গাধার দাম লাখ টাকা || মোহসেনা জয়া

বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে রাস্তায় হাঁটছেন এক ভদ্রলোক। হাঁটতে হাঁটতে একটা আবাসিক এলাকায় ঢুকলেন। শরীরে ক্লান্তিবোধ নেমে আসায় বসলেন চায়ের দোকানে। চা নিয়ে চুমুক দিতেই হৈহল্লা শুনতে পেলেন। খরগোশের মতো কান খাড়া করে কিছু বুঝতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু না। তিনি তো মানুষ! খরগোশ হলে হয়তো বুঝতে পারতেন কিছু একটা। কোনো কথা না বলে তিনি চায়ে … বিস্তারিত পড়ুন

মজার কান্ড | তারক চন্দ্র দাস

সিনেমায় খুব ভাল একটা ছবি চলছে। আমি সহ আমাদের ক্লাসের মোট আট জন ছবিটা দেখবো বলে মন স্থির করলাম। এখন সবার মনে প্রশ্ন রবিবারে ছবি শুরু হবে একটা বাজে, কিন্তু স্কুল থেকে ছুটি নিব কিভাবে, যত ভয় আমাদের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ মজুমদার। স্বাক্ষর দিয়ে দরখাস্তটা সহ আমরা সবাই প্রধান শিক্ষকের রূমে গেলাম। কিন্তু প্রধান শিক্ষক … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিবেশী || আহসান হাবীব

— পাঁচ ইঞ্চি দেয়াল ভেদ করে দেখা যায়, এমন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে একজন। — কে সে? নিশ্চয়ই বড় বিজ্ঞানী? — তা তো বটেই। — তা জিনিসটা কি? মানে আবিষ্কারটা? — কেন জানালা! ছোটবেলায় এই জোকটা ছিল জালাল সাহেবের প্রিয় একটা জোক। আর বড় বেলায় এসে এই জোকই এখন যেন বিগ ট্র্যাজেডি হয়ে দাঁড়িয়েছে! বিষয়টা … বিস্তারিত পড়ুন

গাধার কাণ্ড || তাপস রায়

গাধা তো আসলে গাধাই, তাই না? গাধা না হয়ে তার নাম ‘হাঁদা’ হলেও বেশ মানাতো। কেননা একটু হাবাগোবা হিসেবেই তাকে প্রাণীরা জানে। এতে গাধার কিছু এসে যায় না। সে নিজেকে চতুর মনে করে। গাধা হাঁদা হলেও বনে তার যে বন্ধু নেই এমন নয়। এই যেমন পিচ্চি খরগোশ, দুষ্টু কাঠবিড়ালী, পণ্ডিত ভালুক এমন কি জেব্রা মামাও … বিস্তারিত পড়ুন

এক জোলার রাজার জামাই হওয়ার কাহিনী-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক জোলা ছিল সে পিঠে খেতে বড় ভালবাসত। একদিন সে তার মাকে বলল, ‘মা, আমার বড্ড পিঠে খেতে ইচ্ছে করছে,আমাকে পিঠে করে দাও।’ সেইদিন তার মা তাকে লাল-লাল, গোল-গোল, চ্যাপটা-চ্যাপটা সাতখানি চমৎকার পিঠে করে দিল। জোলা সেই পিঠে পেয়ে ভারি খুশি হয়ে নাচতে লাগল আর বলতে লাগল, ‘একটা খাব, দুটো খাব, সাত বেটাকেই চিবিয়ে খাব!’ … বিস্তারিত পড়ুন

কাবুলিওয়ালা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

আমার পাঁচ বছর বয়সের ছোটো মেয়ে মিনি এক দণ্ড কথা না কহিয়া থাকিতে পারে না । পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়া ভাষা শিক্ষা করিতে সে কেবল একটি বৎসর কাল ব্যয় করিয়াছিল , তাহার পর হইতে যতক্ষণ সে জাগিয়া থাকে এক মুহূর্ত মৌনভাবে নষ্ট করে না । তাহার মা অনেকসময় ধমক দিয়া তাহার মুখ বন্ধ করিয়া দেয় , … বিস্তারিত পড়ুন

ইচ্ছাপূরণ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম পাঠ

সুবলচন্দ্রের ছেলেটির নাম সুশীলচন্দ্র । কিন্তু সকল সময়ে নামের মতো মানুষটি হয় না । সেইজন্যই সুবলচন্দ্র কিছু দুর্বল ছিলেন এবং সুশীলচন্দ্র বড়ো শান্ত ছিলেন না । ছেলেটি পাড়াসুদ্ধ লোককে অস্থির করিয়া বেড়াইত , সেইজন্য বাপ মাঝে মাঝে শাসন করিতে ছুটিতেন ; কিন্তু বাপের পায়ে ছিল বাত , আর ছেলেটি হরিণের মতো দৌড়িতে পারিত ; কাজেই … বিস্তারিত পড়ুন

ইচ্ছাপূরণ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় পাঠ

সুশীল ভাবিয়াছিল, বাপের মতো স্বাধীন হইলে তাহার সমস্ত ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে সমস্তদিন ধরিয়া কেবলই ডুডু ডুডু শব্দে কপাটি খেলিয়া বেড়াইবে; কিন্তু আজ রাখাল গোপাল অক্ষয় নিবারণ হরিশ এবং নন্দকে দেখিয়া মনে মনে বিরক্ত হইয়া উঠিল; ভাবিল, ‘চুপচাপ করিয়া বসিয়া আছি, এখনই বুঝি ছোঁড়াগুলো গোলমাল বাধাইয়া দিবে।’ আগেই বলিয়াছি, বাবা সুবলচন্দ্র প্রতিদিন দাওয়ায় মাদুর পাতিয়া বসিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

‘কি মুসকিল, তোরা কি আমাকে পাগল করে দিবি’|

  দেওয়ালে অথবা পোস্টারে, সাইনবোর্ডে কিংবা হোর্ডিংয়ে বিচিত্র বিপর্যয় আকছার চোখে পড়ে। তার কোনওটা, যে লিখেছে, তার বানান বোধের অভাব অথবা নিছক কোনও একটা শব্দ অসাবধানে বাদ পড়ে যাওয়াই হোক, কিংবা রসিকজনের ইচ্ছাকৃত কোনও শব্দ মুছে দেওয়াই হোক-এককথায় বিষয়টি মজাদার। কখনও কখনও আবার অতিরিক্ত একটি লাইন সংযোজনেও খেলাটা জমে ওঠে। যেমন আশির দশকের শেষের দিকে … বিস্তারিত পড়ুন

আঙুর বিক্রেতা হোজ্জা

হোজ্জা বাজারে বসেছেন আঙুর বিক্রেতা হিসেবে। এক বন্ধুকে দেখে তার কাছেই আঙুর বেচতে চাইলেন। কিন্তু, বন্ধু বললেন যে, তার কাছে টাকা নেই। হোজ্জা উদার মানুষ। বললেন, “আপনি বন্ধু মানুষ। টাকা পরে দিলেও চলবে। দুটো আঙুর মুখে দিয়ে দেখুন, মধুর মত মিষ্টি।” বন্ধু অপারগতা জানিয়ে বললেন যে, তিনি রোজাদার। হোজ্জার জিজ্ঞাস্য, রোজার মাস আসতে এখনো দুই … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!