মুখোশ–রিফাৎ আরা

গত তিন দিন হয় লোকটি এ বাড়িতে এসেছে। এখনো লোকটিকে ভাল করে দেখার সুযোগ পায়নি। বৈঠকখানা ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিল রাবিয়া। এই মুহূর্তে লোকটা একা বসে আছে। গত তিন দিন উপচে পড়া ভীড় ছিল এ ঘরে। বাড়ির অন্য মেয়েদের সঙ্গে রাবিয়াও উঁকিঝুকি দিয়েছে। কিন্তু সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষের মাথা ছাড়া আর কিছুই … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ১১ –মাসুদ রানা

  সূর্যোদয়ের দু’ঘণ্টা পর। দূরে, ছোট্ট এক গ্রামের উদ্দেশে চলে যাওয়া একটা ট্রেইল দেখতে পাওয়া গেল। আবু হাতেম সেদিকে নিয়ে চলল ওদের। লোকটা কাহিল, জ্বরাক্রান্ত, স্যাডলে দোল খাচ্ছে; বেশ ক’বার দেখল রানা। ক্যাম্প ত্যাগের আগে ওর জখমটা পরখ করেছে সে। সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বুলেট, হাড়ের ভাঙা টুকরো ও কাপড় শীঘ্রিই সরানো দরকার। ‘স্যাডলে বসে থাকতে পারবে?’ … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ১২ –মাসুদ রানা

ছোট্ট মিলিটারী এয়ারফিল্ডে রানাকে আমন্ত্রণ জানালেন জেনারেল হাশমী তাঁর আক্রমণ পর্যবেক্ষণ করার জন্যে। যুদ্ধের জন্যে তৈরি ও কষ্টসহিষ্ণু মনে হলো ওদের দেখে। আমহারিক গোত্র থেকে এসেছে বেশিরভাগ, এবং রানার ধারণা হলো, ইথিওপিয়ার জাতিগত সমস্যার কথা মাথায় রেখে, এদের বাছাই করতে হয়েছে ভদ্রলোককে। ঝটপট রওনা হয়ে গেল ওরা। মাখনের মত মসৃণ হলো মিলিটারী অপারেশনটা। জেনারেলের কপ্টার … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ১৩ –মাসুদ রানা

রানা আশা করছিল বস ওকে ঢাকা ফেরত পাঠিয়ে মিশনের ইতি টানবেন। মালদিনির হেডকোয়ার্টার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মাসুদ রানা ইথিওপিয়া এসে কাজের কাজ কি করল? না, না, সে জুলেখাকে উদ্ধার করে এনেছে। এনে অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে খুশি রানা, কিন্তু টের পেল ইথিওপিয়া সরকার এটুকুতে খুশি নয়। কাজেই বস যখন আসমারায় একটা অ্যাপার্টমেন্ট ব্যবস্থা করে দিলেন এবং নতুন … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ১৪ –মাসুদ রানা– শেষ পর্ব !

ম্যাকলিনের তাড়া খেয়ে যে বারটিতে গিয়ে ঢুকল ওরা, সেটিও বড় সুবিধের জায়গা নয়। পছন্দসই পতিতাদের এখান থেকে বেছে নিয়ে যায় খদ্দেররা। দেখা গেল, সন্ধের ঠাণ্ডা বাতাসের তোয়াক্কা নেই মেয়েগুলোর। দিব্যি পাতলা সামার ড্রেস পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘরময়, আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করছে ওরা নিজেদের। রানারা বারে ঢুকতে কটমট করে জুলেখাকে মাপল ওদের চোখ। এমনকি যাদের সঙ্গে … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ১০ –মাসুদ রানা

