আয়না হলো কাল

ছোট শিশু।ছোট বেলায় মারা গিয়াছে তার বাবা।বড় হয়ে অন্যদের বাবা দেখে তার নিজের বাবার কথা মনে পড়ে যায়।জানত না সে বাবার অবয়ব কেমন ছিল।তাই এক দিন মাকে জিজ্ঞাসা করল,মা!আমার বাবা দেখতে কেমন ছিল।তার মা গঠন আকৃতি বর্ননা করলেন।ছেলে টি আস্তে আস্তে বড় হলেন।একদিন সে আয়না চেহারার সামনে নিলে তার মায়ের বর্ননাকৃত চেহারা আয়নার সামনে ভেসে … বিস্তারিত পড়ুন

কাণ্ড কারখানা —মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মস্ত এক কারখানা ছিল। সেখানে একদিন এক কাণ্ড হল।একে বারে জাকে বলা যায় কাণ্ড কারখানা।কারখানার ম্যানেজার যে ঘরে বসে,তার দক্ষিনে একটুকরো ফাঁকা জমি আছে।জমিটি কোন কাজে লাগে না।কাজে লাগানো হয়নি।দরকার হয় না।তাছাড়া সাহেব একটু আলো বাতাসও পাবে। দু,চারটে ফুলগাছ লাগাবার ইচ্ছা ছিল।লাগানোও হয়েছিল।কিন্তু সাহেবের এদিকের কোন শখ নেই।তাই ছোট ছোট কয়েকটি বিলেতি ফুলের চারা ছিল … বিস্তারিত পড়ুন

জব্দ হলো নাপিত

বাগদাতের খলিফা ছিলেন তখন হারুনুর রশীদ। ন্যায্য দাবি বিবেচক ইনছাপগার বলে তার সারা বাগদাতে খ্যাতি ছিল।একবার এক কাঠুরে গাধার পিঠে কাঠের বোঝা চাপিয়ে শহরে যাচ্ছিল।সে গুলো বিক্রি করার পথে একটা নাপিত তাকে ডাকল।বাড়ির রান্নার কাজের জন্য তার একটা নাকড়ির দরকার ছিল।কাঠুরের সাথে তার দামদস্তর হলো।কাঠুরে গাধার পিট থেকে কাঠ নামিয়ে নাপিতের দোকানের সামনে রেখে দাম … বিস্তারিত পড়ুন

চোর ধরা

এক কৃষকের বাড়িতে এক মুসাফির এসে আশ্রয় নিল।অন্ধকারে মুসাফিরকে কেউ ভাল করে চিনতে পারি নি।মুসাফির যে ঘরে ঘুমাচ্ছিল,সে ঘরের সিদ কেটে এক কৃষকের জিনিস নিতে চাইলো।মুসাফির চোর কে বাঁধাদিল।তাদের ধস্তাধস্তিতে বাড়ির সবাই ছুটে এলো।চোরটি বলতে লাগল,এই লোকটি বাড়ির জিনিসপত্র নিতে চাইলে আমি বাধা দিয়েছি।মুসাফির বলল,না সে চোর।এসব জিনিস চুরি করতে এসেছিল। এভাবে এক জন অন্য … বিস্তারিত পড়ুন

হাবলু

হাবলু গ্রামে থাকে।গ্রামের লোকেরা তাকে বোকা বলে জানে।বিয়ে হয়েছে কয়েক যুগ আগে।মজার ব্যাপার হল,বিয়ের দিনেই শুধু শ্বশুর বাড়ি জাওয়া হয়েছিল।একদিন হঠাৎ বাবলুর ঘাড়ে শ্বশুর বাড়ি যাবার ভুত চাপলো।সে ভাবল,হঠাৎ যদি মরে যাই তাহলে আর কোন দিন শ্বশুর বাড়ি জাওয়া হবে না।হাবলু শ্বশুর বাড়ির পথও চিনে না।তাই মায়ের কাছ থেকে পথ ঘাটের কথা শুনে বের হয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

