হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রঃ) – পর্ব ১

এক অন্তঃসত্ত্বা নারী যখনই কোন সন্দেহজনক খাদ্য গ্রহণ করতেন, তখনই অনুভব করতেন, তাঁর পেটের সন্তানটি অনবরত কাঁপছে। যতক্ষণ ঐ খাবার পেটে থাকবে, ততক্ষণ ধরে এই কাঁপুনি চলবে। শেষ পর্যন্ত মুখে আঙ্গুল পুরে বমি করে তাঁকে ঐ খাবার ফেলে দিতে হত। আর বাচ্চাটিও স্থির হয়ে যেত। মায়ের গর্ভে থেকেই ঐ শিশু বেলায়েত অর্জন করেন আল্লাহ্‌র এ … বিস্তারিত পড়ুন

বদর যুদ্ধে ইবলীসের ব্যাকুলতা

হযরত রিফাআহ বিন রাফিই আনসারী (রাঃ) বলেছেনঃ বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদেরকে মুশরিকদের হত্যা করতে দেখে ইবলীস ভয়ের চোটে জান বাঁচানোর জন্যে পালাতে শুরু করে। হারিস বিন হিসাম (আবু জাহল) ইবলীসকে সারাক্কাহ বিন মালিক ভেবে ধরতে যায়। ইবলীশ তখন আবূ জাহলের বুকে এমন এক ঘুসি মারে যে, সে পড়ে যায়। তারপর ইবলীস ওখান থেকে পালিয়ে নিজেকে সমুদ্রে … বিস্তারিত পড়ুন

কুরআনের খিদমত

পবিত্র কুরআনের খিদমত করা এবং চিরকালের জন্য সুশৃঙ্খলভাবে লিখিত আকারে নকল করে রাখাও একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। না হয় পরবর্তী আমলে এ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কারণ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আমলে অনেক হাফেজ মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এর পর আবার ১২০০ শত কোরআনের হাফেজ ইয়ামামার যুদ্ধেই ইন্তেকাল করলেন। তখন অনেকের কাছেই আংশিকভাবে পবিত্র … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত আবু বকর (রাঃ) এর চারিত্রিক স্বভাব

আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) নিরব জীবন যাপন করতে বেশি পছন্দ করতেন।  তিনি পার্থিব উন্নতি এবং মর্যাদা পছন্দই করতেন না। আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) খুবই সাদা-সিধে গরিবের মত জীবন-যাপন করতে ভালবাসতেন। তিনি এন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত কোন কাজ পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধে করেন নি। তাঁর সব চেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তাকওয়া।  তিনি যদি ভুলবশত কোন খারাপ কর্ম করা … বিস্তারিত পড়ুন

কিবলা পরিবর্তনের কাহিনী-শেষ পর্ব

এমনিভাবে ফিরবে যেন কাতার সমূহের তরতীব (সিরিয়াল) ঠিক থাকে। অর্থাৎ বয়স্ক পরুষগণ ইমামের পেছনে এবং তারপর শিশু ও তারপর মহিলার কাতার থাকে। এ আদেশের সঙ্গে সঙ্গে রাসূল (সাঃ) সমস্ত মুসল্লী উত্তর দিক হতে দক্ষিণ দিকে ছফের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে ফিরে গেলেন। অবশিষ্ট দু’রাকাত কা’বামুখী হয়ে আদায় করলেন। উল্লেখ্য যে, তখনকার যুগে নামজের সংশোধনের জন্য নামাজ … বিস্তারিত পড়ুন

কিবলা পরিবর্তনের কাহিনী-পর্ব ১

আবদুল্লাহ বিন জাহাশের সারিয়া রজব মাসে প্রেরিত হয়েছিল। সে মাসেই তাহবীলে কিবলা হয়েছিল। অর্থাৎ হিজরতের ষোল মাস পরের দ্বিতীয় হিজরীতে রজব মাসের পনের তারিখ সোমবারে জোহরের নামাজে মসজিদে বনী ছালেমাতে কিবলা পরিবর্তন হয়। হিজরতের পূর্বে মক্কায় অবস্থানকালে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) খানায়ে কাবা ও বায়তুল মুকাদ্দাস উভয় কিবলাকে সামনের দিকে রেখে নামাজ পড়তেন। হিজরতের পর মদীনার … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কুবায় উপস্থিতি

কুবা মদিনার বহিরাঞ্চলে বা উপকণ্ঠে অবস্থিত। সেখানে বনী আমর বিন আউফের লোকেরা তখন বসাবস করত। তাঁরা পূর্বেই মক্কায় যেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর শুভাগমনের সংবাদ পেয়ে তারা প্রত্যেক দিন মক্কার পথে মরুপ্রান্তে প্রখর সূর্যের তাপে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেন। দ্বিপ্রহর পর্যন্ত প্রচণ্ড রৌদ্রের তাপে মরুপ্রান্তের উত্তপ্ত বালুকা রাশিতে দণ্ডায়মান থেকে বাড়ী ফিরতেন। আজও তাঁরা … বিস্তারিত পড়ুন

মালেক বিন নুওয়াইরার হত্যাকান্ড

যাকাত আদায়ে বাঁধা দিয়ে মালেক বিন নুওয়াইরা মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। তখন গৃহযুদ্ধ চলছিল বনু তামীমে। ঠিক ঐ মুহূর্তে তাগলব গোত্রের ‘সজাহ’ নামের এক মহিলা তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ মহিলা সর্বপ্রথমে ছিল খ্রিস্টান। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এন্তেকাল এর পর ঐ খ্রিস্টান মহিলাকেও নবুয়্যতের কু-চিন্তায় ধরে বসে এবং আরবের লম্পট কিছু লোক তার সাথী হয়। … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) – এর অস্তিম শয্যায় আবু বকর (রাঃ)

বিদায় হজ্জ সমাপ্ত করে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মদীনায় পুনরায় ফিরে আসলেন। তখন মদীনায় খাদ্যের অভাবে অনেক লোক অনাহারে দিন চালাছিল। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) একদিন খুৎবা দিচ্ছিলেন, ঐ মুহূর্তে সংবাদ আসল যে, শাম দেশ হতে একদল বণিকের মাধ্যমে অনেক উট বোঝাই প্রচুর খাদ্য-সামগ্রী মদীনা শরীফে এসেছে। আর সে বণিকেরা উট এবং খাদ্য-সামগ্রী বিক্রি করতে চায়। হযরত … বিস্তারিত পড়ুন

নবুয়্যতের সূর্য অস্তমিত হবার পূর্বাভাস

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) হিজরী দশম সনে হজ্জ করার জন্য মক্কা শরীফে তশরীফ আনেন। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) – এর জীবনের শেষ হজ্জ ছিল এটাই। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) – এর সঙ্গে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) ছিলেন। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) হজ্জ পালনের শেষে জনগণকে লক্ষ্য করে বললেন, “হে আমার উম্মতগণ! মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজের কোন একজন … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!