইচরণ দেশে ফিরিয়া গেল । এতকাল তাহার সন্তানাদি হয় নাই , হইবার বিশেষ আশাও ছিল না । কিন্তু দৈবক্রমে বৎসর না যাইতেই তাহার স্ত্রী অধিক বয়সে একটি পুত্রসন্তান প্রসব করিয়া লোকলীলা সংবরণ করিল । এই নবজাত শিশুটির প্রতি রাইচরণের অত্যন্ত বিদ্বেষ জন্মিল । মনে করিল , এ যেন ছল করিয়া খোকাবাবুর স্থান অধিকার করিতে আসিয়াছে … বিস্তারিত পড়ুন

খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-তৃতীয় পরিচ্ছেদ

একদিন রাইচরণ হঠাৎ কর্মে জবাব দিল এবং ফেল্‌নাকে কিছু টাকা দিয়া বলিল , “ আবশ্যক পড়িয়াছে , আমি কিছুদিনের মতো দেশে যাইতেছি । ” এই বলিয়া বারাসাতে গিয়া উপস্থিত হইল । অনুকূলবাবু তখন সেখানে মুন্সেফ ছিলেন । অনুকূলের আর দ্বিতীয় সন্তান হয় নাই , গৃহিণী এখনো সেই পুত্রশোক বক্ষের মধ্যে লালন করিতেছিলেন । একদিন সন্ধ্যার … বিস্তারিত পড়ুন

ঘাটের কথা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

পাষাণে ঘটনা যদি অঙ্কিত হইত তবে কতদিনকার কত কথা আমার সোপানে সোপানে পাঠ করিতে পারিতে। পুরাতন কথা যদি শুনিতে চাও, তবে আমার এই ধাপে বইস; মনোযোগ দিয়া জলকল্লোলে কান পাতিয়া থাকো, বহুদিনকার কত বিস্মৃত কথা শুনিতে পাইবে। আমার আর-একদিনের কথা মনে পড়িতেছে। সেও ঠিক এইরূপ দিন। আশ্বিন মাস পড়িতে আর দুই-চারি দিন বাকি আছে। ভোরের … বিস্তারিত পড়ুন

ঘাটের কথা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

কিছুদিন পরে কুসুমকে আর দেখিতে পাই না। ভুবন আর স্বর্ণ ঘাটে আসিয়া কাঁদিত। শুনিলাম তাহাদের কুসি-খুশি-রাক্কুসিকে শ্বশুরবাড়ি লইয়া গিয়াছে। শুনিলাম, যেখানে তাহাকে লইয়া গেছে, সেখানে নাকি গঙ্গা নাই। সেখানে আবার কারা সব নূতন লোক, নূতন ঘরবাড়ি, নূতন পথঘাট। জলের পদ্মটিকে কে যেন ডাঙায় রোপণ করিতে লইয়া গেল। ক্রমে কুসুমের কথা একরকম ভুলিয়া গেছি। এক বৎসর … বিস্তারিত পড়ুন

ঘাটের কথা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৩য় অংশ

পরম উল্লাসে উত্তর-প্রত্যুত্তর করিতে আরম্ভ করে। সময়টা এইরূপ আসিয়াছে। বসন্তের বাতাস লাগিয়া আমার পাষাণ-হৃদয়ের মধ্যে অল্পে অল্পে যেন যৌবনের সঞ্চার হইতেছে; আমার প্রাণের ভিতরকার সেই নবযৌবনোচ্ছ্বাস আকর্ষণ করিয়াই যেন আমার লতাগুল্মগুলি দেখিতে দেখিতে ফুলে ফুলে একেবারে বিকশিত হইয়া উঠিতেছে। এ সময়ে কুসুমকে আর দেখিতে পাই না। কিছুদিন হইতে সে আর মন্দিরেও আসে না, ঘাটেও আসে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিবেশী || আহসান হাবীব

— পাঁচ ইঞ্চি দেয়াল ভেদ করে দেখা যায়, এমন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে একজন। — কে সে? নিশ্চয়ই বড় বিজ্ঞানী? — তা তো বটেই। — তা জিনিসটা কি? মানে আবিষ্কারটা? — কেন জানালা! ছোটবেলায় এই জোকটা ছিল জালাল সাহেবের প্রিয় একটা জোক। আর বড় বেলায় এসে এই জোকই এখন যেন বিগ ট্র্যাজেডি হয়ে দাঁড়িয়েছে! বিষয়টা … বিস্তারিত পড়ুন

কঙ্কাল-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

আমরা তিন বাল্যসঙ্গী যে ঘরে শয়ন করিতাম তাহার পাশের ঘরের দেয়ালে একটি আস্ত নরকঙ্কাল ঝুলানো থাকিত । রাত্রে বাতাসে তাহার হাড়গুলা খট্‌খট্‌ শব্দ করিয়া নড়িত । দিনের বেলায় আমাদিগকে সেই হাড় নাড়িতে হইত । আমরা তখন পণ্ডিত-মহাশয়ের নিকট মেঘনাদবধ এবং ক্যাম্বেল স্কুলের এক ছাত্রের কাছে অস্থিবিদ্যা পড়িতাম । আমাদের অভিভাবকের ইচ্ছা ছিল আমাদিগকে সহসা সর্ববিদ্যায় … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!