তারপর?–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে রাজা; তার ভারি গল্প শোনার শখ। কিন্তু তা থাকলে কি হয়, রাজামশাইকে কেউ গল্প শুনিয়ে খুশি করতে পারে না। রাজামশাই বলরেন, ‘যে আমাকে গল্প গুনিয়ে খুশি করতে পারবে, তাকে আমার অর্ধেক রাজ্য দিব, না পারলে কান কেটে নিব’। তা শুনে দেশ বিদেশের কত ভারি ভারি নামজাদা গল্পওয়ালা কোমর বেঁধে গোঁফে তা দিয়ে গল্পের … বিস্তারিত পড়ুন

পণ্ডিতের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধূরী

সেই যে হবুচন্দ্র গবুচন্দ্র মন্ত্রী ছিল, সেই হবুচন্দ্র রাজার একটা ভারি জবর পণ্ডিতও ছিল। তার এতই বুদ্ধি ছিল যে, তার পেটে অত বুদ্ধি ধরত না। তাই তাকে দিন রাত নাকে কানে তুলোর ঢিপ্‌লী গুঁজে বসে থাকতে হত, নইলে বুদ্ধি বেরিয়ে যেত। তুলোর ঢিপ্‌লী গুঁজত বলে নাম হয়েছিল ‘ঢিপ্‌লী’ পণ্ডিত। একদিন হয়েছি কি, হবুচন্দ্রের দেশের জেলেরা … বিস্তারিত পড়ুন

ভোজন

এক লোক দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিল।খাওয়া এত বেশী খেয়েছে যে,এখন আর হাটতে পারছে না।ক্লান্তি ভর করে বসল।তাই বিশ্রাম নিতে পথের ধারে একটা গাছের নিচে গা হেলিয়ে বসে পড়ল।পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ওই পাড়ার এক যুবক।বিশ্রাম রত মুরুব্বীকে দেখে চিনে ফেলল,এত দেখি আমাদের পাড়ার কদমআলী চাচা।আরে চাচা!এখানে কেন চলেন বাড়ি যাই।আরে ভাতিজা!বুঝবি না,দাওয়াত খেয়েছিলাম তো।খাওয়া একটু বেশী … বিস্তারিত পড়ুন

হিতে বিপরীত

বাবা মা প্রতিজ্ঞা করলো তাদের ছেলেকে কোন খারাপ কিছু শেখাবে না।যখন ছেলে বড় হল।তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়া হল।ভর্তি হবার কিছুদিন পর সে বিদ্যালয়ে পড়া শিখে না যাওয়ায় শিক্ষক বললো,বেটা!পড়া শিখে আসোনি কেন?হারামজাদা। ছেলে বাসায় গিয়ে বাবাকে বলে,বাবা,হারামজাদা মানে কি? বাবা উত্তরে বললেন,হারামজাদা মানে মেহমান। আরেকদিন ছেলে এক শিক্ষককে অন্য এক ছাত্রকে পড়া না পারার … বিস্তারিত পড়ুন

লস হলে আমাদের হত

এক ব্যক্তি বিক্রি উদ্দেশ্যে গরু নিয়ে যাচ্ছে হাটে।রাস্তায় কয়েকজন ছিনতাইকারি জিজ্ঞেস করলো,ওই গরু নিয়ে কই যাস।বেচারার সোজা সাপটা জবাব,বিক্রি করার জন্য হাটে যাচ্ছি। ছিনতাইকারি ইশারায় শলাপরামর্শ করে নিল।গরু নিলে বিপদে পড়ব,ফেরার পথে গরু বিক্রির টাকাগুলো নেব। ওদিকে বেচারা গরু নিয়ে চলে গেল হাটে এবং সন্ত্রাস তার ফেরার অপেক্ষায় ওৎ পেতে বসে অপেক্ষা করতে লাগল। বেচারা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!