হাকীম ইবন হাযাম রা:

নাম হাকীম, ডাক নাম আবু খালিদ। পিতা হাযাম ইবনে খুওয়াইলিদ, মাতা যয়নাব মতান্তরে সাফিয়্যা। হাকীম নিজেই বলছেন: আমি ‘আমুল ফীল’ (হস্তী বৎসর) অর্থাত আবরাহার কাবা আক্রমণের তের বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করি। ওয়াকিদী বলেন: হাকীমের জন্ম রাসূলুল্লাহর সা: জন্মের পাঁচ বছর পূর্বে। তার পিতা হাযাম ফিজার যুদ্ধে মারা যায়। তিনি নিজেও এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুবাইর … বিস্তারিত পড়ুন

ওয়ালীদ ইবনুল ওয়ালীদ ইবনুল মুগীরা রা:

নাম ওয়ালীদ, পিতা ওয়ালীদ ইবনুল মুগীরা। কুরাইশ গোত্রের বনী মাখযুম শাখার সন্তান। প্রখ্যাত সাহাবী ও সেনানায়ক হযরত খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ ও হিশাম ইবনুল ওয়ালীদের ভাই। একটি বর্ণনায় জানা যায়, তিনি হিশামের সহোদর ও খালিদের বৈমাত্রীয় ভাই। হযরত রাসূলে কারীমের সা: মক্কী জীবনে ওয়ালীদ ইসলাম গ্রহণ করেননি। এ সময় মুসলমানদের সাথে তার আচরণ কেমন ছিল, সীরাত … বিস্তারিত পড়ুন

আবু রাফে রা:

হযরত আবু রাফে’র রা: প্রকৃত নামের ব্যাপারে প্রচুর মতভেদ দেখা যায়। যেমন: ইবরাহীম, আসলাম, সিনান, ইয়াসার, সালেহ, আবদুর রহমান, কারমান, ইয়াযীদ, সাবেত, হুরমুয ইত্যাদি। এর মধ্যে আসলাম নামটিই সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। (আল ইসাবা-৪/৬৭) আবু রাফে তার কুনিয়াত বা ডাকনাম। বংশ কৌলিন্যের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, হযরত রাসূলে কারীমের সা: খিদমত করার সৌভাগ্য তার হয়েছিল। রাসুল সা: … বিস্তারিত পড়ুন

সালামা ইবন হিশাম রা:

নাম সালামা, ডাক নাম আবু হাশেম। পিতা হিশাম ইবন মুগীরা এবং মাতা দাবায়া বিনতু আমের। ইসলামের ঘোরতর শত্রু আবু জাহলের ভাই। ড: মুহাম্মাদ হামীদুল্লাহ সালামার মা দাবায়া বিনতু আমেরের জাহিলী জীবনের এক চমকপ্রদ কাহিনী বর্ণনা করেছেন। হাইসাম ও ইবনুল কালবী বর্ণনা করেছেন: মুত্তালিব ইবন আবী ওয়াদায়া ইবন আব্বাসকে বলেছেন: দাবায়া বিনতু আমের ছিলেন হাওজা ইবন … বিস্তারিত পড়ুন

উকাশা ইবন মিহসান রা:

নাম উকাশা বা উককাশা, কুনিয়াত বা ডাক নাম আবু মিহসান। পিতা মিহসান ইবন হুরসান। জাহিলী যুদে বনী আবদে শামসের হালীফ বা চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। হিজরতের পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেন এবং অন্যদের সাথে মক্কা ছেড়ে মদীনায় চলে যান। (উসুদুল গাবা-৪/২)। বদর যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য দারুণ নাম করেন। এ যুদ্ধে তার হাতের তরবারিটি ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়। … বিস্তারিত পড়ুন

আমের ইবন রাবীয়া রা:

নাম আমের, কুনিয়াত আবু আবদিল্লাহ এবং পিতা রাবীয়া। তার খান্দান হযরত উমারের রা: পিতা খাত্তাব এর ‍হালীফ বা চুক্তিবদ্ধ ছিল। খাত্তাব তাকে এত ভালোবাসতেন যে, তাকে ছেলে হিসেবে গ্রহণ করেন। এ কারণে প্রথম জীবনে আমের ইবনুল খাত্তাব (খাত্তাবের পুত্র আমের) নামে পরিচিত হন। কিন্তু কুরআন যখন প্রথা বাতিল করে প্রত্যেক মানুষকে তার জন্মদাতা পিতার নামে … বিস্তারিত পড়ুন

শাম্মাস ইবন উসমান রা:

নাম শাম্মাস, পিতার নাম উসমান এবং মাতার নাম সাফিয়্যাহ। কুরাইশ গোত্রের বনু মাখযুম শাখার সন্তান। হিশাম কালবী থেকে বর্ণিত হয়েছে, তার প্রকৃত নাম ছিল উসমান। শাম্মাস নামকরণের কারণ এই যে, একবার জাহিলী যুগে পরম সুন্দর এক খৃস্টান পুরুষ মক্কায় আসে। তার চেহারা থেকে যেন সূর্যের কিরণ চমকাচ্ছিল। তার এ অত্যাশ্চার্য সৌন্দর্য দেখে মানুষ বিস্ময়ে অভিভূত … বিস্তারিত পড়ুন

উসমান ইবন তালহা রা:

নাম উসমান, পিতার নাম তালহা ইবন আবী তালহা এবং মাতার নাম উম্মু সাঈদ সালামা। মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আমর শাখার সন্তান। জাহিলী যুগে পবিত্র কাবার হাজেব বা তত্ত্বাবধায়ক ও চাবির রক্ষক ছিলেন। ইসলামী যুগেও এ দায়িত্ব পালন করেন। (উসুদুল গাবা-৩/৩৭২)। উসমান ইবন তালহার পিতা তালহা,তিন ভাই মুসাফি, কিলাব ও হারেস এবং তার চাচা উসমান ইবন … বিস্তারিত পড়ুন

শুজা ইবন ওয়াহাব রা:

নাম শুজা, কুনিয়াত আবু ওয়াহাব এবং পিতা ওয়াহাব। জাহিলী যুগে তার খান্দান বনী আবদে শাࢮস এর হালীফ বা চুক্তিবদ্ধ ছিল। (উসুদুল গাবা-২/৩৮৬)। যারা ইসলামের সূচনা পর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন, হযরত শুজা তাদেরই একজন। মক্কার মুশরিকদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে হাবশা হিজরাতকারী দ্বিতীয় দলটির সাথে হাবশা যান। (আল ইসাবা-৩/১৩৮)। তাদের হাবশা অবস্থানকালে যখন সেখানে এ গুজব রটে … বিস্তারিত পড়ুন

মিহরায ইবন নাদলা রা:

নাম মিহরায, কুনিয়াত বা ডাকনাম আবু ফাদলাহ। তবে প্রধানত: আখরাম আল আসাদী উপাধিতে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি কখন কিভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে তিনি প্রথম পর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেন বলে সীরাত বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত। মক্কা থেকে মদীনায় হিজরাত করার পর আবদুল আশহাল গোত্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং হযরত আম্মার ইবন হাযামের রা: … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!