প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী–পঞ্চম অংশ

সাবার্বান ট্রেনে চড়ার অভ্যাস একেবারেই নেই। কিন্তু ক্যানিং পেরিয়ে যে গ্রামে আর্যশেখরের আদিবাড়ী সেখানে যেতে গেলে ট্রেনই সুবিধে। উলটো দিকে বলে ট্রেন ফাঁকা ও রয়েছে। ট্রেনে বসে জানলার বাইরে মেঘলা আকাশ দেখতে দেখতে অনেক কিছু চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। সুচেতনাকে ফোন করে সাহায্য করতে বলেছিল। ইন্টরভিউ এর টেপটা দেখা সম্ভব হয়েছে। ঐ সাক্ষাৎকারটিতে তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী–ষষ্ঠ অংশ

রবিবারের সকালে আরাম করে রবিবাসরীয় কাগজ পড়া মৃগাঙ্কর খুব শখের কাজ। সুযোগের অভাবে প্রায়শই সে শখ পূরণ হয় না। আজ সে বেশ আরাম করে আমেজটুকুকে উপভোগ করছিল। আকাশ পুরো কালো মেঘে ঢাকা, ঝির খির করে বৃষ্টি পড়ছে। হাল্কা করে রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গান চলছিল। মাধবীলতা বলল – – এই, একটা কথা বলব, রাগ করবে না! – … বিস্তারিত পড়ুন

প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী–সপ্তম অংশ

বেশ কিছুক্ষণ কান্নার পর চা খেয়ে একটু শান্ত হয়ে, সামলে নিয়ে মুখ খুলেছে দেবলীনা। — – ছোটবেলা থেকেই আমার খুব প্রিয় লেখক আর্যশেখর। ওঁর ছোটদের লেখার হাত ও তো দারুণ। কিন্তু বাবা, কেন জানি কখনোই ওঁকে একদম পছন্দ করতেন না, – বলতেন ওর কোন মৌলিক কিছু লেখার ক্ষমতা নেই, নিশ্চয়ই কোথা থেকে ঝেড়ে দিয়েছে – … বিস্তারিত পড়ুন

পুরস্কার পাঁচ হাজার ডলার— প্রথম অংশ

সকালে আড্ডা দিতে নীচে প্রমথর অ্যাপার্টমেণ্টে যেতেই একেনবাবু একগাল হেসে বললেন, “ভালোই হল স্যার, আপনি এসেছেcন। মিস্টার রাজ সিং একটু আগে ফোন করেছিলেন, উনিও আসছেন।” “রাজ সিং, মানে দ্য গ্রেট ডিটেকঠিভ রাজ সিং?” আমি একটু ঠাট্টা করেই প্রশ্নটা করলাম।” “হ্যাঁ স্যার। ওঁর হাতে নাকি একটা কমপ্লিকেটেড কেস এসেছে। আমাদের কাছে একটু পরমর্শ চান।” ‘আমাদের’ কথাটা … বিস্তারিত পড়ুন

পুরস্কার পাঁচ হাজার ডলার— তৃতীয় অংশ

“কাস্টমারদের লাইনের অন্য সাইডে একটা পাটাতনের মতো আছে। সেখানে সিকিউরিটি গার্ড ও কয়েকজন কর্মচারি বসে। প্রথম দু’দিন সেখানে একটা চেয়ার নিয়ে বসেছিলাম। শেষ তিন দিন মিস জোনসের ঠিক পেছনে বুক কিপারদের একটা টেবিল আছে, সেখানে ছিলাম।” তার মানে স্যার, আপনি চারজন টেলারকেই ভালো করে দেখতে পারছিলেন।” অ্যাবসোলুটলি! শুধু দেখা নয়, সবার কথাও শুনতে পারছিলাম।” একেনবাবু … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন –দশম অংশ

বিকেলে গিয়ে দেখি একেনবাবু ঘন ঘন পা নাচাচ্ছেন, আর ঝালমুড়ি খাচ্ছেন। “এই যে স্যার, এসে গেছেন“। বলে, চিৎকার জুড়লেন, “এই কোথায় আছ, আরও দু-প্লেট ঝালমুড়ি লাগবে।“ ভেতর থেকে একেনবৌদির গলা শুনলাম, “ওঁদের জন্য লুচি হচ্ছে।“ একেনবাবু বললেন, “দেখলেন তো স্যার, আপনাদের জন্য লুচি, আর আমার জন্য ঝালমুড়ি।“ “আপনার একটু শাস্তি হওয়াই উচিত ,” প্রমথ বলল। … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিহিংসা— প্রথম অংশ

  আমার নাম বাদল। আমার নাম এখন হয়তো অনেকেই জানেন কাকুর লেখালিখির কল্যাণে। আমি চঞ্চলের বন্ধু থেকে এখন তো ভাই হয়ে গেছি আর আমি এখন তো একটু বেশ বড় ও হয়েছি। বারো বছর বয়স হয়ে গেছে আমার অনেক দিন। তেরো চলছে। তাই কাকুর মত করে গল্প লেখবার জন্য চেষ্টা ও করি আমি মাঝে মাঝে কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিহিংসা— দ্বিতীয় অংশ

  আর কাকু ও তখন জব্দ। হিঃ…..হিঃ…..হিঃ… সে বেশ মজা । ‘টিকিট পেয়েছিস’? ‘না। দেখছি’। ‘দেখ। কনফার্ম কর দেখে নিয়ে, প্লীজ। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট তিনটেয়। মোটে তো দেড় ঘন্টা লাগে। গাড়ি থাকবে এয়ারপোর্টে’। আমার কিন্তু বেশ মায়া হোল কাকুর জন্য এ’বার। আমি গিয়ে কাকুকে বললুম-‘ তুমি না কাকু, আমাকে এখন দাও কম্পুটার। আমি ডাউনলোড, প্রিন্ট … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিহিংসা—তৃতীয় অংশ

আর অপরাধী যদি ধরাই পড়েছে তবে আর কাকু কি করবে? নাঃ…সত্যিই দেখি জটিল ব্যাপার। আর আত্মহত্যার কেসে অন্য কেউ অপরাধী হয়ই বা কি করে? তবে শুনলুম যে যিনি মারা গেছেন তিনি এই বাড়ির একমাত্র ভাড়াটে ছিলেন। নাম মিঃ সিয়েন। আর মালিক আর ভাড়াটে দু’জনেই শুনি যে বাঙালী। এ আবার কেমনধারা বাঙালী নাম রে বাবা? বাঙালী … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিহিংসা–পঞ্চম অংশ

বড় কাকু আমার কথার ইঙ্গিতটায় তেমন গা দিলো না কিন্তু কাকু আমার দিকে আবার করে কট মট করে তাকালো। আমি বললুম—‘কাকু, লীনা মেডিক্যাল্সে কতজন কাজ করতো জানা যেতে পারে কি? তাদের কাউকে যদি পাওয়া যায় তো তিন চারটে কথা জানতে চাইতুম আমি কাল…’ ‘সমঝ গয়া…হো যায়গা মিঃ বন্ড….ডোন্ট ওরি…আর কিছু?’ ‘ডঃ সানিয়েলের ঘরের দরজা ও … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!