জান্নাত ও জাহান্নামের পরিচিতি এবং নামসমূহের আলোচনা

জান্নাতের পরিচিতি : জান্নাত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বাগান। এ শব্দ থেকেই জিনেই বলা হয়ে থাকে। আর আরবরা খেজুর গাছকেও জান্নাত বলে আখ্যায়িত করত। [মুহাম্মদ বিন আবু বকর আর রাযি, মুখতারুস সিহাহ পৃ: ৪৮। দেখুন: আল্লামা ইবন মানজুর, লিসানুল আরব, পৃ: ১৩/৯৯ এবং আল্লামা আছফাহানী, মুফরাদাতুল কুরআন, পৃ: ২০৪] মুখতার আল-কামুসে জান্নাত শব্দের অর্থ … বিস্তারিত পড়ুন

জান্নাতের বর্ণনা-জান্নাতের তাঁবু এবং গম্বুজ

হযরত আবু মুসা আশআ’রী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই জান্নাতে মুমিনদের জন্য এমন তাঁবু হবে যা একটি মুক্তা দ্বারাই নির্মিত (মুক্তাটি বড় হবে)। যার ভিতর দিক হবে ডিমের খোসার মত, প্রশস্ততা হবে ষাট মাইল। তার প্রত্যেক কোণায় মুমিনদের সাথে সম্পর্কিতরা থাকবে। এক কোণা থেকে অপর কোণায় অবস্থিতদের দেখা যাবে না। … বিস্তারিত পড়ুন

জান্নাতের পরিচয়

হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই জান্নাতে একটি বাজার আছে, যাতে সকল জান্নাতী প্রত্যেক জুমার দিন যাবে। যেখানে উত্তরা বাতাস বইতে থাকবে, যা জান্নাতীদের চেহারা এবং কাপড় সুঘ্রাণে ভরে দিবে, তাদের রূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। সুতরাং তারা খুব সুন্দর হয়ে তাদের স্ত্রীদের নিকট ফিরে যাবে। স্ত্রীরা বলবে, আল্লাহর কসম, … বিস্তারিত পড়ুন

জাহান্নামের পরিচয়

এক. ঈমানদারের অবস্থা হাদিস শরীফে আছে, যখন কোন মুমিন ব্যক্তির মৃত্যু অতি সন্নিকট হয়, তখন একদল স্বর্গীয় ফেরেশতা আসমান হতে সূর্যের ন্যায় আলোকদীপ্ত চেহারা নিয়ে জমিনে অবতীর্ণ হন। এ ছাড়া তারা জান্নাতের সুঘ্রাণযুক্ত কাফনের কাপড়ও নিয়ে আসেন। তারাই আজরাইল এবং তাঁর অনুচরবৃন্দ। তৎপর মালাকুল মউত তথা আজরাইল আ. মৃত্যু বরণকারীর মস্তকের কাছে উপস্থিত হয়ে বলেন- … বিস্তারিত পড়ুন

মৃত্যু ও কবরের শাস্তি

হাদিস শরীফে আছে, যখন মানুষের অন্তিমকাল উপস্থিত হয় এবং আত্মা বের হবার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন চারজন ফেরেশতা তার কাছে উপস্থিত হয়। সর্বপ্রথম একজন ফেরেশতা উপস্থিত হয়ে বলে- আসসালামু আলাইকুম হে অমুক! আমি তোমার খাদ্য-খাদকের সুব্যবস্থা করার নিমিত্ত আদিষ্ট ছিলাম; কিন্তু আফসোস! আজ পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ; মোটকথা, সকল ভূ-মণ্ডল তন্ন তন্ন করে খুজে … বিস্তারিত পড়ুন

জাহান্নামে বেশির ভাগই হবে মহিলা

রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, আমি জান্নাতের দিকে তাকিয়ে তাতে বেশির ভাগ দরিদ্র লোক, আর জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে সেখানে বেশির ভাগই মহিলা দেখলাম। [মেশকাত শরীফ] হযরত আবু সাঈ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. একবার ঈদুল ফেতর কিংবা ঈদুল আজহার নামাজের  জন্য ঈদগাহে যাচ্ছিলেন। মহিলাদের কাছ দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকালে তিনি তাদের উদ্দেশ্য করে বললেন, হে মহিলারা, … বিস্তারিত পড়ুন

জাহান্নামের পরিচয়-২

জাহান্নামীরা তাদের নেতাদের জন্য দ্বিগুণ আযাব এবং বড় অভিশাপের দরখাস্ত করবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন- – ‘সেদিন তাদের মুখমণ্ডল আগুনে উলটপালট করা হবে, তারা বলতে থাকবে, হায়! আমরা যদি আল্লাহ এবং (আল্লাহর) রাসূলের অনুসরণ করতাম।’ [সূরা আহযাব : ৬৬] – ‘তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আমাদের নেতা ও বড় লোকদের আনুগত্য করেছিলাম এবং তারা আমাদেরকে … বিস্তারিত পড়ুন

জাহান্নামীদের জিহ্বা, জাহান্নামীদের উদ্দেশ্যে শয়তানের বক্তব্য, জাহান্নামীদের সংখ্

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে কাফের তার জিহ্বা টেনে এক ফার্লং বা দুই ফার্লং পর্যন্ত বের করবে। যার উপর দিয়ে লোকজন হেঁটে যাবে। আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব ব্যখ্যা ঃ এক ফার্লং সমান তিন মাইল। এ হাদীস থেকে জানা গেল, কাফেরদের জিহ্বা কত লম্বা হবে। মূলত পরকালে মানুষের আকৃতি পৃথিবীর মানুষের আকৃতির  চেয়ে অনেক দীর্ঘ হবে। … বিস্তারিত পড়ুন

জান্নাতের নেয়ামতের পূর্ণতা প্রাপ্তির কারণ

জান্নাতি লোকদের মধ্যে অধিক নিয়ামতের অধিকারী তারাই হবে, যারা নিজেদেরকে দুনিয়াতে হারাম কাজ থেকে বাঁচাবে। পৃথিবীতে যে লোক শরাব পান করবে সে জান্নাতের পবিত্র শরাব থেকে বঞ্চিত থাকবে। দুনিয়াতে যে ব্যক্তি রেশমের পোশাক পরিধান করবে সে জান্নাতে রেশমী পোষাক পড়া থেকে বঞ্চিত থাকবে। দুনিয়াতে যে ব্যক্তি স্বর্ণ রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করেছে জান্নাতে সে এগুলোতে পানাহার … বিস্তারিত পড়ুন

আল কুরআন সংরক্ষণে স্রষ্টার আলৌকিক ব্যবস্থা

এই ধুলির  ধরায় মহান স্রষ্টা যতগুলো কিতাব নাযিল করেছেন মহাগ্রন্থ  আল কুরআন ছাড়া সবগুলোতেই বিকৃতি সাধিত হয়েছে। আল কুরআনের সকল কিছুই আজো সুসংরক্ষিত। আপনরুপে অবিকৃত থাকবে কিয়ামত অবধি ইনশাআল্লাহ। কেননা আল কুরআনের হেফাজত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন সকল কিছুর কর্তা স্বয়ং আল্ল াহ তাআলা। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে- ‘নিশ্চয় আমিই এই কুরআন নাযিল করেছি এবং … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!