জাত গোক্ষুর – ০৯–মাসুদ রানা

  ফিরে এসে ওরা দেখল হোটেল স্যুইটের সিটিংরূমে পায়চারি করছেন ডাফু সালজুনাস। পরিষ্কারই বোঝা গেল, দেরি হচ্ছে দেখে তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে ওরা আর ফিরছে না। ‘জেনারেলরা সবাই ভাল আছেন?’ জিজ্ঞেস করলেন, চেহারায় স্বস্তির ছাপ। ‘হ্যাঁ, সবাই ভাল,’ বলল রানা। ‘আর অ্যালেক্সিস?’ ‘তিনিও বহাল তবিয়তে আছেন,’ তারানা বলল। ‘আমাদেরকে আসলে ভাগ্য সাহায্য করেছে। কেউ খুন … বিস্তারিত পড়ুন

জাত গোক্ষুর – ১০–মাসুদ রানা

সকালবেলার কচি রোদে মাইকোনোস হারবার যেন প্রকাণ্ড একটা নীলা। প্রায় বন্ধ একটা হারবার, পাহাড়-প্রাচীরের ভেতর পানিতে ভাসছে অসংখ্য মাছ ধরার ছোট ছোট নৌকা আর লঞ্চ, বাইরে নোঙর ফেলে আছে দুটো প্রকাণ্ড ক্রুজ শিপ। মাইকোনোসে জাহাজ ভেড়ে না। নড়বড়ে গ্যাঙপ্ল্যাঙ্ক বেয়ে নামতে হয় আরোহীদের, হাতে থাকে লটবহর, ডুবু-ডুবু লঞ্চ প্রতিবার অল্প কিছু লোককে তীরে পৌঁছে দেয়। … বিস্তারিত পড়ুন

জাত গোক্ষুর – ১১–মাসুদ রানা (শেষ)

  ‘ওর জ্ঞান ফিরছে।’ আওয়াজটা অস্পষ্ট, যেন পাশের কামরা থেকে ভেসে এলো রানার কানে। মিট-মিট করে চোখ খুলল, তবে দৃষ্টি পরিষ্কার হলো না। আবছা মত তিনটে মূর্তি দেখতে পেল নিজের চারপাশে। ‘হ্যাঁ, ঠিক আছে, চোখ খোলো।’ গলাটা চেনা। মারকাস কথা বলছে। শব্দের উৎসের দিকে ফিরে দেখার চেষ্টা করল রানা। ওর দৃষ্টিতে পরিষ্কার ফুটল চেহারাটা। খাড়া … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের দায় – তৃতীয় পরিচ্ছেদ

মাঝারি মানের হোটেল, তবে নতুন। ছোকরা ঘাবড়ে যেতে পারে ভেবে গিলটি মিয়া আর ক্যাভিন হাওয়ার্ডকে নীচের ফয়ে- তে অপেক্ষা করতে বলে উঠে এসেছে রানা তেতলায়। টোকা দিতেই খুলে গেল ২৩২ নম্বর কামরার দরজা। জিন্সের প্যাণ্ট আর হালকা নীল, বুক-খোলা শার্ট পরা লম্বা এক লোককে দেখা গেল দরজার ওপাশে। চেহারা হুবহু মিলে যায় নার্সদের বর্ণনার সঙ্গে। … বিস্তারিত পড়ুন

কাজী আনোয়ার হোসেন » মাসুদ রানা » খুনের দায়-প্রথম পরিচ্ছেদ

ভারী জুতোর গটমট শব্দ তুলে কামরায় ঢুকল লোকটা। ফাইল থেকে চোখ তুলে একনজর দেখেই চিনতে পারল রানা। বেশ লম্বা-চওড়া, বয়স কম-বেশি পঞ্চাশ, খেলোয়াড়ি একটা ভাব আছে চেহারায়, মাথাজোড়া বিশাল টাক, নীল চোখ, পরনে ভাল দরজির তৈরি দামি পোশাক। ‘মিস্টার মাসুদ রানা, ছোট্ট একটা কাজ নিয়ে এসেছি আপনার কাছে। আমাকে মনে আছে তো? লইয়ার অ্যাডাম ক্লিপটন-ও-ও-ই … বিস্তারিত পড়ুন

