বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১৪ প্রবাহ

হায়! হায়! এ আবার কী? এ দৃশ্য কেন চক্ষে পড়িল? উহু! কী ভয়ানক ব্যাপার। উহু! কী নিদারুণ কথা! এ প্রবাহ না লিখিলে কী “উদ্ধার-পর্ব” অসম্পূর্ণ থাকিত, না বিষাদ-সিন্ধুর কোন তরঙ্গের হীনতা জন্মিত? বৃদ্ধি নাই, তাই সীমারের বন্ধনে মনে মনে একটু সুখী হইয়াছিলাম। কিন্তু এখন যে প্রাণ যায়! এ বিষাদ-প্রবাহে এখন যে প্রাণ যায়! হায়! হায়! … বিস্তারিত পড়ুন

» বিষাদ সিন্ধু—এজিদ-বধ পর্ব ০১ প্রবাহ

বন্দিগৃহ! বন্দিগৃহ সুবর্ণে নির্মিত, মহামূল্য প্রস্তরে খচিত, সুখসেব্য আরামের উপকরণে সুসজ্জিত হইলেও মহাকষ্টপ্রদ-যন্ত্রণাস্থান। সুখ-সম্ভোগের সুখময় সামগ্রী দ্বারা পরিপূরিত হইলেও বন্দিগৃহ, দেহদগ্ধকারী মহাকষ্টপ্রদ জ্বলন্ত অগ্নিময় নরকনিবাস। সুবর্ণ পাত্রে সুস্বাদু সুমিষ্ট সরস খাদ্য-পরিপূরিত রসনা পরিতৃপ্ত করিতে, সুন্দর বন্দোবস্তের সহিত সুব্যবস্থা থাকিলেও বন্দিগৃহ মহাকাল যমালয়। কোন বিষয়ের অভাব-অনটন না হইলেও সর্বতোভাবে মশান হইতে শ্মশান আদরের। অমূল্য রত্ন স্বাধীনতাধন … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১৫ প্রবাহ

এই তো সেই মদিনার নিকটবর্তী প্রান্তর। উভয় শিবিরে উচ্চ মঞ্চে রঞ্জিত মহানিশান উড়িতেছে, সমরাঙ্গণে সামরিক নিশান গগন ভেদ করিয়া বায়ুর সহিত ক্রীড়া করিতেছে-অস্ত্র অবিশ্রান্ত চলিতেছে-র্মা র্মা শব্দ হইতেছে। আজ ব্যূহ নাই-সৈন্যশ্রেণীর শ্রেণীভেদ নাই-অস্ত্র চালনায় পারিপাট্য নাই, আত্মপর ভাবিয়া আঘাত নাই,-মরিতেছে, মারিতেছে, আহত হইয়া ভূতলে পড়িতেছে, হু-হুঙ্কার বজ্রনাদে সমরাঙ্গণ কাঁপাইতেছে। আজ উভয় দলের সৈন্য-শোণিত রণভূমি রঞ্জিত … বিস্তারিত পড়ুন

» বিষাদ সিন্ধু—এজিদ-বধ পর্ব ০২ প্রবাহ

সমরাঙ্গণে পরাজয়-বায়ু একবার বহিয়া গেলে, সে বাতাস ফিরাইয়া বিজয়-নিশান উড়ান বড়ই শক্ত কথা। পরাজয়-বায়ু হঠাৎ চারিদিক হইতে মহাবেগে রণক্ষেত্রে প্রবেশ করে না। প্রথমতঃ মন্দ মন্দ গতিতে রহিয়া রহিয়া বহিতে থাকে, পরে ঝঞ্ঝাবাত সহিত তুমুল ঝড়ের সৃষ্টি করিয়া এক পক্ষকে উড়াইয়া দেয়। নেতৃপক্ষের ঘনঘন হুঙ্কার, অস্ত্রের চাক্চিক্যে মহাবীরের হৃদয়ও কম্পিত হয়, হতাশে বুক ফাটিয়া যায়। আজ … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১৬ প্রবাহ

পরিণাম কাহার না আছে? নিশার অবসান, দিনের সন্ধ্যা, পরমায়ুর শেষ, গর্ভের প্রসব, উপন্যাসের মিলন, নাটকের যবনিকা পতন, অবশ্যই আছে; পুণ্যের ফল, পাপের শাস্তি-ইহাও নিশ্চয়। সীমার আজ বন্দি! যে সীমারের নামে হৃদয় কাঁপিয়াছে, যে সীমার জগৎ কাঁদাইয়াছে-সেই সীমার আজ বন্দি! সেই সীমারের আজ পরিণাম ফল-শেষ দশা। মোহাম্মদ হানিফা, মস্‌হাব কাক্কা, গাজী রহমান এবং প্রধান প্রধান সেনাপতিদিগের … বিস্তারিত পড়ুন

