বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১৯ প্রবাহ

রাত্রির পর দিন, দিনের পর রাত্রি আসিয়া, দেখিতে দেখিতে সপ্তাহ কাল অতীত হইয়া গেল। মদিনাবাসীরা মোহাম্মদ হানিফাকে সসৈন্যে আর এক সপ্তাহ মদিনায় থাকিতে বিশেষ অনুরোধ করিলেন। হানিফা অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া হাঁ-না, কিছুই কহিলেন না। গাজী রহমান বলিলেন, “আপনাদের অনুরোধ অবশ্যই প্রতিপাল্য; কিন্তু জয়নাল উদ্ধারে যতই বিলম্ব, ততই আশঙ্কা, ততই বিপদ মনে করিতে হইবে। এ সময় … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু —উদ্ধার পর্ব ২১ প্রবাহ

হুতাশনের দাহন আশা, ধরণীর জলশোষণ আশা, ভিখারীর অর্থলোভে আশা, চক্ষুর দর্শন আশা, গাভীর তৃণভক্ষণ আশা, ধনীর ধনবৃদ্ধির আশা, প্রেমিকের প্রেমের আশা, সম্রাটের রাজ্যবিস্তার আশার যেমন নিবৃত্তি নাই, হিংসাপূর্ণ পাপহৃদয়ে দুরাশারও তেমনি নিবৃত্তি নাই-ইতি নাই। যতই কার্যসিদ্ধি, ততই দুরাশার শ্রীবৃদ্ধি। জয়নাবের রূপমাধুরী হঠাৎ এজিদ্-চক্ষে পড়িল, অন্তরে দুরাশার সঞ্চার হইল। স্বামী জীবিত,-জয়নাবের স্বামী আবদুল জাব্বার জীবিত; অত্যাচার, … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু —উদ্ধার পর্ব ২২ প্রবাহ

নিশার অবসান না হইতেই উভয় দলে রণবাদ্য বাজিতে লাগিল, এক পক্ষে হানিফার প্রাণবিনাশ, অপর পক্ষে এজিদের পরমায়ু শেষ দুই দলে দুই প্রকার আশা। দামেস্ক নগরবাসীরা কে কোন পক্ষের হিতৈষী, তাহা সহজে বুঝিবার সাধ্য নাই। কারণ মোহাম্মদ হানিফার পক্ষে কেহ কোন কথা বলিলে, জয়নাল আবেদীনের জন্য কেহ দুঃখ করিলে, সে রাজদ্রোহী মধ্যে গণ্য হয়, কোতোয়ালের হস্তে … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু —উদ্ধার পর্ব ২৩ প্রবাহ

প্রভাত হইল। পাখীরা ঈশ-গান গাহিতে গাহিতে জগৎ জাগাইয়া তুলিল। অরুণোদয়ের সহিত যুদ্ধ-নিশান দামেস্ক-প্রান্তরে উড়িতে লাগিল। যে মস্তক জয়নাবের কর্ণাভরণের দোলায় দুলিয়াছিল ঘুরিয়াছিল, এখনও দুলিতেছে, ঘুরিতেছে), আজ সেই মস্তক হানিফার অস্ত্র চালনার কথা মনে করিয়া মহাবিপাকে ঘুরিতে লাগিল। সঙ্গে সঙ্গে মারওয়ান, অলীদ, জেয়াদ, ওমরের মস্তিষ্ক পরিশুষ্ক; সৈন্যগণের হৃদয়ে ভয়ের সঞ্চার-না জানি আবার কি ঘটে! উভয় পক্ষই … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ০৭ প্রবাহ

তোমার এ দুর্দশা কেন? কোন কুক্রিয়ার ফলে তোমার এ দশা ঘটিয়াছে? যখন পাপ করিয়াছিলে, তখন কি তোমার মনে কোন কথা উদয় হয় নাই? এখন লোকালয়ে মুখ দেখাইতে এত লজ্জা কেন? খোল, খোল, মুখের আবরণ খোল; দেখি কি হইয়াছে। চিরপাপী পাপপথে দণ্ডায়মান হইলে হিতাহিত জ্ঞান অণুমাত্রও তাহার অন্তরে উদয় হয় না। যেন-তেন প্রকারেণ পাপকূপে ডুবিতে পারিলেই … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ০৮ প্রবাহ

