শেষের কবিতা–১ম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের দ্বিতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অমিত-চরিত অমিত রায় ব্যারিস্টার। ইংরেজি ছাঁদে রায় পদবী “রয়” ও “রে” রূপান্তর যখন ধারণ করলে তখন তার শ্রী গেল ঘুচে, কিন্তু সংখ্যা হল বৃদ্ধি। এই কারণে, নামের অসামান্যতা কামনা করে অমিত এমন একটি বানান বানালে যাতে ইংরেজ বন্ধু ও বন্ধুনীদের মুখে তার উচ্চারণ দাঁড়িয়ে গেল– অমিট রায়ে। অমিতর … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–২য় অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের তৃতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সংঘাত অমিত বেছে বেছে শিলঙ পাহাড়ে গেল। তার কারণ, সেখানে ওর দলের লোক কেউ যায় না। আরো একটা কারণ, ওখানে কন্যাদায়ের বন্যা তেমন প্রবল নয়। অমিতর হৃদয়টার ’পরে যে দেবতা সর্বদা শরসন্ধান করে ফেরেন তাঁর আনাগোনা ফ্যাশানেবল পাড়ায়। দেশের পাহাড়-পর্বতে যত বিলাসী বসতি আছে তার মধ্যে শিলঙে এদের … বিস্তারিত পড়ুন

আফসানা–শেষ অংশ

মহিলাটি নেকাব সরিয়ে নিল। আমি চমকে উঠলাম। আফসানা! গায়ের রং দুধে আলতা গায়ের রং। কিছুটা বাদামী চুল। ঘন জোরা ভুঁরু। মায়াবী চোখ। নীলাভ মনি। ধবধবে গলায় মুক্তার মালা। কুড়ি বছর। অবিকল। মিষ্টি রিনরিনে কন্ঠে আফসানা বলল, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। আপনি ভালো আছেন কি? হ্যাঁ। আমি মাথা নেড়ে বলাম। সারা শরীর … বিস্তারিত পড়ুন

আফসানা–১ম অংশ

  ভালো করে গায়ে চাদর জড়িয়ে রাবুমামা বললেন,সে অনেক বছর আগেকথা বুঝলি।সে সময় আমার একবার সুপারন্যাচারাল এক্সপিরিয়েন্স হয়েছিল।আজ পর্যন্ত আমি যার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারিনি।বলে রাবুমামা চুপ করে রইলেন।মুখ তুলে একবার আকাশের দিকে তাকালেন।আকাশে পরিপূর্ণ একখানি চাঁদ।উথাল-পাথাল জ্যোস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর।নভেম্বর মাস;গ্রামাঞ্চচলের দিকে এই সময়ই শীত বেশ জেঁকে বসে।রাত দশটার মতো বাজে।রাবুমামার সামনে রবিন,নীলু আর … বিস্তারিত পড়ুন

আফসানা–২য় অংশ

জ্বী, চাচা। রাজারহাট শহরে। রাহাপাড়া পানির ট্যাঙ্কির কাছে।যেখানে নদী গবেষনার ইন্সিস্টিটিউট-এর যে নতুন ভবন হচ্ছে । হ্যাঁ, হ্যাঁ। জায়গাটা আমি চিনি। রাজার হাটে আমার এক মামা থাকেন। আব্বাস মামা আফগানিস্তান থেকে আখরোট আর নাশপাতি ইমপোর্ট করেন। আর আমি থাকি মিঞাবাড়ির বালাই দীঘির পাড়। ওখানেই আমাদের পৈত্রিক ভিটে। উবাইদ মালিক- এর কথা শেষ হল না সেই … বিস্তারিত পড়ুন

আফসানা–৩য় অংশ

আমি মাথা নাড়লাম। আমার হাতের তালু ঘামছিল। এত শীতের মধ্যেও কন্ঠনালী শুকিয়ে কাঠ। আমার জন্মপূর্ব বাংলার একটি মুসলিম পরিবারে। পারিবারিক ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে বড় হয়েছি। জিনের অস্তিত্ব যে অস্বীকার করিতাও না। কিন্তু, তাই বলে-… আমি আফসানাদের দিকে তাকালাম। ওরা তিনজনই এদিকে তাকিয়ে রয়েছে। ওরাআমাদের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছে বলে মনে হল। আশ্চর্য! আফসানা ওর মাকে নীচু … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–অষ্টম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  নৃপবালা। আজকাল তুই মাঝে মাঝে কেন অমন গম্ভীর হচ্ছিস বল্‌ তো নীরু। নীরবালা। আমাদের বাড়ির যত কিছু গাম্ভীর্য সব বুঝি তোর একলার ? আমার খুশি আমি গম্ভীর হব। নৃপবালা। তুই কী ভাবছিস আমি বেশ জানি। নীরবালা। তোর অত আন্দাজ করবার দরকার কী ভাই ? এখন তোর নিজের ভাবনা ভাববার সময় হয়েছে। নৃপ নীরুর গলা … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–নবম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  অক্ষয়। হল কী বল দেখি! আমার যে ঘরটি এতকাল কেবল ঝড়ু বেহারার ঝাড়নের তাড়নে নির্মল ছিল, সেই ঘরের হাওয়া দু-বেলা তোমাদের দুই বোনের অঞ্চলবীজনে চঞ্চল হয়ে উঠছে যে! নীরবালা। দিদি নেই, তুমি একলা পড়ে আছ বলে দয়া করে মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে যাই, তার উপরে আবার জবাবদিহি ? অক্ষয়।                                গান। ভৈরবী                                     ওগো দয়াময়ী চোর, এত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–দশম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  পথে বাহির হইয়াই শ্রীশ কহিল, “ওহে বিপিন, আজ মাঘের শেষে প্রথম বসন্তের বাতাস দিয়েছে, জ্যোৎস্নাও দিব্যি, আজ যদি এখনই ঘুমোতে কিম্বা পড়া মুখস্থ করতে যাওয়া যায় তা হলে দেবতারা ধিক্‌কার দেবেন।” বিপিন। তাঁদের ধিক্‌কার খুব সহজে সহ্য হয়, কিন্তু ব্যামোর ধাক্কা কিম্বা– শ্রীশ। দেখো, ঐজন্যে তোমার সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। আমি বেশ জানি দক্ষিনে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–একাদশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  রসিক। ভাই শৈল! শৈল। কী রসিকদাদা ! রসিক। এ কি আমার কাজ? মহাদেবের তপোভঙ্গের জন্যে স্বয়ং কন্দর্পদেব ছিলেন, আর আমি বৃদ্ধ– শৈল। তুমি তো বৃদ্ধ, তেমনি যুবক দুটিও তো যুগল মহাদেব নন! রসিক। তা নন, সে আমি ঠাহর করেই দেখেছি। সেইজন্যই তো নির্ভয়ে এসেছিলুম। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে রাস্তার মধ্যে হিমে দাঁড়িয়ে অর্ধেক রাত পর্যন্ত … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!