» বিষাদ সিন্ধু—এজিদ-বধ পর্ব ০৩ প্রবাহ

দয়াময় ভগবান! তোমার কৌশল-প্রবাহ কখন কোন পথের কত ধারে যে অবিরত ছুটিতেছে, কৃপাবারি কখন কাহার প্রতি কত প্রকারে কত আকারে যে ঝরিতেছে তাহা নির্ণয় করিয়া বুঝিবার সাধ্য জগতে কাহারো নাই। সে লীলা-খেলার যথার্থ মর্ম কলমের মুখে আনিয়া সকলকে বুঝাইয়া দিবার ক্ষমতাও কোন কবির কল্পনায় নাই। কাল জয়নাল আবেদীন দামেস্ক কারাগারে এজিদ্হস্তে বন্দি, প্রাণভয়ে আকুল; আজ … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১৭ প্রবাহ

মন্ত্রণাগৃহে এজিদ্ একা। দেখিলেই বোধ হয় যেন কোন বৃহৎ চিন্তায় এখন তাহার মস্তিষ্ক-সিন্ধু উথলিয়া উঠিয়াছে। দুঃখের সহিত চিন্তা,-এ চিন্তার কারণ কী? কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া গৃহের চতুষ্পার্শে দৃষ্টি করিল;-দেখিল কেহ নাই! পূর্ব নির্দিষ্ট সময়ে মারওয়ান মন্ত্রণাগৃহে উপস্থিত থাকিবে; সময় উত্তীর্ণ হইয়াছে, তথাচ মন্ত্রীবর আসিতেছে না। এজিদের চিন্তাকুল অন্তর ক্রমেই অস্থির হইতেছে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া মৃদুমৃদু … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১৮ প্রবাহ

কী মর্মভেদী দৃশ্য! কী হৃদয়বিদারক বিষাদ ভাব! কাহারো মুখে কথা নাই, হর্ষের চিহ্ন নাই, যুদ্ধজয়ের নাম নাই, সীমারবধের প্রসঙ্গ নাই, অলীদ পরাজয়ের আলোচনা নাই। রাজা রাজবেশশূন্য, শির শিরস্ত্রাণশূন্য, পদ পাদুকাশূন্য, পরিধেয় নীলবাস,-বিষাদ-চিহ্ন নীলবাস। সৈন্যদলে বাজনা বাজিতেছে না, তুরি-ডঙ্কার আর শব্দ হইতেছে না। “নকীব” উষ্ট্রপৃষ্ঠে বসিয়া ভেরীরবে ভূপতিগণের শুভাগমনবার্তা আর ঘোষণা করিতেছে না। সকলেই পদব্রজে-সকলেই ম্লানমুখে-নীরবে। … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু — উদ্ধার পর্ব ১৯ প্রবাহ

রাত্রির পর দিন, দিনের পর রাত্রি আসিয়া, দেখিতে দেখিতে সপ্তাহ কাল অতীত হইয়া গেল। মদিনাবাসীরা মোহাম্মদ হানিফাকে সসৈন্যে আর এক সপ্তাহ মদিনায় থাকিতে বিশেষ অনুরোধ করিলেন। হানিফা অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া হাঁ-না, কিছুই কহিলেন না। গাজী রহমান বলিলেন, “আপনাদের অনুরোধ অবশ্যই প্রতিপাল্য; কিন্তু জয়নাল উদ্ধারে যতই বিলম্ব, ততই আশঙ্কা, ততই বিপদ মনে করিতে হইবে। এ সময় … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদ সিন্ধু —উদ্ধার পর্ব ২১ প্রবাহ

হুতাশনের দাহন আশা, ধরণীর জলশোষণ আশা, ভিখারীর অর্থলোভে আশা, চক্ষুর দর্শন আশা, গাভীর তৃণভক্ষণ আশা, ধনীর ধনবৃদ্ধির আশা, প্রেমিকের প্রেমের আশা, সম্রাটের রাজ্যবিস্তার আশার যেমন নিবৃত্তি নাই, হিংসাপূর্ণ পাপহৃদয়ে দুরাশারও তেমনি নিবৃত্তি নাই-ইতি নাই। যতই কার্যসিদ্ধি, ততই দুরাশার শ্রীবৃদ্ধি। জয়নাবের রূপমাধুরী হঠাৎ এজিদ্-চক্ষে পড়িল, অন্তরে দুরাশার সঞ্চার হইল। স্বামী জীবিত,-জয়নাবের স্বামী আবদুল জাব্বার জীবিত; অত্যাচার, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!