বিষাদ সিন্ধু —উদ্ধার পর্ব ২৫ প্রবাহ

মানবের ভাগ্যবিমানে দুঃখময় কালমেঘ দেখা দিলে, সে দিকে কাহারো দৃষ্টি পড়ে না, ভ্রমেও কেহ ফিরিয়া দেখে না। ভাল মুখে দু’টি ভাল কথা বলিয়া তাহার তাপিত প্রাণ শীতল করা দূরে থাকুক, মুখ ফুটিয়া কথা কহিতেও ঘৃণা জন্মে, সে দিকে চক্ষু তুলিয়া চাহিতেও অপমান জ্ঞান হয়। সে উপযাচক হইয়া মিশিতে আসিলেও নানা কৌশলে তাড়াইতে ইচ্ছা করে। আত্মীয়-স্বজন, … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু —উদ্ধার পর্ব ২৬ প্রবাহ

এক দুঃখের কথা শেষ না-হইতেই আর একটি কথা শুনিতে হইল। জয়নাল আবেদীনকে অদ্যই শূলে চড়াইয়া জেয়াদের প্রতিশোধ লইব, এজিদের এই প্রতিজ্ঞা। জয়নাল বন্দিগৃহে নাই, একথা এজিদ্পক্ষীয় একটি প্রাণীও অবগত নহে। মারওয়ান কারাগারের বহির্দ্বারে উপস্থিত হইয়া প্রহরীকে অনুমতি করিল, “তোমরা কয়েকজন জয়নালকে ধরিয়া আন! সাবধান, আর কাহাকেও কিছু বলিয়ো না।” মন্ত্রীবরের আজ্ঞায় প্রহরিগণ কারাগারমধ্যে প্রবেশ করিল। … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ২৭ প্রবাহ

রজনী দ্বিপ্রহর। তিথির পরিভাগে বিধুর অনুদয়, কিন্তু আকাশ নক্ষত্রমালায় পরিশোভিত। মহা কোলাহলপূর্ণ সমর-প্রাঙ্গণ এক্ষণে সম্পূর্ণভাবে নিস্তব্ধ। দামেস্ক প্রান্তরে প্রাণীর অভাব নাই। কিন্তু প্রায় সকলেই নিদ্রার কোলে অচেতন। জাগে কে?-প্রহরীদল, সন্ধানী দল, আর উভয় পক্ষের মন্ত্রীদল! মন্ত্রীদল মধ্যেও কেহ কেহ আলস্যের পরিভোগে চক্ষু মুদিয়া চিন্তায় নিমগ্ন হইতেছেন, কেহ দিবাভাগে সেই অভাবনীয় ঘটনার কোন কোন অংশ ভাবিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ২৮ প্রবাহ

রাজার দক্ষিণহস্ত মন্ত্রী, বুদ্ধি মন্ত্রী-বল মন্ত্রী! মন্ত্রীপ্রবর গাজী রহমানের চক্ষেও আজ নিদ্রা নাই, এ কথা সপ্তবিংশতি প্রবাহের আরম্ভেই প্রকাশ করা হইয়াছে। গাজী রহমান এক্ষণে মহাব্যস্ত। নিশা প্রায় শেষ হইয়া আসিল, গুপ্তচরেরা এ পর্যন্ত ফিরিয়া আসে নাই। আজিকার সংবাদ, দামেস্ক নগরের সংবাদ-এজিদ্ শিবিরের নূতন সংবাদ এ পর্যন্ত কোন সংবাদই প্রাপ্ত হইতে পারেন নাই। দ্বিতীয় দিনে শিবির … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — মহরম পর্ব ২১ প্রবাহ

কয়েকদিন দিনরাত্রি অবিশ্রান্ত পর্যটন করিয়া-মারওয়ান প্রেরিত মদিনার কাসেদ্ দামেস্ক নগরে পৌঁছিল। এজিদ যথাসময়ে কাসেদের আগমন সংবাদ পাইলেন।-সভাভঙ্গ করিয়া কাসেদ্‌কে নির্জনে লইয়া গিয়া সমুদয় অবস্থা শুনিলেন। মারওয়ান-পত্রপাঠে অনেক চিন্তা করিয়া মহারাজ এজিদ্ তৎক্ষণাৎ আবদুল্লাহ্ জেয়াদকে একখানি পত্র লিখিলেন। পত্র শেষ করিয়া কোষাধ্যক্ষের প্রতি আদেশ করিলেন, “তিন লক্ষ টাকা, তদুপযোগী বাহন এবং ঐ অর্থ রাক্ষার্থে কয়েকজন সৈনিকপুরুষ,-এই … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১২ প্রবাহ

