অদ্ভূত অর্থাপহরণ– প্রথম অংশ

সে’বার বিজ্ঞান সম্মেলনে যোগ দিতে আমাকে হায়দ্রাবাদে যাবার জন্য হাওড়া থেকে ইস্টকোষ্ট এক্সপ্রেস ধরতে হয়েছিল। সঙ্গে আমি পরীর দেশের রাজকুমার অপরূপ সুন্দর তেরো বছরের ভাইপো চঞ্চলকে ও নিয়ে গিয়েছিলাম। ট্রেন সকাল সাতটা পঁয়তাল্লিশে তখন হাওড়ার ১১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়তো । তা বেশ ভালই চলছিল ট্রেন। কিন্তু ভাগ্যে যা আছে তা তো হবেই। বিশাখাপত্তনমের আগেই … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্ভূত অর্থাপহরণ– দ্বিতীয় অংশ

হৈ চৈ হট্টগোলের ভেতরে জানা গেল যে ট্রেন ডিরেলড হয়েছে মাইন বিস্ফোরণে তবে এ০সি০ কামরাগুলো ট্রেনের মাঝখানে ছিল বলে একটু হেলে পড়েছে মাত্র। ইন্জিন সমেত সামনের চার পাঁচখানা জেনারেল ও রিজার্ভ কোচের মতন উল্টে পড়েনি। কখন যে সাহায্য আসবে তা ভগবান জানেন। সকালের আগে তো নয়ই। অতএব জিনিষপত্র নীচে ফেলে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে আমার … বিস্তারিত পড়ুন

সংযোগ

অনেকক্ষণ ধরে কাশির মতো আওয়াজ করছিল ইঞ্জিন, হঠাৎ হঠাৎ থেমে পড়ার হুমকি দিচ্ছিল গাড়ি। কিন্তু এ রকম হওয়ার কথা ছিল না। লন্ডন ছাড়ার আগে পরিচিত মেকানিক দিয়ে ইঞ্জিন থরো চেক-আপ করিয়ে নিয়েছিলাম। তার পরও…শেষবারের মতো আরও দুটো ঝাঁকি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল গাড়ি। আমরা তখন একটা খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছি। ইয়া আল্লা! মনে মনে বললাম, এই … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন– চতুর্থ অংশ

কাজের যে মেয়েটি দরজা খুলল, ভারি মিষ্টি চেহারা তার। অশোক বলল, “তুমি এখনো এখানে?“ মেয়েটি একটু অপ্রতিভ হয়ে বলল, “এক্ষুণি যাচ্ছি আপনার বাড়ি, আজ একটু দেরি হয়ে গেল।“ “মাসি বাড়িতে আছেন ? “ অনিতামাসি খাবার ঘরে বসে একজন কাঁচা-পাকা চুলওয়ালা ভদ্রলোকের সঙ্গে গল্প করছিলেন। উঁকি দিয়ে অশোককে দরজায় দেখে উত্ফুল্ল হয়ে বললেন, “এসো, এসো, ভেতরে … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন– পঞ্চম অংশ

  আগে অনিতামাসির এপার্টমেণ্টের বর্ণনা দিই নি। বাড়িটা বিশাল ডুপ্লে – আটতলা আর ন-তলা মিলিয়ে। একা মানুষ অতবড় এপার্টমেন্ট কেন কিনেছেন – কে জানে। পাঁচটা বেডরুম, একটা ডাইনিং রুম, বিশাল লিভিংরুম, চারটে বাথরুম। বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো। এর আগের দিন গল্প করতে করতে বাড়িটা ভালো করে দেখার সুযোগ পাই নি। পুরো সময়টাই কেটেছিল খাবার … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন — ষষ্ঠ অংশ

এরমধ্যে অশোক আবার কলকাতায় এলো। আমাকে ফোন করে বলল, ও ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়াতে একটা ভালো চাকরি পেয়েছে। এবার মাত্র অল্প কয়েকদিন থাকবে। এর পরে কবে আসবে ঠিক নেই, তাই একদিন জমিয়ে আ®া দিতে হবে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অনিতামাসির ফোন পেলাম। কাল রবিবার দুপুরে আমাদের সবার নেমন্তন্ন। একেনবৌদির মা অসুস্থ, তাই বাপের বাড়িতে আছেন কয়েকদিন। … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন –সপ্তম অংশ

  অশোকের সঙ্গে আরেকবার দেখা হল দু-দিন বাদে। আমার বাড়িতে এসে একটা গিফ্ট-প্যাক করা বাক্স দিয়ে বলল, ও রাতের ফ্লাইটে চলে যাচ্ছে, ১১ ই অগস্ট অনিতামাসির জন্মদিন, সেদিন যেন এই বাক্সটা ওর হয়ে অনিতামাসির হাতে দিই। “কি আছে বাক্সে? “ “তিনটে স্পেস ব্যাগ।“ “তুমি আর মিস্টার রায় কি প্রতিযোগিতা করছ নাকি ? “ আমি একটু … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন –অষ্টম অংশ

  অনিতামাসির বাড়ি গিয়ে দেখি ওঁর চেহারা একেবারে বিধ্বস্ত। শুনলাম গীতা মারা গেছে! আমার বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো। অপরাধ বোধেও জর্জরিত হলাম – মাসিমা আমাকে একজন ভালো ডাক্তার খুঁজে দিতে বলেছিলেন। না, অসুখে মৃত্যু নয়, মৃত্যু ঘটেছে আরও ভয়ঙ্কর ভাবে। অসুস্থ সে ছিলই। কিন্তু সেই অবস্থাতেই কেউ গীতাকে ধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করেছে। মাই … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন –নবম অংশ

বিকেলে বিমলবাবু যখন এলেন, আমরাও একেনবাবুর বাড়িতে। শনি-রবিবার ছাড়া আমরা আসি না। আজকে অবশ্যই স্পেশাল ব্যাপার। বিমলবাবু দেখলাম কথা বলতে ভালোবাসেন। যা বললেন, তাতে দিলীপই যে খুনি, সে বিষয়ে সন্দেহের বিশেষ অবকাশ নেই। গীতা অসুস্থ হয়ে বাড়িতে একা ছিল। ওর মা আর ভাই সেদিন গীতার জন্য কালীঘাটে গিয়েছিল পুজো দিতে। সেই সময়ে কাছাকাছি কেউ নেই … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন –দশম অংশ

বিকেলে গিয়ে দেখি একেনবাবু ঘন ঘন পা নাচাচ্ছেন, আর ঝালমুড়ি খাচ্ছেন। “এই যে স্যার, এসে গেছেন“। বলে, চিৎকার জুড়লেন, “এই কোথায় আছ, আরও দু-প্লেট ঝালমুড়ি লাগবে।“ ভেতর থেকে একেনবৌদির গলা শুনলাম, “ওঁদের জন্য লুচি হচ্ছে।“ একেনবাবু বললেন, “দেখলেন তো স্যার, আপনাদের জন্য লুচি, আর আমার জন্য ঝালমুড়ি।“ “আপনার একটু শাস্তি হওয়াই উচিত ,” প্রমথ বলল। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!