রাজর্ষি –- ত্রয়স্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিল্বন ঠাকুরের বিস্তর কাজ পড়িয়া গেল। তিনি চট্টগ্রামের পার্বত্য প্রদেশে নানা উপহার-সমেত দ্রুতগামী দূত পাঠাইয়া দিলেন। সেখানে কুকি-গ্রামপতিদের নিকটে কুকি-সৈন্য সাহায্য প্রার্থনা করিলেন। যুদ্ধের নাম শুনিয়া তাহারা নাচিয়া উঠিল। কুকিদের যত লাল (গ্রামপতি) ছিল তাহারা যুদ্ধের সংবাদস্বরূপ লাল বস্ত্রখণ্ডে বাঁধা দা দূতহস্তে গ্রামে গ্রামে পাঠাইয়া দিল। দেখিতে দেখিতে কুকির … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন তাহার পরদিন বিচার। বিচারশালা লোকে লোকারণ্য। বিচারাসনে রাজা বসিয়াছেন, সভাসদেরা চারি দিকে বসিয়াছেন। সম্মুখে দুইজন বন্দী। কাহারও হাতে শৃঙ্খল নাই। কেবল সশস্ত্র প্রহরী তাঁহাদিগকে ঘেরিয়া আছে– রঘুপতি পাষাণমূর্তির মতো দাঁড়াইয়া আছেন, নক্ষত্ররায়ের মাথা নত। রঘুপতির দোষ সপ্রমাণ করিয়া রাজা তাঁহাকে বলিলেন, “তোমার কী বলিবার আছে ?” রঘুপতি কহিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নক্ষত্ররায় সৈন্য লইয়া অগ্রসর হইতে লাগিলেন, কোথাও তিলমাত্র বাধা পাইলেন না। ত্রিপুরার যে গ্রামেই তিনি পদার্পণ করিলেন সেই গ্রামই তাঁহাকে রাজা বলিয়া বরণ করিতে লাগিল। পদে পদে রাজত্বের আস্বাদ পাইতে লাগিলেন– ক্ষুধা আরও বাড়িতে লাগিল, চারি দিকের বিস্তৃত ক্ষেত্র, গ্রাম, পর্বতশ্রেণী, নদী সমস্তই ‘আমার’ বলিয়া মনে হইতে লাগিল এবং … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের বিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নির্বাসনোদ্যত রঘুপতিকে যখন প্রহরীরা জিজ্ঞাসা করিল “ঠাকুর, কোন্‌ দিকে যাইবেন” তখন রঘুপতি উত্তর করিলেন, “পশ্চিম দিকে যাইব।” নয় দিন পশ্চিম মুখে যাত্রার পর বন্দী ও প্রহরীরা ঢাকা শহরের কাছাকাছি আসিয়া পৌঁছিল। তখন প্রহরীরা রঘুপতিকে ছাড়িয়া রাজধানীতে ফিরিয়া আসিল। রঘুপতি মনে মনে বলিলেন, “কলিতে ব্রহ্মশাপ ফলে না, দেখা যাক … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ষট‍্‍ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নক্ষত্ররায়ের উত্তর শুনিয়া গোবিন্দমাণিক্য অত্যন্ত মর্মাহত হইলেন। বিল্বন মনে করিলেন, এবারে হয়তো মহারাজা আপত্তি প্রকাশ করিবেন না। কিন্তু গোবিন্দমাণিক্য বলিলেন, “এ কথা কখনোই নক্ষত্ররায়ের কথা নহে। এ সেই পুরোহিত বলিয়া পাঠাইয়াছে। নক্ষত্রের মুখ দিয়া এমন কথা কখনোই বাহির হইতে পারে না।” বিল্বন কহিলেন, “মহারাজ, এক্ষণে কী উপায় স্থির করিলেন … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের একবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিজয়গড়ের দীর্ঘ বন ঠগীদের আড্ডা। বনের মধ্য দিয়ে যে পথ গিয়াছে সেই পথের দুই পার্শ্বে কত মনুষ্যকঙ্কাল নিহিত আছে, তাহাদের উপরে কেবল বনফুল ফুটিতেছে, আর – কোনো চিহ্ন নাই। বনের মধ্যে বট আছে, বাবলা আছে, নিম আছে, শত শত প্রকারের লতা ও গুল্ম আছে। স্থানে স্থানে ডোবা অথবা … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –একবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   পাহাড়ের উপর বিজয়গড়। বিজয়গড়ের অরণ্য গড়ের কাছাকাছি গিয়া শেষ হইয়াছে। অরণ্য হইতে বাহির হইয়া রঘুপতি সহসা দেখিলেন, দীর্ঘ পাষাণদুর্গ যেন নীল আকাশে হেলান দিয়া দাঁড়াইয়া আছে। অরণ্য যেমন তাহার সহস্র তরুজালে প্রচ্ছন্ন, দুর্গ, তেমনি আপনার পাষাণের মধ্যে আপনি রুদ্ধ। অরণ্য সাবধানী, দুর্গ সতর্ক। অরণ্য ব্যাঘ্রের মতো গুঁড়ি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন শাসুজাকে কোনোমতে হস্তগত করাই রঘুপতির উদ্দেশ্য ছিল। তিনি যখন শুনিলেন, সুজা দুর্গ আক্রমণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন তখন মনে করিলেন মিত্রভাবে দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করিয়া তিনি কোনোরূপে সুজার দুর্গ আক্রমণে সাহায্য করিবেন। কিন্তু ব্রাহ্মণ যুদ্ধবিগ্রহের কোনো ধার ধারেন না, কী করিলে যে সুজার সাহায্য হইতে পারে কিছুই ভাবিয়া পাইলেন না। … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন খুড়াসাহেবের কী আনন্দের দিন! আজ দিল্লীশ্বরের রাজপুত সৈন্যেরা বিজয়গড়ের অতিথি হইয়াছে। প্রবলপ্রতাপান্বিত শাসুজা আজ বিজয়গড়ের বন্দী। কার্তবীর্যার্জুনের পর হইতে বিজয়গড়ে এমন বন্দী আর মেলে নাই। কার্তবীর্যার্জুনের বন্ধন-দশা স্মরণ করিয়া নিশ্বাস ফেলিয়া খুড়াসাহেব রাজপুত সুচেতসিংহকে বলিলেন, “মনে করিয়া দেখো, হাজারটা হাতে শিকলি পরাইতে কী আয়োজনটাই করিতে হইয়াছিল। কলিযুগ পড়িয়া অবধি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন খুড়াসাহেবের হাত এড়াইতে সুচেতসিংহকে আর অধিক প্রয়াস পাইতে হইল না। কাল প্রাতে বন্দী-সমেত সম্রাট-সৈন্যের যাত্রার দিন স্থির হইয়াছে, যাত্রার আয়োজনে সৈন্যেরা নিযুক্ত হইল। বন্দীশালায় শাসুজা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া মনে মনে কহিতেছেন, “ইহারা কী বেআদব! শিবির হইতে আমার আলবোলাটা আনিয়া দিবে, তাহাও ইহাদের মনে উদয় হইল না।” বিজয়গড়ের পাহাড়ের নিম্নভাগে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!