কান্তার মরু – ০৩ –মাসুদ রানা

‘এই জাহাজে ঘাপলা আছে,’ কেবিনে ঢুকে মূর্তি হয়ে বসল জেন। ‘স্পীড কম। এয়ারকন্ডিশনিং ঠিক মত কাজ করে না। আর ববি মুর জঘন্য কফি বানাত, এই বলবে তো?’ ‘না।’ ওকে ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিতে অপেক্ষা করছে রানা। ‘রানা,’ বলল মেয়েটি, ‘শেপ মাইয়ার সম্পর্কে বিসিআই তোমাকে কি কি জানিয়েছে বলবে আমাকে?’ ‘একসময় না একসময় জাহাজটা মাসাওয়া পৌঁছবে। … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০৪ –মাসুদ রানা

অসহ্য মাথার যন্ত্রণা নিয়ে জ্ঞান ফিরল মাসুদ রানার। মনে হচ্ছে ওর মাথার ভেতর অমলেন্দু বিশ্বাসের যাত্রাপার্টি শো করছে। নগড়ব বাতিটা সরাসরি মুখের ওপর হামলা করায় চোখ বুজতে বাধ্য হলো। গুঙিয়ে উঠে কোথায় রয়েছে ভাবার চেষ্টা করল ও। ‘রানা?’ নারীকণ্ঠ। খোঁত করে জবাব দিল ও। ‘রানা?’ মহিলা বলল আবার, কণ্ঠে জরুরি তাগিদ।ব্যথা সত্ত্বেও চোখ খুলল রানা। … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০৫ –মাসুদ রানা

সম্ভাব্য পরিকল্পনা আঁটতে তিনটে দিন লেগে গেল রানার। জেনকে সঙ্গে নিয়ে ছকটা এঁকেছে ও। ইতোমধ্যে মাথার জখমটা সেরে এসেছে প্রায়। আরেকবার একই জায়গায় বাড়ি না খেলে ওটা আর ভোগাবে না। গ্রেপ্তারকারীরা দিনে তিনবার করে আসছে, নিশ্চিত হয়েছে ওরা। একবার উচ্ছিষ্ট তুলে নিয়ে যাচ্ছে, একবার বাকেট পাল্টে দিচ্ছে এবং আরেকবার জগভর্তি পানি আনছে। ছটার আগ দিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০৬ –মাসুদ রানা

দুই, বড়জোর তিন মিনিট বিশ্রাম নিল রানা। সময়টুকু যদিও ঢের লম্বা মনে হলো ওর কাছে। হাতঘড়ি বলছে দশটা পঁয়ত্রিশ। কিন্তু এখন নটা পঁয়ত্রিশ কিংবা এগারোটা পঁয়ত্রিশ হওয়াও বিচিত্র নয়। টাইম জোনের পরিবর্তন শুধুমাত্র আন্দাজের ওপর ধারণা করছে রানা। সুইচটা খুঁজে পেয়ে জ্বালল ও। খুব সাবধানে, বোসানস লকার ত্যাগের আগে মাথায় এঁটে বসানো হ্যাটটা খুলল। একটুকরো … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০৭ –মাসুদ রানা

সাচ্চিকে কম্পাস ব্যবহার করতে দেখেনি এপর্যন্ত রানা। রাতে তারা জরিপ করার সময়ও সেক্সট্যান্ট জাতীয় কোন কিছু কাজে লাগায় বলে মনে হয় না। আপাতদৃষ্টে, নক্ষত্রপুঞ্জ এত ভালভাবে চেনে সে, যে প্রতি রাতে ওগুলোকে দেখে নিজেদের অবস্থান বের করে নিতে পারছে। কিংবা হয়তো অতিচেনা কোন ট্রেইল অনুসরণ করছে। তাও যদি হয়, তবু ওকে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পনড়ব বলে সার্টিফিকেট … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০৮ –মাসুদ রানা

  তিনদিন বাদে, প্রায় কারবালার দশা নিয়ে ভিনড়ব ধরনের এক অঞ্চলে প্রবেশ করল রানাদের কাফেলা। অগুনতি পাথুরে পাহাড় চারধারে। ছোটখাট ঝোপ-ঝাড়েরও ছড়াছড়ি লক্ষ করা গেল। উটচালক ও গার্ডদের মুখের হাসি বলে দিল কাছেই পানির ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রাটা খুব সোজা ছিল না। আরও দুটো উট খোয়াতে হয়েছে। বালির ওপর একবার যে শুয়েছিল, ওরা মাল খালাস করার … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০৯ –মাসুদ রানা

মাঝরাতের দিকে ঘুম ভাঙল রানার। গুপ্ত স্থান থেকে ও ছোরাটা বের করতে উঠে বসল আবু হাতেম। আলখাল্লার ভাঁজ থেকে একই রকম আরেকটা ছোরা বের করে কুঁড়েঘরের আবছা আঁধারে একগাল হাসল। এক দিক দিয়ে, আজ রাতটা বাছা ঠিক হয়নি ওদের, কারণ চাঁদমামা ভাগেড়ব-ভাগড়বীদের প্রতি সুবিচার করছে না। আজ জ্যোৎস্না রাত। আবু হাতেমকে আগে যেতে দিল রানা। … বিস্তারিত পড়ুন

নীল পদ্মরাগ –শার্লক হোমসের গল্প– ১ম পর্ব

বড়োদিনের দিন দুয়েক পরে সকালের দিকে আমার বন্ধু শার্লক হোমসকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। হোমস তার পার্পল-রঙা ড্রেসিং গাউনটা পরে সোফায় হেলান দিয়ে বসেছিল। তার ডানদিকে পাইপ রাখার তাক আর হাতের কাছে ছড়ানো ছিল একগাদা সদ্যপঠিত প্রভাতী সংবাদপত্র। সোফার পাশে চেয়ারে ঝুলছিল একখানা জীর্ণ পুরনো ফেল্ট হ্যাট। টুপিটা জায়গায় জায়গায় ফাট–ব্যবহারের অযোগ্য। চেয়ারের উপর রাখা … বিস্তারিত পড়ুন

নীল পদ্মরাগ –শার্লক হোমসের গল্প– ২য় পর্ব

“অ্যাঁ? কী হয়েছে ওই হাঁসটা? ওটা কী আবার জ্যান্ত হয়ে উঠে ডানা মেলে জানলা দিয়ে উড়ে পালিয়ে গেছে?” উত্তেজিত লোকটার মুখটা ভাল করে দেখার জন্য সোফায় বসেই শরীরটাকে মোচড় দিল। “না মশায় না! দেখুন, আমার বউ ওই হাঁসটার পেট থেকে কী পেয়েছে!” এই বলে পিটারসন নিজের হাতটা মেলে ধরল। একটা জ্বলজ্বলে নীল পাথর। মটরশুঁটির দানার … বিস্তারিত পড়ুন

নীল পদ্মরাগ –শার্লক হোমসের গল্প– ৩য় পর্ব

একটা রোগীকে দেখতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল। বেকার স্ট্রিটে পৌঁছোতে পৌঁছোতেই সাড়ে ছ-টা বেজে গেল। গিয়ে দেখি বাড়ির সামনে স্কচ বনেট টুপি আর কোট পরা একটা লোক থুতনি-অবধি বোতাম আটকিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। ফ্যানলাইটের[††] উজ্জ্বল অর্ধবৃত্তাকার আলো এসে পড়েছে তার উপরে। দরজার কাছে আসতেই দরজা খুলে গেল। আমরা দু-জনে একসঙ্গে হোমসের ঘরে ঢুকলাম। হোমস … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!