কান্তার মরু – ০৭ –মাসুদ রানা

সাচ্চিকে কম্পাস ব্যবহার করতে দেখেনি এপর্যন্ত রানা। রাতে তারা জরিপ করার সময়ও সেক্সট্যান্ট জাতীয় কোন কিছু কাজে লাগায় বলে মনে হয় না। আপাতদৃষ্টে, নক্ষত্রপুঞ্জ এত ভালভাবে চেনে সে, যে প্রতি রাতে ওগুলোকে দেখে নিজেদের অবস্থান বের করে নিতে পারছে। কিংবা হয়তো অতিচেনা কোন ট্রেইল অনুসরণ করছে। তাও যদি হয়, তবু ওকে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পনড়ব বলে সার্টিফিকেট … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০৮ –মাসুদ রানা

  তিনদিন বাদে, প্রায় কারবালার দশা নিয়ে ভিনড়ব ধরনের এক অঞ্চলে প্রবেশ করল রানাদের কাফেলা। অগুনতি পাথুরে পাহাড় চারধারে। ছোটখাট ঝোপ-ঝাড়েরও ছড়াছড়ি লক্ষ করা গেল। উটচালক ও গার্ডদের মুখের হাসি বলে দিল কাছেই পানির ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রাটা খুব সোজা ছিল না। আরও দুটো উট খোয়াতে হয়েছে। বালির ওপর একবার যে শুয়েছিল, ওরা মাল খালাস করার … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০৯ –মাসুদ রানা

মাঝরাতের দিকে ঘুম ভাঙল রানার। গুপ্ত স্থান থেকে ও ছোরাটা বের করতে উঠে বসল আবু হাতেম। আলখাল্লার ভাঁজ থেকে একই রকম আরেকটা ছোরা বের করে কুঁড়েঘরের আবছা আঁধারে একগাল হাসল। এক দিক দিয়ে, আজ রাতটা বাছা ঠিক হয়নি ওদের, কারণ চাঁদমামা ভাগেড়ব-ভাগড়বীদের প্রতি সুবিচার করছে না। আজ জ্যোৎস্না রাত। আবু হাতেমকে আগে যেতে দিল রানা। … বিস্তারিত পড়ুন

রানার— রাগিব নিযাম জিসান (গোয়েন্দা গল্প)

ঊন্নিশশো শতাব্দী। তখন ডাকবাহকের প্রচলন ছিলো অত্যধিক। কারণ আমাদের জমিদার মশায়েরা তাদের চিঠিপত্র আদান প্রদান করতেন এইভাবেই। যারা এই চিঠিপত্র, পার্সেল আনা নেয়া করতো তাদের “রানার” বলা হয়। কাধে ঝুলতো ইয়াব্বড়ো ঝোলা, হাতে ধার দেয়া শানিত বল্লম। সে কি? বল্লম কেনো? আরে বল্লম হলো ব্যাক্তিগত সুরক্ষার জন্য। সেকি শ্বাপদসংকুল দিন ছিলো তখন! বাঘ-ভাল্লুকে ওত পেতে … বিস্তারিত পড়ুন

অগ্নিকন্যা — রাগিব নিযাম জিসান (গোয়েন্দা গল্প)

প্রিয় সুষমা, জানি আমাদের সম্পর্কটা ঘরে কেউ মেনে নেবে না। বাবার অগাধ সম্পত্তি থাকার কারণে আমি অসহায়। কেনো জানো? কারণ একমাত্র ছেলে হিসেবে আমাকে বাবার ব্যাবসায় বসতে হবে। তবুও আমি তোমাকে হারাতে চাই না। গভীর এ সম্পর্ক যে কখনো ম্লান হবার নয়। জানি তুমি দু সপ্তা ধরে প্রেগন্যান্ট। কিন্তু আমার যে এই মুহুর্তে এতো বিশাল … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০১–মাসুদ রানা

