গোরা–-২৯ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ত্রিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আজ ছোটোলাট আসিবেন বলিয়া ম্যাজিস্ট্রেট ঠিক সাড়ে দশটায় আদালতে আসিয়া বিচারকার্য সকাল-সকাল শেষ করিয়া ফেলিতে চেষ্টা করিলেন। সাতকড়িবাবু ইস্কুলের ছাত্রদের পক্ষ লইয়া সেই উপলক্ষে তাঁহার বন্ধুকে বাঁচাইবার চেষ্টা করিলেন। তিনি গতিক দেখিয়া বুঝিয়াছিলেন যে, অপরাধ স্বীকার করাই এ স্থলে ভালো চাল। ছেলেরা দুরন্ত হইয়াই থাকে, তাহারা অর্বাচীন নির্বোধ … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-১৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ১৫ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা যখন মধ্যাহ্নে খাইতে বসিল, আনন্দময়ী আস্তে আস্তে কথা পাড়িলেন, “আজ সকালে বিনয় এসেছিল। তোমার সঙ্গে দেখা হয় নি?” গোরা খাবার থালা হইতে মুখ না তুলিয়া কহিল, “হাঁ, হয়েছিল।” আনন্দময়ী অনেকক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়া রহিলেন— তাহার পর কহিলেন, “তাকে থাকতে বলেছিলুম, কিন্তু সে কেমন অন্যমনস্ক হয়ে চলে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-১৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ১৬ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রাত্রে গোরা বাড়িতে ফিরিয়া আসিয়া অন্ধকার ছাতের উপর বেড়াইতে লাগিল। তাহার নিজের উপর রাগ হইল। রবিবারটা কেন সে এমন বৃথা কাটিতে দিল। ব্যক্তিবিশেষের প্রণয় লইয়া অন্য সমস্ত কাজ নষ্ট করিবার জন্য তো গোরা পৃথিবীতে আসে নাই। বিনয় যে পথে যাইতেছে সে পথ হইতে তাহাকে টানিয়া রাখিবার চেষ্টা … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-১৬ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ১৭ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বরদাসুন্দরী কহিলেন, “তুমি সুচরিতার বিয়ে দেবে না নাকি?” পরেশবাবু তাঁহার স্বাভাবিক শান্ত গম্ভীর ভাবে কিছুক্ষণ পাকা দাড়িতে হাত বুলাইলেন— তার পর মৃদুস্বরে কহিলেন, “পাত্র কোথায়?” বরদাসুন্দরী কহিলেন, “কেন, পানুবাবুর সঙ্গে ওর বিবাহের কথা তো ঠিক হয়েই আছে— অন্তত আমরা তো মনে মনে তাই জানি— সুচরিতাও জানে।” পরেশ … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা– প্রথম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের দ্বিতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন শ্রাবণ মাসের সকালবেলায় মেঘ কাটিয়া গিয়া নির্মল রৌদ্রে কলিকাতার আকাশ ভরিয়া গিয়াছে। রাস্তায় গাড়িঘোড়ার বিরাম নাই, ফেরিওয়ালা অবিশ্রাম হাঁকিয়া চলিয়াছে, যাহারা আপিসে কালেজে আদালতে যাইবে তাহাদের জন্য বাসায় বাসায় মাছ-তরকারির চুপড়ি আসিয়াছে ও রান্নাঘরে উনান জ্বালাইবার ধোঁওয়া উঠিয়াছে— কিন্তু তবু এত বড়ো এই-যে কাজের শহর কঠিন হৃদয় কলিকাতা, … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা– দ্বিতীয় অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের তৃতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বর্ষার সন্ধ্যায় আকাশের অন্ধকার যেন ভিজিয়া ভারী হইয়া পড়িয়াছে। বর্ণহীন বৈচিত্র্যহীন মেঘের নিঃশব্দ শাসনের নীচে কলিকাতা শহর একটা প্রকাণ্ড নিরানন্দ কুকুরের মতো লেজের মধ্যে মুখ গুঁজিয়া কুণ্ডলী পাকাইয়া চুপ করিয়া পড়িয়া আছে। কাল সন্ধ্যা হইতে টিপ টিপ করিয়া কেবলই বর্ষণ হইয়াছে; সে বৃষ্টিতে রাস্তার মাটিকে কাদা করিয়া তুলিয়াছে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা– তৃতীয় অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা ও বিনয় ছাত হইতে নামিয়া যাইবার উপক্রম করিতেছে এমন সময় গোরার মা উপরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বিনয় তাঁহার পায়ের ধুলা লইয়া প্রণাম করিল। গোরার মা আনন্দময়ীকে দেখিলে গোরার মা বলিয়া মনে হয় না। তিনি ছিপ্‌‍ছিপে পাতলা, আঁটসাঁট; চুল যদি বা কিছু কিছু পাকিয়া থাকে বাহির হইতে দেখা … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–- চতুর্থ অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের পঞ্চম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন মত হিসাবে একটা কথা যেমনতরো শুনিতে হয়, মানুষের উপর প্রয়োগ করিবার বেলায় সকল সময় তাহার সেই একান্ত নিশ্চিত ভাবটা থাকে না— অন্তত বিনয়ের কাছে থাকে না, বিনয়ের হৃদয়বৃত্তি অত্যন্ত প্রবল। তাই তর্কের সময় সে একটা মতকে খুব উচ্চস্বরে মানিয়া থাকে, কিন্তু ব্যবহারের বেলা মানুষকে তাহার চেয়ে বেশি না … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-পঞ্চম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ষষ্ঠ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন “ওগো, শুনছ? আমি তোমার পুজোর ঘরে ঢুকছি নে, ভয় নেই। আহ্নিক শেষ হলে একবার ও ঘরে যেয়ো— তোমার সঙ্গে কথা আছে। দুজন নূতন সন্ন্যাসী যখন এসেছে তখন কিছুকাল তোমার আর দেখা পাব না জানি, সেইজন্যে বলতে এলুম। ভুলো না, একবার যেয়ো।” এই বলিয়া আনন্দময়ী ঘরকরনার কাজে ফিরিয়া গেলেন। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-ষষ্ঠ অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের সপ্তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আজ আহ্নিক ও স্নানাহার সারিয়া কৃষ্ণদয়াল অনেক দিন পরে আনন্দময়ীর ঘরের মেজের উপর নিজের কম্বলের আসনটি পাতিয়া সাবধানে চারি দিকের সমস্ত সংস্রব হইতে যেন বিবিক্ত হইয়া খাড়া হইয়া বসিলেন। আনন্দময়ী কহিলেন, “ওগো, তুমি তো তপস্যা করছ, ঘরের কথা কিছু ভাব না, কিন্তু আমি যে গোরার জন্যে সর্বদাই ভয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!