জাত গোক্ষুর – ০২–মাসুদ রানা

লম্বা উইঢিবির গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে, মাথাটা বার কয়েক নেড়ে প্রিয় বন্ধু জুলহাস কায়সারের ছিনড়বভিনড়ব লাশটার কথা মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করল রানা। ধীরে ধীরে দাঁড়াল, রডটা হাতে। বিধ্বস্ত প্লেনটার দিকে একবারও না তাকিয়ে হাঁটা ধরল-জানে না কোনদিকে যাচ্ছে, ওদিকে কোনও পথ পাওয়া যাবে কি না। ফাঁকা জায়গাটা পেরিয়ে এল। ঝোপের কাঁটা ট্রাউজারে … বিস্তারিত পড়ুন

জাত গোক্ষুর – ০৩–মাসুদ রানা

বিকেলে কেব্‌ল্‌ কার-এ চড়ে কোরকোভাডো পাহাড়ে উঠল রানা। কোরকোভাডোর চূড়ায় যিশুর বিশাল এক স্ট্যাচু দাঁড়িয়ে আছে। কার থেকে নেমে সরাসরি অবজারভেশন প্যারাপিট-এ চলে এলো ও, দাঁড়াল ঠিক যেখানটায় দাঁড়াবার কথা হয়ে আছে। পাঁচ মিনিট পর আরেকটা কেব্‌ল কারে চড়ে পৌঁছাল হাসান। ওর পাশে দাঁড়িয়ে নিচের শহর, তারপর সারি সারি পাহাড় ও আরেক দিকে বিস্তৃত সাগরের … বিস্তারিত পড়ুন

জাত গোক্ষুর – ০৪–মাসুদ রানা

তারানাকে ইন্টারকনের লবিতে পৌঁছে দিয়ে হেঁটেই নিজের হোটেলে ফিরছে রানা। বেশ রাত হয়েছে, আর রাতের বেলাই রিয়ো যেন জেগে ওঠে। চওড়া ফুটপাথ দখল করে নিয়েছে হকাররা, তাদের দোকানের সামনে দেশী-বিদেশী ট্যুরিস্টরা ভিড় জমিয়েছে। বিশ্বাস করা কঠিন, তবে ঘটনা সত্য-এই এভিনেডা রিয়ো ব্রাঙ্কোয় রিকন্ডিশন করা গাড়ি থেকে শুরু করে হীরের আঙটি পর্যন্ত কিনতে পাওয়া যায়। বাঁক … বিস্তারিত পড়ুন

জাত গোক্ষুর – ০৫–মাসুদ রানা

গেটের দিকে শেষ পঞ্চাশ গজ ধীরগতিতে গাড়ি চালাল ওরা। গেটে দাঁড়ানো লোকটা কঠিন চোখে ল্যান্ড রোভারের দিকে তাকিয়ে আছে। পরনের খাকি ইউনিফর্ম ঘামে ভেজা, কাঁধ থেকে ঝুলছে একটা অটোমেটিক রাইফেল। ওটা নামাল সে, বাগিয়ে ধরে অ্যাকশনের জন্যে তৈরি করল নিজেকে। ‘এই লোককে বোকা বানিয়ে ভেতরে ঢুকতে না পারলে অসুবিধে আছে,’ তারানা ও বাকারাকে বলল রানা। … বিস্তারিত পড়ুন

কাজী আনোয়ার হোসেন » মাসুদ রানা » খুনের দায়-প্রথম পরিচ্ছেদ

ভারী জুতোর গটমট শব্দ তুলে কামরায় ঢুকল লোকটা। ফাইল থেকে চোখ তুলে একনজর দেখেই চিনতে পারল রানা। বেশ লম্বা-চওড়া, বয়স কম-বেশি পঞ্চাশ, খেলোয়াড়ি একটা ভাব আছে চেহারায়, মাথাজোড়া বিশাল টাক, নীল চোখ, পরনে ভাল দরজির তৈরি দামি পোশাক। ‘মিস্টার মাসুদ রানা, ছোট্ট একটা কাজ নিয়ে এসেছি আপনার কাছে। আমাকে মনে আছে তো? লইয়ার অ্যাডাম ক্লিপটন-ও-ও-ই … বিস্তারিত পড়ুন