তুমি না সেনাপতি! ছি ছি সীমার! তুমি যে এক্ষণে এজিদের সেনাপতি! কী অভিমানে বীরবেশ পরিত্যাগ করিয়া ভিখারীর বেশ ধারণ করিয়াছ? উচ্চ পদ লাভ করিয়াও কী তোমার চির-নীচতা স্বভাব যায় নাই? ছি ছি! সেনাপতির এই কার্য? বল তো, আজ কোন্ কুসুম-কাননের প্রস্ফুটিত কমলগুচ্ছ সকল গোপনে হরণ করিতে ছদ্মবেশী হইলে? কী অভিপ্রায়ে অঙ্গে মলিন-বসন,-স্কন্ধে ভিক্ষার ঝুলি,-শিরে জীর্ণ … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — মহরম পর্ব ২২ প্রবাহ

প্রণয়, স্ত্রী, রাজ্য, ধন-এই কয়েকটি বিষয়ের লোভ বড় ভয়ানক। এই লোভে লোকের ধর্ম, পুণ্য, সাধুতা, পবিত্রতা সমস্তই একেবারে সমূলে বিনাশ প্রাপ্ত হয়। অতিকষ্টে উপার্জিত বন্ধুরত্নটাও ঐ লোভে অনেকেই অনায়াসে বিসর্জন দেয়। মানুষ ঐ লোভে অনায়াসেই যথেচ্ছ ব্যবহারে অগ্রসর হইতে পারে। এজিদ্ দামেস্কের রাজা, কুফা তাঁহার অধীন রাজ্য। হোসেনের সহিত আবদুল্লাহ্ জেয়াদের কেবলমাত্র বন্ধুত্বভাব সম্বন্ধ। উপরিউক্ত … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১৩ প্রবাহ

কে জানে, কাহার মনে কী আছে? এই অস্থি, চর্ম, মাংসপেশীজড়িত দেহের অন্তরস্থ হৃদয়খণ্ডে কী আছে-তাহা কে জানে? ভুপালদ্বয় শিবিরমধ্যে শয়ন করিয়া আছেন-রজনী ঘোর অন্ধকার, শিবিরস্থ প্রহরীগণ জাগরিত,-হঠাৎ চতুর্থ দ্বারে মহা কোলাহল উত্থিত হইল। ঘোর আর্তনাদ, ‘মার’ ‘ধর’ ‘কাট’ ‘জ্বালাও’ ইত্যাদি রব উঠিল। যাহারা জাগিবার, তাহারা জাগিয়া ছিল; যাহারা ঐ সকল শব্দ ও গোলযোগের প্রতীক্ষায় ছিল, … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — মহরম পর্ব ২৩ প্রবাহ

স্বার্থপ্রসবিনী গর্ভবতী আশা যতদিন সন্তান প্রসব না করে, ততদিন আশাজীবী লোকের সংশিত মানসাকাশে ইষ্টচন্দ্রের উদয় হয় না। রাত্রির পর দিন, দিনের পর রাত্রি আসিতে লাগিল। এই রকমে দিবা-রজনীর যাতায়াত। জেয়াদের মানসাকাশে এতদিন শান্তিচন্দ্রের উদয় হয় নাই। সর্বদা অন্যমনস্ক। সর্বদাই দুশ্চিন্তাতে চিরনিমগ্ন। ইহা এক প্রকার মোহ। জেয়াদ্ দিন-দিন-দিন গণনা করিতেছেন, ক্রমে গণনার দিন পরিপূর্ণ হইল। মদিনা … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু —মহরম পর্ব ২৪ প্রবাহ

হোসেন সপরিবারে ষষ্টি সহস্র সৈন্য লইয়া নির্বিঘ্নে কুফায় যাইতেছেন। কিন্তু কতদিন যাইতেছেন, কুফার পথের কোন চিহ্নই দেখিতে পাইতেছেন না। একদিন হোসেনের অশ্বপদ মৃত্তিকায় দাবিয়া গেল। ঘোড়ার পায়ের খুর মৃত্তিকা মধ্যে প্রবেশ করিয়া যাইতে লাগিল, কারণ কি? এইরূপ কেন হইল? কারণ অনুসন্ধান করিতে করিতে হঠাৎ প্রভু মোহাম্মদের ভবিষ্যৎ বাণী হোসেনের মনে পড়িল। নির্ভীক হৃদয়ে ভয়ের সঞ্চার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!