কী চমৎকার দৃশ্য! মহাবীর মোহাম্মদ হানিফা অশ্ব-বল্গা সজোরে টানিয়া অশ্ব-গতিরোধ করিয়াছেন। গ্রীবা বক্র, দৃষ্টি পশ্চাৎ-কারণ সৈন্যগণ কতদূরে তাহাই লক্ষ্য। অশ্ব সম্মুখস্থ পদদ্বয় কিঞ্চিৎ বক্রভাবে উত্তোলন করিয়া দণ্ডায়মান। একপার্শ্বে মদিনার কাসেদ। হানিফার চক্ষু জলে পরিপূর্ণ। দেখিতে দেখিতে অর্ধচন্দ্র এবং পূর্ণতারা সংযুক্ত নিশান হেলিয়া-দুলিয়া ক্রমেই নিকটবর্তী হইল। গাজী রহমান উপস্থিত প্রভুর সজল চক্ষু, মুখভাব মলিন, নিকটে অপরিচিত … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ০৯ প্রবাহ

ওত্‌বে অলীদ সৈন্যসহ মদিনা-প্রবেশপথের প্রান্তরে হানিফার অপেক্ষায় রহিয়াছে। একদা সায়াহ্নকালে কয়েকজন অনুচরসহ নিকটস্থ শৈলশিখরে বায়ু সেবন আশায় সজ্জিত বেশে বহির্গত হইল। পাঠক! যে স্থানে মায়মুনার সহিত মারওয়ান নিশীথ সময়ে কথা কহিয়াছিল, এই সেই পর্বত। হোসেনের তরবারির চাক্চিক্য দেখিয়া যে পর্বতের গুহায় অলীদ লুকাইয়াছিল, এই সেই পর্বত! শৈলশিখরে বিহার করিবে, প্রকৃতির স্বাভাবিক শোভা দেখিয়া নয়ন পরিতৃপ্ত … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১০ প্রবাহ

বিশ্রামদায়িনী নিশার দ্বিযাম অতীত! অনেকেই নিদ্রার ক্রোড়ে অচেতন। এ সময় কিন্তু আশা, নিরাশা, প্রেম, হিংসা, শোক, বিয়োগ, দুঃখ, বিরহ, বিচ্ছেদ, বিকার এবং অভিমানসংযুক্ত হৃদয়ের বড়ই কঠিন সময়। সে হৃদয়ে শান্তি নাই-সে চক্ষে নিদ্রা নাই। ঐ এজিদের মন্ত্রণাগৃহে দীপ জ্বলিতেছে, প্রাঙ্গণে, দ্বারে, শাণিত কৃপাণহস্তে প্রহরী দণ্ডায়মান রহিয়াছে। গৃহাভ্যন্তরে, মন্ত্রণাদাতা মারওয়ানসহ এজিদ জাগরিত, সন্ধানী গুপ্তচর সম্মুখে উপস্থিত। … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — মহরম পর্ব ২০ প্রবাহ

মারওয়ান্ সৈন্যসহ মদিনায় আসিলেন। অলীদের মুখে সবিস্তারে সমস্ত শুনিলেন। হাসানের মৃত্যুর পর হোসেন অহোরাত্র ‘রওজা শরিফে’ বাস করিতেছেন, এ কথায় মারওয়ান্ অত্যন্ত চিন্তিত হইলেন। পবিত্র রওজায় যুদ্ধ করা নিতান্তই দুর্বুদ্ধিতার কার্য; সে ক্ষেত্রে যুদ্ধ করিতে সাহসও হয় না! যুদ্ধে আহ্বান করিলেও হোসেন কখনোই তাঁহার মাতামহের সমাধিস্থান পরিত্যাগ করিয়া অগ্রসর হইবেন না। মারওয়ান্, বিশেষরূপে এই সকল … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১১ প্রবাহ

এজিদের গুপ্তচরের অনুসন্ধান যথার্থ। তোগান ও তুর্কীয় ভূপতিদ্বয় সসৈন্যে মোহাম্মদ হানিফার সাহায্যে মদিনাভিমুখে যাইতেছেন এবং দিনমণি অস্তাচলে গমন করায়, গমনে ক্ষান্ত দিয়া বিশ্রাম-সুখ অনুভব করিতেছেন। প্রহরিগণ ধনু হস্তে শিবির রক্ষার্থে দণ্ডায়মান। শিবিরের চতুর্দিকে আলোকমালা সজ্জিত। ভূপতিগণ স্ব-স্ব নিরূপতি স্থানে অবস্থিত। শিবিরমধ্যে বিশ্রাম, আয়োজন, রন্ধন, কথোপকথন, স্বদেশ-বিদেশের প্রভেদ, জলবায়ুর গুণাগুণ, দ্রব্যাদির মূল্য, আচার-ব্যবহারের আলোচনা, নানা প্রকার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!