কাজী আনোয়ার হোসেন » মাসুদ রানা » খুনের দায়-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

ঠিক সাড়ে আটটায় ফিলিপ শেফার্সের বাড়ি থেকে ত্রিশ গজ দূরে রাস্তায় পার্ক করা তোবড়ানো টয়োটা সিপ্রণ্টারে এসে ঢুকল গিলটি মিয়া। নাস্তা করতে গিয়েছিল। ফিরে এসেছে দুই হাতে দুটো প্যাকেট নিয়ে। ছোট প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিল ক্যাভিনের দিকে, ‘ল্যাও, ভাই, চারটে খেয়ে ল্যাও। তারপর নাববো আমরা কাজে। খেতে খেতে শোনাও দিকি গত একটা ঘণ্টায় কী দেকলে।’ কৃতজ্ঞচিত্তে … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্ভুত হত্যা-রজনীচন্দ্র দত্ত-১ম অংশ

কৃত্রিম মুদ্রা প্রস্তুত করিবার অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির সম্বন্ধে বিশেষ অনুসন্ধানের নিমিত্তে আমাকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে যাইতে হইয়াছিল। প্রায় সপ্তাহকাল সেখানে সে মোকদ্দমার যথাসম্ভব প্রমাণাদি সংগ্রহ করিয়া গোয়ালনন্দ-ট্রেনে রাত্রে কলিকাতা প্রত্যাবর্তন করি। পরদিন প্রাতঃকালে কাগজপত্র গুছাইয়া রিপোর্টাদি লিখিয়া নিজের প্রয়োজন বশতঃ জনৈক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করিতে যাইবার উদ্যোগ করিতেছি, এমন সময়ে একজন কনেস্টবল যথারীতি লম্বা সেলাম … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্ভুত হত্যা-রজনীচন্দ্র দত্ত-২য় অংশ

প্রাণের মহেশ তুমি আর এখন আসিতেছ না কেন? বিধুবাবুর সহিত ঝগড়া করিয়া আমায় পরিত্যাগ করা কি তোমার উচিত? আজ যা হয়, একটা হইয়া যাইবে। বিধুবাবু বাড়াবাড়ি করিলে, তাহলে আমার কাছে আসিতে বারণ করিব। আমার কুন্তলীন একেবারে ফুরাইয়া গিয়াছে। দেলখোস নামে নাকি এক প্রকার নূতন এসেন্স বাহির হইয়াছে, দেখিতে পাই কি? ঝিকে পাঠাইলাম, তুমি আজ অবশ্য … বিস্তারিত পড়ুন

গোয়েন্দা গল্প | খানিকটা তামার তার

মানিক চেঁচিয়ে পড়ছিল খবরের কাগজ শ্রোতা হচ্ছে জয়ন্ত। সে চোখ বুজে ইজিচেয়ারে শুয়ে আছে। তার মুখে বিরক্তির লক্ষণ । কোন খবরে নূতনত্ব নেই। খুনীরা খুন করছে সেই পুরাতন উপায়ে। চোররাও চুরি করবার নূতন পথ আবিষ্কার করতে পারছে না। সাধু এবং অসাধু সব মানুষই হচ্ছে একই বাঁধা পথের পথিক। মানিক একটা নূতন খবর পড়ছে : ‘ … বিস্তারিত পড়ুন

গোয়েন্দা শরদিন্দু -বিকাশ বসু

মোটর বিকল হওয়ায় নির্জন বনপথে দু নারী মমতা ও সতী যখন বেশ বিপাকে – তখন সতী বলে ওঠে, -‘ও দিদি, দ্যাখ, দ্যাখ – ধোঁয়া।’ সতীর উল্লাসের কারণ ও জানা যায় পরের বাক্যেই – ‘নিশ্চয় ওখানে সাঁওতালদের বস্তি আছে।’ জনবিরল স্থানে ধোঁয়া মানেই আশার আলো – নিকটেই মনুষ্য-বসতি আছে। ধোঁয়া দেখে সতীর এই সিদ্ধান্ত। দিদি মমতা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!