বিসিআই হেডকোয়ার্টার, মতিঝিল, ঢাকা। ‘এটা একটা খাপছাড়া ব্লাইণ্ড মিশন, রানা, পুরোপুরি অফিশিয়ালও বলা যায় না।’ চুরুটে অগিড়বসংযোগ করে বললেন রাহাত খান। সুপরিসর কামরায় বিশাল ডেস্কটার পেছনে বসে তিনি। দপদপ করে লাফাচ্ছে কপালের শিরা। ‘খবর পেয়েছি, মোট তেইশটা মিসাইল আর নিউক্লিয়ার ওঅরহেড চুরি গেছে। ইথিওপিয়ায় রয়েছে এখন সেগুলো।’ ‘মিসাইলগুলো কাদের, স্যার?’ ‘এক কথায় বলতে গেলে সবার। … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০২ –মাসুদ রানা

যে কোন জাহাজ সাগরে ভাসানো এক ঝকমারি, কিন্তু শেপ মাইয়ার-এর ক্রুরা যেন পণ করেছে হুল্লোড় করে যাত্রীদের জ্বালিয়ে মারবে। হাতঘড়িতে নজর বুলাল রানা। সাতটা। সিদ্ধান্ত নিতে হয় এখন। স্টিলেটো সঙ্গে নেবে? আলী আকবরের কাছে ছুরি থাকলে মানাবে? মনস্থির করতে পারল না। সুটকেসের গোপন কম্পার্টমেন্টে শেষতক লুগার ও খুদে গ্যাস বোমাটাকে সঙ্গ দিতে রয়ে গেল ওটা। … বিস্তারিত পড়ুন

নীল পদ্মরাগ –শার্লক হোমসের গল্প– ১ম পর্ব

বড়োদিনের দিন দুয়েক পরে সকালের দিকে আমার বন্ধু শার্লক হোমসকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। হোমস তার পার্পল-রঙা ড্রেসিং গাউনটা পরে সোফায় হেলান দিয়ে বসেছিল। তার ডানদিকে পাইপ রাখার তাক আর হাতের কাছে ছড়ানো ছিল একগাদা সদ্যপঠিত প্রভাতী সংবাদপত্র। সোফার পাশে চেয়ারে ঝুলছিল একখানা জীর্ণ পুরনো ফেল্ট হ্যাট। টুপিটা জায়গায় জায়গায় ফাট–ব্যবহারের অযোগ্য। চেয়ারের উপর রাখা … বিস্তারিত পড়ুন

নীল পদ্মরাগ –শার্লক হোমসের গল্প– ২য় পর্ব

“অ্যাঁ? কী হয়েছে ওই হাঁসটা? ওটা কী আবার জ্যান্ত হয়ে উঠে ডানা মেলে জানলা দিয়ে উড়ে পালিয়ে গেছে?” উত্তেজিত লোকটার মুখটা ভাল করে দেখার জন্য সোফায় বসেই শরীরটাকে মোচড় দিল। “না মশায় না! দেখুন, আমার বউ ওই হাঁসটার পেট থেকে কী পেয়েছে!” এই বলে পিটারসন নিজের হাতটা মেলে ধরল। একটা জ্বলজ্বলে নীল পাথর। মটরশুঁটির দানার … বিস্তারিত পড়ুন

নীল পদ্মরাগ –শার্লক হোমসের গল্প– ৩য় পর্ব

একটা রোগীকে দেখতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল। বেকার স্ট্রিটে পৌঁছোতে পৌঁছোতেই সাড়ে ছ-টা বেজে গেল। গিয়ে দেখি বাড়ির সামনে স্কচ বনেট টুপি আর কোট পরা একটা লোক থুতনি-অবধি বোতাম আটকিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। ফ্যানলাইটের[††] উজ্জ্বল অর্ধবৃত্তাকার আলো এসে পড়েছে তার উপরে। দরজার কাছে আসতেই দরজা খুলে গেল। আমরা দু-জনে একসঙ্গে হোমসের ঘরে ঢুকলাম। হোমস … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!