এক বাচ্চা ছেলে আর বিছুটি পাতার গল্প।

একটি বাচ্চা ছেলের হাতে নরম কিন্তু বিষাক্ত শুঁয়ো-ওয়ালা বিছুটি পাতা লেগে যায়। বাচ্চাটি তার মা’র কাছে ছুটে গিয়ে বলে, “এত ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে, আমি কিন্তু ওটা আলতো করে ছুঁয়েছিলাম।” “সেটাই তো ব্যাপার,” মা তাকে বোঝায় তখন, “তার ফলেই তো রোঁয়াগুলো তোমার হাতে ঘষে ঘষে গেল আর সেগুলো থেকে হুল ফুটে গিয়ে এখন জ্বলে যাচ্ছে। আবার … বিস্তারিত পড়ুন

নেকড়ে ও ভেড়ার গল্প

ঘুরতে ঘুরতে এক নেকড়ে একটা দলছুট ভেড়াকে একলা পেয়ে গেল। নেকড়ের ইচ্ছে হল বেশ মহত্ব দেখায়। ভেড়াটার উপর কোন হামলা না চালিয়ে বরং কিছু যুক্তি-তক্ক দিয়ে সেটাকে বুঝিয়ে দেওয়া যাক যে ভেড়াটাকে খাওয়ার ব্যাপারটা নেকড়ের হক-এর মধ্যেই পড়ে। সে ভেড়াটাকে বলল “এই যে মশায়, গেল সনে আপনি আমাকে বিস্তর অপমান করেছিলেন।” ভেড়াটা ভ্যাঁ করে কেঁদে … বিস্তারিত পড়ুন

এক চোখ-নষ্ট হরিণ-এর গল্প

এক হরিণ-এর একটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দেখতে না পাওয়া বিপদ-এর হাত থেকে বাঁচতে সে সমুদ্রের ধারের মাঠে ঘাস খেয়ে বেড়াত। তার ভাল চোখটা সে ফিরিয়ে রাখত ডাঙ্গার দিকে যাতে কোন শিকারী বা শিকার ধরা কুকুর এলে দূর থেকেই তাকে দেখতে পেয়ে যায়। সমুদ্রের দিক থেকে সে কোন বিপদের ভয় করত না। তাই তার নষ্ট … বিস্তারিত পড়ুন

কুকুর, মোরগ আর শিয়াল-এর গল্প

এক কুকুর আর তার সাথী এক মোরগ। দু’জনে মিলে ঘুরতে বেড়িয়েছিল। ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে গেল। তখন তারা আশ্রয়ের জন্য ঘন বনের মধ্যে চলে এল। মোরগ চড়ে বসল এক গাছের অনেক উঁচু একটা ডালে আর কুকুর সেই গাছের নীচে তার বিছানা পেতে নিল। ভোর হলে, যেমন সে রোজ করে, মোরগ ডেকে উঠল কোঁকড়-কো করে। সেই … বিস্তারিত পড়ুন

এক ডাঁশ আর এক সিংহ

এক ডাঁশ এক সিংহের কাছে এসে খুব জোরে তর্জন করলঃ “শোন রে সিংহ, আমি তোকে একটুও ভয় পাই না, আর তুই আমার থেকে কিছুই শক্তিশালী নোস। তোর জোরটাই বা কিসে? আঁচড়াতে পারিস নোখ দিয়ে, কামড়াতে পারিস দাঁত দিয়ে – কি এল গেল তাতে? আবার ও বলছি, শুনে রাখ, সব দিক ভেবে দেখলে আমার জোর তোর … বিস্তারিত পড়ুন

রাখাল সাজা নেকড়ে

ধরা খাওয়ার ভয়ে এক নেকড়ে কিছুতেই ভেড়ার পালের কাছ ঘেঁষতে পারে না। তখন জামা-কাপড় চাপিয়ে সে এক রাখাল সেজে নিল। এইবার সে সোজা চলে এল ভেড়াগুলোর পাশে। আসল রাখাল তখন ঘুম লাগাচ্ছে আর ভেড়াগুলো নিশ্চিন্তে ঘাস খাচ্ছে। মুস্কিলটা হল ভেড়া পাকড়াতে গেলে অন্ততঃ কোন একটাকে দলছুট করা দরকার! নেকড়ে-রাখাল তাই আসল রাখাল-এর মত হুস-হাস আওয়াজ … বিস্তারিত পড়ুন

উত্তুরে বাতাস আর সূর্যের গল্প

উত্তুরে বাতাস আর সূর্যের মধ্যে প্রবল তর্ক বেধে গেল – কার জোর বেশী তাই নিয়ে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল এক লোক। বাতাস আর সূর্য একমত হল যে, তাদের মধ্যে যে জন ঐ লোকের গা থেকে অন্যজনের আগে জামা-কাপড় খুলে ফেলাতে পারবে, তাকেই বেশী শক্তিমান বলে ধরা হবে। উত্তুরে বাতাস তার সমস্ত শক্তি নিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

এক অন্ধ ও এক নেকড়ের ছানা

এক অন্ধ মানুষের একটা বিশেষ গুণ ছিল। জন্তু-জানোয়ারের গায়ে হাত বুলিয়ে সে বলে দিত পারত কোন প্রাণী সেটা। একদিন একজন একটা নেকড়ের ছানা এনে তার হাতে দিল। অনুরোধ করল যদি সে প্রাণীটার গায়ে হাত বুলিয়ে বলে দিতে পারে ঠিক কোন জানোয়ার বাচ্চা সেটা। লোকটি প্রাণীটির গায়ে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে পরীক্ষা করল। পুরোপুরি নিশ্চিত হতে না … বিস্তারিত পড়ুন

মায়া–আনোয়ারা সৈয়দ হক

লোকটার নাম বুড়ো আর মহিলার নাম বুড়ি। বয়সেও তারা বর্তমানে বুড়ো ও বুড়ি। একজনের বয়স পঁচাত্তর, আরেকজনের সত্তর। জাগতিক জীবনের সব কাজ মোটামুটি তাদের সারা হলেও তাদের মনে কোনো স্বস্তি নেই। সেই হিসাবে শান্তিরও কিছু অভাব। এর প্রতিফলন ঘটে ভোরবেলায়। যখন তারা দুজনে নামাজ পড়ার জন্যে ভোরে বিছানা ছাড়ে। নামাজ পড়া তো একটু পরেই শেষ … বিস্তারিত পড়ুন

মুল্লুকতাজ——–কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

তখনো অঘ্রানের শীত-শীত বিকাল শেষ হয় নাই – আমন ধানকাটার মৌসুম লেগেছে; ইরিধান, সরিষা, গোল আলু, মিষ্টি আলু, খেসারি ডাল রোপণের সিজনেই আবদুল কুদ্দুস আবারো বিভ্রান্ত হয়; – এর কারণ হচ্ছে, মুল্লুকতাজের যেই ছবিগুলো খুঁজছে, তা সে পাচ্ছেই না। তার সামনে তাইজুল মিয়া ওরফে মুল্লুকতাজের বিস্তৃত একটা জীবন আছে – সেখানে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করা থেকে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!