চোখের বালি–সূচনা– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমার সাহিত্যের পথযাত্রা পূর্বাপর অনুসরণ করে দেখলে ধরা পড়বে যে ‘চোখের বালি’ উপন্যাসটা আকস্মিক, কেবল আমার মধ্যে নয়, সেদিনকার বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে। বাইরে থেকে কোন্ ইশারা এসেছিল আমার মনে, সে প্রশ্নটা দুরূহ। সব চেয়ে সহজ জবাব হচ্ছে ধারাবাহিক লম্বা গল্পের উপর মাসিক পত্রের চিরকেলে দাবি নিয়ে। বঙ্গদর্শনের নবপর্যায় বের করলেন শ্রীশচন্দ্র। আমার নাম যোজনা করা হল, … বিস্তারিত পড়ুন

গল্পস্মৃতি–আমীরুল ইসলাম

    ধ্রুব আর ছবি আঁকবে না মৃত্তিকাকে চেনো? লম্বা ছিপছিপে মেয়েটা। বাঁশির মতো খাড়া নাক। ঘন-কালো চুল। ঠোঁটের ফাঁকে সব সময় আঙুল দিয়ে রাখে। আর টান টান করে হেসে হেঁটে বেড়ায় পাক্কা কথা বলে। মৃত্তিকা মানে মাটি। কিন্তু ওর নাম মাটি কেন? কারণ ওর বাবা একজন নামকরা কবি। মৃত্তিকা সেই কবির একমাত্র মেয়ে। কবি … বিস্তারিত পড়ুন

রুপোর চামচ—তিলোত্তমা মজুমদার

  বড় সংস্থার বড়মাপের কর্মকর্তা। সংসারে কোনো কিছুর অভাব তো নেই-ই, বরং নানা সামগ্রীর আধিক্য চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়। তবু, বিমানে পরিবেশিত খাবারের থালা থেকে তিনি তুলে নিলেন কারুকার্যময় চামচখানি। ঠান্ডা মালাই খাওয়ার জন্য দিয়েছিল। রুপোর চামচ। সত্যিই রুপোর নাকি? লোকে তো তাই বলে। এই বিমানে আইসক্রিম খাওয়ার চামচটি রুপোর। এদিক-ওদিক তাকিয়ে তিনি সেটি পকেটস্থ … বিস্তারিত পড়ুন

আমি মৃত্যুর কথা ভাবি————বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর

  মৃত্যুর সঙ্গে বসবাস সহজ নয়। মৃত্যু একটা অপার্থিব অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা প্রত্যহ ঘটে না। এই অভিজ্ঞতার বাস্তবতা যত বেশি এড়িয়ে থাকা যায়, তত জীবনযাপন স্বাভাবিক থাকে। বিকেলে ঘুরে বেড়ানো আমার নেশা। ভালোই লাগে গাছপালার মধ্যে ঘুরে বেড়াতে। একদিন আমি বেড়িয়ে ফিরেছি। আকাশ কালো হয়ে উঠেছে। হয়তো তুষার পড়বে। আমার গন্তব্যে পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে … বিস্তারিত পড়ুন

অমীমাংসিত———-মণিকা চক্রবর্তী

  গতকাল বিকেলে ঢাকা এয়ারপোর্টে বিমান থেকে নামার পর থেকেই মামুনের চারপাশটা ক্রমেই একপাল মানুষের ভিড়ে ভরে উঠছে। নিজের মুখটাও ভালো করে দেখার সময় হচ্ছে না। অথচ ভেতরে ভেতরে চিন্তাটা লুকিয়ে থাকা নখের চিমটির মতো একটু পরপরই চিমটি কেটে যাচ্ছে। মহসিন ওরফে মতির বাসায়ই সে সরাসরি উঠেছে। মতির বাসা যাত্রাবাড়ী। পুরনো আমলের একতলা বাড়িতে স্যাঁতসেঁতে … বিস্তারিত পড়ুন

