এক ব্যাঙ ও এক সিংহ

এক ছিল সিংহ। সে একদিন বনের মধ্যের এক ডোবার ধারে দিয়ে যেতে যেতে শুনতে পেল, “টর টর” শব্দ। মনে মনে সিংহটা ভাবল, “কি আওয়াজরে বাবা! কার ডাক? কেমন সে প্রাণী? জন্তুটা না জানি কত বড়? কতটা ভয়ঙ্করই না সে?” সিংহ আবার মনে মনে বলল,“আমি হলাম সিংহ, কি সব তা ভাবছি আমি। আচ্ছা, এগিয়েই ভালো করে … বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বাসঘাতক নেকড়ে

একদা এক গ্রামে এক চাষী ছিল। তার নাম ছিল পাঁচু। পাঁচু ছিল বড়ই দয়ালু। কারো দুঃখ সে সহ্য করতে পারত না। কেউ বিপদে পড়লে অমনি সে বাঁচাতে ছুটে যেত। একদিন হয়েছে কি, পাঁচু যখন ক্ষেতে বড় বস্তা নিয়ে আলু তুলতে যাচ্ছিল, হঠাৎ দেখতে পেল পাশের বন থেকে একটি নেকড়ে ছুটে ছুটে তার পায়ে এসে পড়ল। … বিস্তারিত পড়ুন

অতি লোভের পরিনাম

এক পাহাড়ের নিচে একটা জলাশয় ছিল, সবসময় জলে ভরে থাকতো। মাছেই ভরে থাকত পুকুরটা।মাছগুলির সঙ্গে থাকতো কিছু কাঁকড়া। বক, চিল সব এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াতো, মাছ ধরতো, কাঁকড়া ধরতো আর খেতো। একদিন একটা বুড়ো বক এক পায়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। এমন সময় একটা দাঁড় বেয়ে বেয়ে সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল। বকের কান্না দেখে সে থমকে দাঁড়াল। বলল, … বিস্তারিত পড়ুন

দি নিউ আরোগ্য নিকেতন

(যুক্তি দিয়ে বিচার করবেন না। এটি একটি হাসির গল্প মাত্র) (একসময় হাতখুলিয়া হাসির গল্প লিখিতাম, ছুটকি, রম্যছড়া, গল্প, অনুকাব্য, প্রহসন আরো কতকি? সেইখান থেকে আপনাদিগের জন্য লেখাটা খুজিয়া বাহির করিয়া পোস্টাইলাম। হাসিলে নিজ দায়িত্বে হাসিবেন, আর হাসি না আসিলে মনে করিবেন পুরোটাই আমার কারসাজি।) পুরোনো জরাজ্বীর্ণ মরচে পড়া সাইনবোর্ড। তাতে লেখা আরোগ্য নিকেতন- কবিরাজ কুদরাত … বিস্তারিত পড়ুন

শিয়াল ও মোরগ

একদিন এক শিয়াল একটা মোরগকে দেখে ধরবার জন্য ছুটল। মোরগও শিয়ালকে দেখে প্রাণের ভয়ে ছুটতে লাগল। কিছুদূর যেয়ে মোরগ একটা গাছের ডালে পড়ল। শিয়াল গাছের তলায় দাঁড়িয়ে মোরগকে লক্ষ্য করে বলল- ‘আচ্ছালামু আলাইকুম’ ভাই মোরগ কেমন আছ ? মোরগ বলল, ওয়া আলাইকুমুচ্ছালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু।’ এইতো ভাই আল্লাহ্র রহমতে ছহি ছালামতেই আছি। শিয়াল বলল, … বিস্তারিত পড়ুন

বাটপারের গল্প

৩ বাটপার বন্ধুর বহুদিন পর দেখা……………………………… তো তারা ৩ জন রেস্টুরেন্টে খেতে গেলো। ১ জন ওয়াশ রুমে গেলো। ২ জন আলাপ করছে… বল্টুঃ- তারপর দোস্ত, বাচ্চা কাচ্চা কয়টা? পল্টুঃ- আমার একটাই ছেলে। আমার মতোই বুদ্ধিমান। ভার্সিটিতে পড়ে। বিরাট বড়লোকের একমাত্র মেয়েকে পটাইছে। মেয়েকে ইম্প্রেস করার জন্য একটা গাড়ি গিফট করছে। একবার বিয়ে হয়ে গেলে, মেয়ের … বিস্তারিত পড়ুন

নাথিং ইজ সামথিং বাট সামথিং ইজ নাথিং… ! – রণদীপম বসু

মানুষের ব্যস্ততা দু’ধরনের। হয় বিজি ফর সামথিং, নয়তো বিজি ফর নাথিং। কাজের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু ইংরেজি ভাষায় সামথিং এবং নাথিং এই শব্দ দুটোকে বেশ ঘোরালো বলেই মনে হয় আমার কাছে। কীভাবে ? সেটাই বলছি। সামথিং মানে কী ? যদি হয় কোনো কিছু বা বিশেষ কিছু, সেই বিশেষ কিছুটা কী, তা কিন্তু নির্দেশ করে না। … বিস্তারিত পড়ুন

এক ঠকের পাল্লায় তিন ঠক —জসিম উদ্দিন– প্রথম পর্ব

সে অনেক দিন আগের কথা। সে কালে জাত বলে একটা প্রথা ছিল। আজকাল আর সেই প্রথা লক্ষ্য করা যায় না। সবার পোশাক-আসাক, কথা-বার্তা, চাল-চলন এক হয়ে গেছে। বাইরের চেহারা দেখে বোঝাই মুসকিল যে, কে কোন জাতের মানুষ! এমন কি, নামের দারাও জাত নির্ণয় করা এখন দুঃসাধ্য ব্যাপার। এখন আমরা নিচু জাত বলে কাউকে অবজ্ঞা করি … বিস্তারিত পড়ুন

এক ঠকের পাল্লায় তিন ঠক —জসিম উদ্দিন– পঞ্চম পর্ব

এদিকে ছদ্মবেশী ঠক পীরবাবা বাড়িতে বসে ভাবতে লাগল কি করা যায়। কারণ তিনি জানতেন যে ঘোড়ার মলের সাথে পয়সা না পেয়ে তারা তিন জন অবশ্যই আসবে। ঠক পীরবাবা তার বাড়ির পেছনে জঙ্গলে বসে বসে ভাবতে লাগলেন এখন কি করা যায়। তিনি ভাবতে লাগলেন যে, এবারো একটি অলৌকিক কিছু করে দেখাতে হবে। যাতে তার প্রতি তাদের … বিস্তারিত পড়ুন

এক ঠকের পাল্লায় তিন ঠক —জসিম উদ্দিন– ষষ্ঠ পর্ব

অন্যদিকে ঠক পীর সাহেব আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন যে এবার তারা একটু রেগে মেগেই আসবে। তাই আমাকে প্ল্যানটাও করতে হবে একটু জটিল ধরনের। অনেক ভেবে চিন্তে ঠক তার বউকে নিয়ে একটি একটি বুদ্ধি গড়ল। ঠক একয় ধারালো ছুড়ি, একটি মাছের ফুলকা আর কিছু লাল রং এসে তার বউকে বলল, শোন এবার তারা একটু ক্ষেপে আসবে। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!