  তিন দিন বাদে, পানি, খাবার নিঃশেষ প্রায়, পশ্চিম দিকে তিগ্রাই প্রদেশের নিচু, পাথুরে পাহাড়সারির উদ্দেশে মোড় নিল দলটা। সূর্যাস্তের খানিক আগে, ছোট্ট এক ওয়াটার হোল খুঁজে পেল আবু হাতেম। প্রাণ ভরে পান করে, যতেড়বর সঙ্গে ক্যান্টিন ভরে নিল ওরা। ঝোপ-ঝাড় বিরল প্রায়, সেগুলো গলাধঃকরণের আগে উটেরা তাদের স্বাভাবিক লোভী আচরণ দেখাল। ‘বাজে জায়গা এটা,’ … বিস্তারিত পড়ুন

রানার— রাগিব নিযাম জিসান (গোয়েন্দা গল্প)

ঊন্নিশশো শতাব্দী। তখন ডাকবাহকের প্রচলন ছিলো অত্যধিক। কারণ আমাদের জমিদার মশায়েরা তাদের চিঠিপত্র আদান প্রদান করতেন এইভাবেই। যারা এই চিঠিপত্র, পার্সেল আনা নেয়া করতো তাদের “রানার” বলা হয়। কাধে ঝুলতো ইয়াব্বড়ো ঝোলা, হাতে ধার দেয়া শানিত বল্লম। সে কি? বল্লম কেনো? আরে বল্লম হলো ব্যাক্তিগত সুরক্ষার জন্য। সেকি শ্বাপদসংকুল দিন ছিলো তখন! বাঘ-ভাল্লুকে ওত পেতে … বিস্তারিত পড়ুন

অগ্নিকন্যা — রাগিব নিযাম জিসান (গোয়েন্দা গল্প)

প্রিয় সুষমা, জানি আমাদের সম্পর্কটা ঘরে কেউ মেনে নেবে না। বাবার অগাধ সম্পত্তি থাকার কারণে আমি অসহায়। কেনো জানো? কারণ একমাত্র ছেলে হিসেবে আমাকে বাবার ব্যাবসায় বসতে হবে। তবুও আমি তোমাকে হারাতে চাই না। গভীর এ সম্পর্ক যে কখনো ম্লান হবার নয়। জানি তুমি দু সপ্তা ধরে প্রেগন্যান্ট। কিন্তু আমার যে এই মুহুর্তে এতো বিশাল … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০১–মাসুদ রানা

বিসিআই হেডকোয়ার্টার, মতিঝিল, ঢাকা। ‘এটা একটা খাপছাড়া ব্লাইণ্ড মিশন, রানা, পুরোপুরি অফিশিয়ালও বলা যায় না।’ চুরুটে অগিড়বসংযোগ করে বললেন রাহাত খান। সুপরিসর কামরায় বিশাল ডেস্কটার পেছনে বসে তিনি। দপদপ করে লাফাচ্ছে কপালের শিরা। ‘খবর পেয়েছি, মোট তেইশটা মিসাইল আর নিউক্লিয়ার ওঅরহেড চুরি গেছে। ইথিওপিয়ায় রয়েছে এখন সেগুলো।’ ‘মিসাইলগুলো কাদের, স্যার?’ ‘এক কথায় বলতে গেলে সবার। … বিস্তারিত পড়ুন

কান্তার মরু – ০২ –মাসুদ রানা

যে কোন জাহাজ সাগরে ভাসানো এক ঝকমারি, কিন্তু শেপ মাইয়ার-এর ক্রুরা যেন পণ করেছে হুল্লোড় করে যাত্রীদের জ্বালিয়ে মারবে। হাতঘড়িতে নজর বুলাল রানা। সাতটা। সিদ্ধান্ত নিতে হয় এখন। স্টিলেটো সঙ্গে নেবে? আলী আকবরের কাছে ছুরি থাকলে মানাবে? মনস্থির করতে পারল না। সুটকেসের গোপন কম্পার্টমেন্টে শেষতক লুগার ও খুদে গ্যাস বোমাটাকে সঙ্গ দিতে রয়ে গেল ওটা। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!