অদ্ভূত অর্থাপহরণ– দ্বিতীয় অংশ

হৈ চৈ হট্টগোলের ভেতরে জানা গেল যে ট্রেন ডিরেলড হয়েছে মাইন বিস্ফোরণে তবে এ০সি০ কামরাগুলো ট্রেনের মাঝখানে ছিল বলে একটু হেলে পড়েছে মাত্র। ইন্জিন সমেত সামনের চার পাঁচখানা জেনারেল ও রিজার্ভ কোচের মতন উল্টে পড়েনি। কখন যে সাহায্য আসবে তা ভগবান জানেন। সকালের আগে তো নয়ই। অতএব জিনিষপত্র নীচে ফেলে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে আমার … বিস্তারিত পড়ুন

প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী– চতুর্থ অংশ

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলা সবচেয়ে আগে এল কিংশুক ও হেমন্ত। তারপর একে একে সকলে এসে পড়ল। সবচেয়ে শেষে এল রজতাভ। অফিসের পর যানজট এড়িয়ে আসতে তার একটু দেরী হয়ে গেছে। মাধবী সকলের চা জলখাবারের ব্যবস্থা করে বেরিয়ে পড়ল। মৃগাঙ্ক শুরু করল, – – তোমরা সকলেই আন্দাজ করেছ কেন আজকে আমরা মিট করছি। আমাদের প্রিয় লেখক আর্যশেখরের একটি … বিস্তারিত পড়ুন

প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী–পঞ্চম অংশ

সাবার্বান ট্রেনে চড়ার অভ্যাস একেবারেই নেই। কিন্তু ক্যানিং পেরিয়ে যে গ্রামে আর্যশেখরের আদিবাড়ী সেখানে যেতে গেলে ট্রেনই সুবিধে। উলটো দিকে বলে ট্রেন ফাঁকা ও রয়েছে। ট্রেনে বসে জানলার বাইরে মেঘলা আকাশ দেখতে দেখতে অনেক কিছু চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। সুচেতনাকে ফোন করে সাহায্য করতে বলেছিল। ইন্টরভিউ এর টেপটা দেখা সম্ভব হয়েছে। ঐ সাক্ষাৎকারটিতে তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী–ষষ্ঠ অংশ

রবিবারের সকালে আরাম করে রবিবাসরীয় কাগজ পড়া মৃগাঙ্কর খুব শখের কাজ। সুযোগের অভাবে প্রায়শই সে শখ পূরণ হয় না। আজ সে বেশ আরাম করে আমেজটুকুকে উপভোগ করছিল। আকাশ পুরো কালো মেঘে ঢাকা, ঝির খির করে বৃষ্টি পড়ছে। হাল্কা করে রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গান চলছিল। মাধবীলতা বলল – – এই, একটা কথা বলব, রাগ করবে না! – … বিস্তারিত পড়ুন

প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী–সপ্তম অংশ

বেশ কিছুক্ষণ কান্নার পর চা খেয়ে একটু শান্ত হয়ে, সামলে নিয়ে মুখ খুলেছে দেবলীনা। — – ছোটবেলা থেকেই আমার খুব প্রিয় লেখক আর্যশেখর। ওঁর ছোটদের লেখার হাত ও তো দারুণ। কিন্তু বাবা, কেন জানি কখনোই ওঁকে একদম পছন্দ করতেন না, – বলতেন ওর কোন মৌলিক কিছু লেখার ক্ষমতা নেই, নিশ্চয়ই কোথা থেকে ঝেড়ে দিয়েছে – … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন –অষ্টম অংশ

  অনিতামাসির বাড়ি গিয়ে দেখি ওঁর চেহারা একেবারে বিধ্বস্ত। শুনলাম গীতা মারা গেছে! আমার বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো। অপরাধ বোধেও জর্জরিত হলাম – মাসিমা আমাকে একজন ভালো ডাক্তার খুঁজে দিতে বলেছিলেন। না, অসুখে মৃত্যু নয়, মৃত্যু ঘটেছে আরও ভয়ঙ্কর ভাবে। অসুস্থ সে ছিলই। কিন্তু সেই অবস্থাতেই কেউ গীতাকে ধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করেছে। মাই … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন –নবম অংশ

বিকেলে বিমলবাবু যখন এলেন, আমরাও একেনবাবুর বাড়িতে। শনি-রবিবার ছাড়া আমরা আসি না। আজকে অবশ্যই স্পেশাল ব্যাপার। বিমলবাবু দেখলাম কথা বলতে ভালোবাসেন। যা বললেন, তাতে দিলীপই যে খুনি, সে বিষয়ে সন্দেহের বিশেষ অবকাশ নেই। গীতা অসুস্থ হয়ে বাড়িতে একা ছিল। ওর মা আর ভাই সেদিন গীতার জন্য কালীঘাটে গিয়েছিল পুজো দিতে। সেই সময়ে কাছাকাছি কেউ নেই … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন –দশম অংশ

বিকেলে গিয়ে দেখি একেনবাবু ঘন ঘন পা নাচাচ্ছেন, আর ঝালমুড়ি খাচ্ছেন। “এই যে স্যার, এসে গেছেন“। বলে, চিৎকার জুড়লেন, “এই কোথায় আছ, আরও দু-প্লেট ঝালমুড়ি লাগবে।“ ভেতর থেকে একেনবৌদির গলা শুনলাম, “ওঁদের জন্য লুচি হচ্ছে।“ একেনবাবু বললেন, “দেখলেন তো স্যার, আপনাদের জন্য লুচি, আর আমার জন্য ঝালমুড়ি।“ “আপনার একটু শাস্তি হওয়াই উচিত ,” প্রমথ বলল। … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিহিংসা— প্রথম অংশ

  আমার নাম বাদল। আমার নাম এখন হয়তো অনেকেই জানেন কাকুর লেখালিখির কল্যাণে। আমি চঞ্চলের বন্ধু থেকে এখন তো ভাই হয়ে গেছি আর আমি এখন তো একটু বেশ বড় ও হয়েছি। বারো বছর বয়স হয়ে গেছে আমার অনেক দিন। তেরো চলছে। তাই কাকুর মত করে গল্প লেখবার জন্য চেষ্টা ও করি আমি মাঝে মাঝে কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিহিংসা— দ্বিতীয় অংশ

  আর কাকু ও তখন জব্দ। হিঃ…..হিঃ…..হিঃ… সে বেশ মজা । ‘টিকিট পেয়েছিস’? ‘না। দেখছি’। ‘দেখ। কনফার্ম কর দেখে নিয়ে, প্লীজ। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট তিনটেয়। মোটে তো দেড় ঘন্টা লাগে। গাড়ি থাকবে এয়ারপোর্টে’। আমার কিন্তু বেশ মায়া হোল কাকুর জন্য এ’বার। আমি গিয়ে কাকুকে বললুম-‘ তুমি না কাকু, আমাকে এখন দাও কম্পুটার। আমি ডাউনলোড, প্রিন্ট … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!