প্রজাপতির নির্বন্ধ–দশম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  পথে বাহির হইয়াই শ্রীশ কহিল, “ওহে বিপিন, আজ মাঘের শেষে প্রথম বসন্তের বাতাস দিয়েছে, জ্যোৎস্নাও দিব্যি, আজ যদি এখনই ঘুমোতে কিম্বা পড়া মুখস্থ করতে যাওয়া যায় তা হলে দেবতারা ধিক্‌কার দেবেন।” বিপিন। তাঁদের ধিক্‌কার খুব সহজে সহ্য হয়, কিন্তু ব্যামোর ধাক্কা কিম্বা– শ্রীশ। দেখো, ঐজন্যে তোমার সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। আমি বেশ জানি দক্ষিনে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–একাদশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  রসিক। ভাই শৈল! শৈল। কী রসিকদাদা ! রসিক। এ কি আমার কাজ? মহাদেবের তপোভঙ্গের জন্যে স্বয়ং কন্দর্পদেব ছিলেন, আর আমি বৃদ্ধ– শৈল। তুমি তো বৃদ্ধ, তেমনি যুবক দুটিও তো যুগল মহাদেব নন! রসিক। তা নন, সে আমি ঠাহর করেই দেখেছি। সেইজন্যই তো নির্ভয়ে এসেছিলুম। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে রাস্তার মধ্যে হিমে দাঁড়িয়ে অর্ধেক রাত পর্যন্ত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–দ্বাদশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  পূর্বদিনে পূরবালা তাহার মাতার সহিত কাশী হইতে ফিরিয়া আসিয়াছে। অক্ষয় কহিলে, “দেবী, যদি অভয় দাও তো একটি প্রশ্ন আছে।” পুরবালা। কী শুনি। অক্ষয়। শ্রীঅঙ্গে কৃশতার তো কোনো লক্ষণ দেখছি নে। পুরবালা। শ্রীঅঙ্গ তো কৃশ হবার জন্যে পশ্চিমে বেড়াতে যায় নি। অক্ষয়। তবে কি বিরহবেদনা বলে জিনিসটা মহাকবি কালিদাসের সঙ্গে সহমরণে মরেছে ? পুরবালা। তার … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ওস্তাদ আসীন। তানপুরা-হস্তে বিপিন অত্যন্ত বেসুরা গলায় সা রে গা মা সাধিতেছেন। ভৃত্য আসিয়া খবর দিল, “একটি বাবু এসেছেন।” বিপিন। বাবু ? কিরকম বাবু রে ? ভৃত্য। বুড়ো লোকটি। বিপিন। মাথায় টাক আছে ? ভৃত্য। আছে। বিপিন। (তানপুরা রাখিয়া) নিয়ে আয়, এখনই নিয়ে আয় ! ওরে, তামাক দিয়ে যা। বেহারাটা কোথায় গেল, পাখা টানতে বলে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–চতুর্দশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নির্মলা বাতায়নতলে আসীন। চন্দ্রের প্রবেশ চন্দ্র। (স্বগত) বেচারা নির্মল বড়ো কঠিন ব্রত গ্রহণ করেছে। আমি দেখছি কদিন ধরে ও চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে রয়েছে। স্ত্রীলোক, মনের উপর এতটা ভার কি সহ্য করতে পারবে? (প্রকাশ্যে) নির্মল ! নির্মলা। (চমকিয়া ) কী মামা ! চন্দ্র। সেই লেখাটা নিয়ে বুঝি ভাবছ ? আমার বোধ হয় অধিক না ভেবে মনকে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–প্রথম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অক্ষয়কুমারের শ্বশুর হিন্দুসমাজে ছিলেন, কিন্তু তাঁহার চালচলন অত্যন্ত নব্য ছিল। মেয়েদের তিনি দীর্ঘকাল অবিবাহিত রাখিয়া লেখাপড়া শিখাইতেছিলেন। লোকে আপত্তি করিলে বলিতেন, আমরা কুলীন, আমাদের ঘরে তো চিরকালই এইরূপ প্রথা। তাঁহার মৃত্যুর পর বিধবা জগত্তারিণীর ইচ্ছা, লেখাপড়া বন্ধ করিয়া মেয়েগুলির বিবাহ দিয়া নিশ্চিন্ত হন। কিন্তু তিনি ঢিলা প্রকৃতির স্ত্রীলোক, ইচ্ছা যাহা হয় তাহার উপায় অন্বেষণ করিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শ্রীশ ও বিপিন শ্রীশ। তা যাই বল, অক্ষয়বাবু যখন আমাদের সভাপতি ছিলেন তখন আমাদের চিরকুমার-সভা জমেছিল ভালো। হাল সভাপতি চন্দ্রবাবু কিছু কড়া। বিপিন। তিনি থাকতে রস কিছু বেশি জমে উঠেছিল। চিরকৌমার্যব্রতের পক্ষে রসাধিক্যটা ভালো নয় আমার তো এই মত। শ্রীশ। আমার মত ঠিক উলটো। আমাদের ব্রত কঠিন বলেই রসের দরকার বেশি। রুক্ষ মাটিতে ফসল ফলাতে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–তৃতীয় পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  “মুখুজ্যেমশায় !” অক্ষয় বলিলেন, “আজ্ঞে করো।” শৈল কহিল, “কুলীনের ছেলে দুটোকে কোনো ফিকিরে তাড়াতে হবে।” অক্ষয় উৎসাহপূর্বক কহিলেন, “তা তো হবেই।” বলিয়া রামপ্রসাদী সুরে গান জুড়িয়া দিলেন–                                     দেখব কে তোর কাছে আসে!                                     তুই রবি একেশ্বরী, একলা আমি রইব পাশে। শৈল হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “একেশ্বরী ?” অক্ষয় বলিলেন, “নাহয় তোমরা চার ঈশ্বরীই হলে, শাস্ত্রে আছে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–চতুর্থ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আহারের পর শৈলবালা ডাকিল, “মুখুজ্যেমশায়।” অক্ষয় অত্যন্ত ত্রস্তভাব দেখাইয়া কহিলেন, “আবার মুখুজ্যেমশায়! এই বালখিল্য মুনিদের ধ্যানভঙ্গ-ব্যাপারের মধ্যে আমি নেই।” শৈলবালা। ধ্যানভঙ্গ আমরা করব। কেবল মুনিকুমারগুলিকে এই বাড়িতে আনা চাই। অক্ষয় চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া কহিলেন, “সভাসুদ্ধ এইখানে উৎপাটিত করে আনতে হবে। যত দুঃসাধ্য কাজ সবই এই একটিমাত্র মুখুজ্যেমশায়কে দিয়ে ?” শৈলবালা হাসিয়া কহিল, “মহাবীর হবার ঐ … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–পঞ্চম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  অক্ষয় বলিলেন, “স্বামীই স্ত্রীর একমাত্র তীর্থ। মান কি না ?” পুরবালা। আমি কি পণ্ডিতমশায়ের কাছে শাস্ত্রের বিধান নিতে এসেছি ? আমি মার সঙ্গে আজ কাশী চলেছি এই খবরটি দিয়ে গেলুম। অক্ষয়। খবরটি সুখবর নয়– শোনবামাত্র তোমাকে শাল-দোশালা বকশিশ দিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে না। পুরবালা। ইস, হৃদয় বিদীর্ণ হচ্ছে– না ? সহ্য করতে পারছ না … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!