খলীফা ফরমাশ খাটলেন——আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

খলীফা মামুনের প্রাসাদ। তাঁর প্রাসাদে অতিথি এসেছেন। অতিথি জ্ঞানী ইয়াহইয়া। মেহমান-মেজবান আলোচনায় রত। গভীর রাত। মোমবাতির পিঠা আলো জ্বলেছে ঘরে। অতিথির পিপাসা পেয়েছে। পানির জন্য উৎসুক হয়ে এদিক ওদিক খুঁজতেই খলীফা মামুন জিজ্ঞেস করলেন, “কি চাই আপনার?” অতিথি ইয়াহইয়া তাঁর তৃষ্ণার তখা জানালেন। শুনেই খলীফা উঠে দাঁড়ালেন পানি আনার জন্য। ইয়াহইয়া ব্যস্ত হয়ে খলীফাকে অনুরোধ … বিস্তারিত পড়ুন

এক দিন অনেক রাত —- দিব্যেন্দু পালিত

তেমন কোনও কাজ ছিল না বলে কমপিউটার খুলে বসেছিল নীলা। তাতেও যে খুব মন লাগছিল তা নয়, আজকাল যে-কোনও কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই সে উল্টোপাল্টা ভাবে। দুপুরে এক বার দেখেছিল, এখনও দেখল ই-মেলে কোনও মেসেজ নেই। তাতে হতাশ হলেও দুঃখিত হল না সে। কে-ই বা পাঠাবে! শেষ মেসেজ পাঠিয়েছিল তার দাদা হিন্দোল, কাল বিকেলে, এখানে … বিস্তারিত পড়ুন

দেবদাস – শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় —অষ্টম পরিচ্ছেদ

সতর্ক এবং অভিজ্ঞ লোকদিগের স্বভাব এই যে, তাহারা চক্ষুর নিমিষে কোন দ্রব্যের দোষগুণ সম্বন্ধে দৃঢ় মতামত প্রকাশ করে না—সবটুকুর বিচার না করিয়া, সবটুকুর ধারণা করিয়া লয় না; দুটো দিক দেখিয়া চারিদিকের কথা কহে না। কিন্তু আর একরকমের লোক আছে, যাহারা ঠিক ইহার উলটা। কোন জিনিস বেশীক্ষণ ধরিয়া চিন্তা করার ধৈর্য ইহাদের নাই, কোন-কিছু হাতে পড়িবামাত্র … বিস্তারিত পড়ুন

দেবদাস – শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় —নবম পরিচ্ছেদ

আর দেবদাস? সে রাত্রিটা সে কলিকাতা ইডেন গার্ডেনের একটা বেঞ্চের উপর বসিয়া কাটাইয়া দিল। তাহার খুব যে ক্লেশ হইতেছিল, যাতনায় মর্মভেদ হইতেছিল, তাহা নয়। কেমন একটা শিথিল ঔদাস্য ধীরে ধীরে বুকের মধ্যে জমা হইয়া উঠিতেছিল। নিদ্রার মধ্যে শরীরের কোন একটা অঙ্গে হঠাৎ পক্ষাঘাত হইলে, ঘুম ভাঙ্গিয়া সেটার উপর যেমন কোন অধিকার খুঁজিয়া পাওয়া যায় না, … বিস্তারিত পড়ুন

দেবদাস – শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় — দশম পরিচ্ছেদ

পার্বতী আসিয়া দেখিল, তাহার স্বামীর মস্ত বাড়ি। নূতন সাহেবী ফ্যাশনের নহে, পুরাতন সেকেলে ধরনের। সদর মহল, অন্দর মহল, পূজার দালান, নাটমন্দির, অতিথিশালা, কাছারি-বাড়ি, তোশাখানা, কত দাসদাসী—পার্বতী অবাক হইয়া গেল। সে শুনিয়াছিল তাহার স্বামী বড়লোক, জমিদার। কিন্তু এতটা ভাবে নাই। অভাব শুধু লোকের। আত্মীয়, কুটুম্ব-কুটুম্বিনী কেহই প্রায় নাই। অত বড় অন্দর মহল জনশূন্য। পার্বতী বিয়ের কনে, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!