কাজী আনোয়ার হোসেন » মাসুদ রানা » খুনের দায়-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

ঠিক সাড়ে আটটায় ফিলিপ শেফার্সের বাড়ি থেকে ত্রিশ গজ দূরে রাস্তায় পার্ক করা তোবড়ানো টয়োটা সিপ্রণ্টারে এসে ঢুকল গিলটি মিয়া। নাস্তা করতে গিয়েছিল। ফিরে এসেছে দুই হাতে দুটো প্যাকেট নিয়ে। ছোট প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিল ক্যাভিনের দিকে, ‘ল্যাও, ভাই, চারটে খেয়ে ল্যাও। তারপর নাববো আমরা কাজে। খেতে খেতে শোনাও দিকি গত একটা ঘণ্টায় কী দেকলে।’ কৃতজ্ঞচিত্তে … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের দায় – তৃতীয় পরিচ্ছেদ

মাঝারি মানের হোটেল, তবে নতুন। ছোকরা ঘাবড়ে যেতে পারে ভেবে গিলটি মিয়া আর ক্যাভিন হাওয়ার্ডকে নীচের ফয়ে- তে অপেক্ষা করতে বলে উঠে এসেছে রানা তেতলায়। টোকা দিতেই খুলে গেল ২৩২ নম্বর কামরার দরজা। জিন্সের প্যাণ্ট আর হালকা নীল, বুক-খোলা শার্ট পরা লম্বা এক লোককে দেখা গেল দরজার ওপাশে। চেহারা হুবহু মিলে যায় নার্সদের বর্ণনার সঙ্গে। … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্ভুত হত্যা-রজনীচন্দ্র দত্ত-১ম অংশ

কৃত্রিম মুদ্রা প্রস্তুত করিবার অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির সম্বন্ধে বিশেষ অনুসন্ধানের নিমিত্তে আমাকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে যাইতে হইয়াছিল। প্রায় সপ্তাহকাল সেখানে সে মোকদ্দমার যথাসম্ভব প্রমাণাদি সংগ্রহ করিয়া গোয়ালনন্দ-ট্রেনে রাত্রে কলিকাতা প্রত্যাবর্তন করি। পরদিন প্রাতঃকালে কাগজপত্র গুছাইয়া রিপোর্টাদি লিখিয়া নিজের প্রয়োজন বশতঃ জনৈক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করিতে যাইবার উদ্যোগ করিতেছি, এমন সময়ে একজন কনেস্টবল যথারীতি লম্বা সেলাম … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্ভুত হত্যা-রজনীচন্দ্র দত্ত-২য় অংশ

প্রাণের মহেশ তুমি আর এখন আসিতেছ না কেন? বিধুবাবুর সহিত ঝগড়া করিয়া আমায় পরিত্যাগ করা কি তোমার উচিত? আজ যা হয়, একটা হইয়া যাইবে। বিধুবাবু বাড়াবাড়ি করিলে, তাহলে আমার কাছে আসিতে বারণ করিব। আমার কুন্তলীন একেবারে ফুরাইয়া গিয়াছে। দেলখোস নামে নাকি এক প্রকার নূতন এসেন্স বাহির হইয়াছে, দেখিতে পাই কি? ঝিকে পাঠাইলাম, তুমি আজ অবশ্য … বিস্তারিত পড়ুন

গোয়েন্দা গল্প | খানিকটা তামার তার

মানিক চেঁচিয়ে পড়ছিল খবরের কাগজ শ্রোতা হচ্ছে জয়ন্ত। সে চোখ বুজে ইজিচেয়ারে শুয়ে আছে। তার মুখে বিরক্তির লক্ষণ । কোন খবরে নূতনত্ব নেই। খুনীরা খুন করছে সেই পুরাতন উপায়ে। চোররাও চুরি করবার নূতন পথ আবিষ্কার করতে পারছে না। সাধু এবং অসাধু সব মানুষই হচ্ছে একই বাঁধা পথের পথিক। মানিক একটা নূতন খবর পড়ছে : ‘ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!