গোরা–-৭২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের তেহাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গঙ্গার ধারে বাগানে প্রায়শ্চিত্তসভার আয়োজন হইতে লাগিল। অবিনাশের মনে একটা আক্ষেপ বোধ হইতেছিল যে, কলিকাতার বাহিরে অনুষ্ঠানটা ঘটিতেছে, ইহাতে লোকের চক্ষু তেমন করিয়া আকৃষ্ট হইবে না। অবিনাশ জানিত, গোরার নিজের জন্য প্রায়শ্চিত্তের কোনো প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন দেশের লোকের জন্য। মরাল এফেক্‌ট্‌! এইজন্য ভিড়ের মধ্যে এ কাজ দরকার। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭৩ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চুহাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কাল প্রায়শ্চিত্তসভা বসিবে, আজ রাত্রি হইতেই গোরা বাগানে গিয়া বাস করিবে এইরূপ স্থির আছে। যখন সে যাত্রা করিবার উপক্রম করিতেছে এমন সময় হরিমোহিনী আসিয়া উপস্থিত। তাঁহাকে দেখিয়া গোরা প্রসন্নতা অনুভব করিল না। গোরা কহিল, “আপনি এসেছেন— আমাকে যে এখনই বেরোতে হবে— মাও তো কয়েক দিন বাড়িতে নেই। যদি … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পচাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা কহিল—‘না। প্রায়শ্চিত্ত কাল না। আজই আমার প্রায়শ্চিত্ত আরম্ভ হয়েছে। কালকের চেয়ে ঢের বড়ো আগুন আজ জ্বলেছে। আমার নবজীবনের আরম্ভে খুব একটা বড়ো আহুতি আমাকে দিতে হবে বলেই বিধাতা আমার মনে এতবড়ো একটা প্রবল বাসনাকে জাগিয়ে তুলেছেন। নইলে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটল কেন? আমি ছিলুম কোন্‌ ক্ষেত্রে! এদের … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ছিয়াত্তর তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা লিখনটি লিখিয়া যখন হরিমোহিনীর হাতে দিল তখন তাহার মনে হইল সুচরিতা সম্বন্ধে সে যেন ত্যাগপত্র লিখিয়া দিল। কিন্তু দলিল লিখিয়া দিলেই তো তখনই কাজ শেষ হয় না। তাহার হৃদয় যে সে দলিলকে একেবারে অগ্রাহ্য করিয়া দিল। সে দলিলে কেবল গোরার ইচ্ছাশক্তি জোর কলমে নামসই করিয়া দিয়াছিল … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭৬ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের প্রথম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   সুচরিতা যখন চোখের জল লুকাইবার জন্য তোরঙ্গের ’পরে ঝুঁকিয়া পড়িয়া কাপড় সাজাইতে ব্যস্ত ছিল এমন সময় খবর আসিল, গৌরমোহনবাবু আসিয়াছেন। সুচরিতা তাড়াতাড়ি চোখ মুছিয়া তাহার কাজ ফেলিয়া উঠিয়া পড়িল। এবং তখনই গোরা ঘরের মধ্যে আসিয়া প্রবেশ করিল। গোরার কপালে তিলক তখনো রহিয়া গেছে, সে সম্বন্ধে তাহার খেয়ালই … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পঞ্চান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরার মন তখন ভাবে আবিষ্ট ছিল— সুচরিতাকে সে তখন একটি ব্যক্তিবিশেষ বলিয়া দেখিতেছিল না, তাহাকে একটি ভাব বলিয়া দেখিতেছিল। ভারতের নারীপ্রকৃতি সুচরিতা-মূর্তিতে তাহার সম্মুখে প্রকাশিত হইল। ভারতের গৃহকে পুণ্যে সৌন্দর্যে ও প্রেমে মধুর ও পবিত্র করিবার জন্যই ইঁহার আবির্ভাব। যে লক্ষ্মী ভারতের শিশুকে মানুষ করেন, রোগীকে সেবা করেন, … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ছাপান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ললিতার সঙ্গে তাহার বিবাহ-প্রসঙ্গ আলোচনা করিবার জন্যই যে সুচরিতা বিনয়কে ডাকিয়া গেল, বিনয় তাহা বুঝিয়াছিল। এই প্রস্তাবটিকে সে শেষ করিয়া দিয়াছে বলিয়াই তো ব্যাপারটা শেষ হইয়া যায় নাই। তাহার যতক্ষণ আয়ু আছে ততক্ষণ কোনো পক্ষের নিষ্কৃতি থাকিতে পারে না। এতদিন বিনয়ের সকলের চেয়ে বড়ো ভাবনা ছিল, গোরাকে আঘাত … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫৬ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের সাতান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন হারানবাবুকে যখন বরদাসুন্দরী ডাকিয়া সকল কথা বলিলেন তখন তিনি কিছুক্ষণ গম্ভীর হইয়া বসিয়া রহিলেন এবং কহিলেন, “এ সম্বন্ধে একবার ললিতার সঙ্গে আলোচনা করে দেখা কর্তব্য।” ললিতা আসিলে হারানবাবু তাঁহার গাম্ভীর্যের মাত্রা শেষ সপ্তক পর্যন্ত চড়াইয়া কহিলেন, “দেখো ললিতা, তোমার জীবনে খুব একটা দায়িত্বের সময় এসে উপস্থিত হয়েছে। এক … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫৭ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের আটান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অপরাহ্নে সুচরিতা পরেশবাবুর কাছে যাইবে বলিয়া প্রস্তুত হইতেছিল এমন সময় বেহারা আসিয়া খবর দিল একজন বাবু আসিয়াছেন। “কে বাবু? বিনয়বাবু?” বেহারা কহিল, “না, খুব গৌরবর্ণ, লম্বা একটি বাবু।” সুচরিতা চমকিয়া উঠিয়া কহিল, “বাবুকে উপরের ঘরে এনে বসাও।” আজ সুচরিতা কী কাপড় পরিয়াছে ও কেমন করিয়া পরিয়াছে এতক্ষণ তাহা … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫৮ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ঊনষাটতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিনয় আনন্দময়ীকে কহিল, “দেখো মা, আমি তোমাকে সত্য বলছি, যতবার আমি ঠাকুরকে প্রণাম করেছি আমার মনের ভিতরে কেমন লজ্জা বোধ হয়েছে। সে লজ্জা আমি চেপে দিয়েছি— উলটে আরো ঠাকুরপূজার পক্ষ নিয়ে ভালো ভালো প্রবন্ধ লিখেছি। কিন্তু সত্য তোমাকে বলছি, আমি যখন প্রণাম করেছি আমার মনের ভিতরটা তখন সায় … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!