মোসায়েব নির্বাচন

পূর্ব্বে জমিদারগণ মোসায়েব রাখতেন। পাশের এক জমিদার গোপালকে বললেন, ‘অনেকেই মোসায়েব গিরি করবার জন্য আসছে কে যে উপযুক্ত হবে, আমি ঠিক তা বুঝে উঠতে পারছিনা। তুমি আমার জন্য একজন যোগ্য মোসায়েব নির্বাচন করে দিতে পার গোপাল ভাই? কারণ তোমার বুদ্ধি অনেকের চেয়ে সরেস। তোমাকে ছাড়া কাকেও ভরসা পাচ্ছি না। গোপাল জমিদারকে বললেন, ‘ঠিক আছে, যারা … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের ঘটকালি

গোপাল একবার একটি বিয়ের ঘটকালি করে ছিল। মেয়েটি খোড়া, ছেলেটি কানা। কনে পক্ষ পাত্র পক্ষ গোপালের মুখের কথার উপর নির্ভর করেই বিয়ে পাকাপাকি করে ফেলেছিল। কনে পক্ষ জানে না যে বর কানা, আবার পাত্রী পক্ষ জানে না যে মেয়ে খোড়া। গোপালের ভীষন নাম ডাকের জন্য কেউ কাকেও অবিশ্বাস করতে পারে নি। সবকাজ গোপালের উপরই ছেড়ে … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের চোর ধরা

গোপালের ঘরে চুরি করতে গিয়ে এক চোরকে ভীষণ বিপদে পড়তে হয়েছিল। গোপাল তখনও পাকাবাড়ি করতে পারেনি। মাটির দেওয়াল, টালির ছাউনি। আগে গ্রাম-দেশে চোরেরা সচরাচর হয় সিধ কাটত, নতুবা ঘরের চালের দু’একখানা টালি সরিয়ে ঘরে নেমে মালপত্র নিয়ে অন্য দরজা দিয়ে পালিয়ে যেত। তখন মাঝরাত, একটা চোর চুরি করবে বলে গোপালের ঘরের টালির উপর সবে উঠছে। … বিস্তারিত পড়ুন

আগে ফাউ-গোপাল ভাঁড়

গোপাল একবার হাটে আলু কিনতে গিয়েছিল। পথেই দেখা হল এক বন্ধুর সঙ্গে। রসিক বন্ধুটি গোপালের আলু-খরিদ করার কথা শুনে বলল, তুমি যদি আলু বিনি পয়নায় খরিদ করতে পার দশ টাকা পুরস্কার পাবে। গোপালকে বন্ধুটি রসিকতা করার লোভে একটু উসকে দিল। মনে করেছিল গোপাল পারবে না। গোপাল বন্ধুকে বললে, ‘ও এই কথা? তুমি আমার সঙ্গে হাটে … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের কৃষ্ণ প্রাপ্তি

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কাছ থেকে গোপাল মাঝে মাঝে নানান অভাব-অনটনের কথা বলে বা মহারাজকে সন্তুষ্ট করে প্রচুর টাকা বখশিস পেত। মহারাজকে অনেক বিপদ আপদ থেকে বুদ্ধির জোরে বাচাত গোপাল। মহারাজ সেজন্য দু-হাত ভরে পুরস্কার দিতেন। কিন্তু নতুন বড় বাড়ি করার সময় গোপালের অর্থের টান পড়ল। মাত্র ‍কিছুদিন আগেই গোপাল রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে কথায় মুগ্ধ করে বেশ ‍কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

গরু হারালে এমনিই হয়, মা

গোপালের একবার একটি গরু হারিয়ে গিয়েছিল। চৈত্রের কাঠ-ফাটা রোদ্দুরে বনবাদাড়ে খুজে খুজে সে বিকেলে নিজের বাড়ির দাওয়ায় ধপাস করে বসে ছেলেকে ডেকে বললেন, ‘ও ভাই, জলদি এক ঘটি জল আনো, তেষ্টায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে।’ গোপাল হাহুতাশ করে বলতে থাকে, ‘ভাইরে। আর বুঝি বাচি না।’ ঘরে গোপালের কোন ভাই থাকত না। একমাত্র ছেলে, বৌ নিয়ে গোপালের … বিস্তারিত পড়ুন

গরীবের ঘোড়া রোগ

মহিমাচরণ নামে এক গরীব প্রতিবেশী একদিন গোপালের কাছে এসে বললেন, ‘বুঝরে ভায়া, একটা মাত্র ছেলে, ছেলেটার ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি শিউরে উঠি মাঝে মাঝে। ছেলেটা দেখছি আমায় শান্তিতে মরতেও দেবে না। মরে গেলে যে কি করবে কুল কিনারা পাই না। কোনও বুদ্ধি দিতে পারেন এ ব্যাপারে?’ ‘কেন, কি হয়েছে তার?’ ‘গরীবের ঘোড়া রোগ হলে যা … বিস্তারিত পড়ুন

উটকো লোক-গোপাল ভাঁড়

গোপাল একবার এক বড় মেলায় বেড়াতে গিয়েছিল। মেলায় গোপাল মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এমন সময় একটা উটকো লোক এসে গোপালকে জড়িয়ে ধরলো, ‘আচ্ছা দাদা, কাশিতে মরলে লোক স্বর্গে যায় আর ব্যাস-কাশীতে মরলে নাকি গাঢ়া হয়। কিন্তু যারা কাশি ও ব্যাসকাশীর ঠিক মাঝখানে মরে, তারা কি হয়? আপনি বলতে পারেন দাদা আমার জানতে ইচ্ছে?’ গোপাল বললেন- তারা … বিস্তারিত পড়ুন

এত বোঝ মা ঠাট্টা বোঝ না-গোপাল ভাঁড়

গোপাল একদিন পাশা খেলতে খেলতে দাতের যন্ত্রণায় ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিল। অসম্ভব যন্ত্রণা যাকে বলে। যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে সে শুয়ে পড়ে কাতরাতে কাতরাতে বলতে লাগল, ‘দোহাই খোদা, এ যাত্রায় আমার যন্ত্রণাটা কমিয়ে দাও ……… আমি জোড়া-পাঠা বলি দেব। কিছুক্ষণ পরে মা সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তার যন্ত্রণার উপশম হল। সে আবার খোশ-মেজাজে পাশা খেলতে লাগল মনের আনন্দে। গোপালের … বিস্তারিত পড়ুন

এমন অসভ্য- বাঁদর দেখেনি-গোপাল ভাঁড়

গোপাল একবার বরযাত্রী হয়ে বিয়ে বাড়ীতে গিয়েছিল। কনে পক্ষের একজন বয়স্ক-রসিক ব্যক্তি গোপালের সঙ্গে রসিকতা করার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘এই যে গোপাল, তুমিও দেখছি বরযাত্রী হয়ে এসেছ। জানো তো আমাদেরে এখানে অনেক বাদর আছে। এখানে বাদরের অত্যাচার ভীষণ। অবশ্য তোমার চেহারাও বাদরের মতো। বাদরদের মধ্যিখানে তোমাকে মানাবে ভাল, কি বলো? বাদর যদি কেউ ইতিপূর্বে না দেখে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!