কালরাক্ষস কোথায় থাকে? — প্রেমেন্দ্র মিত্র ১ম পর্ব

অনেককাল আগের কথা। কতকাল জিজ্ঞেস করলে কিন্তু বলতে পারব না। তারিখ-সাল যদি জানতে হয় ইতিহাসের পণ্ডিতের কাছে যাও। মোট কথা, তখন পরী-হুরীদের যেখানে সেখানে দেখা যেত, রাক্ষস-খোক্ষসরা বনে-জঙ্গলে ভয় দেখাত আর তেপান্তর পেলেই ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী সেখানে গাছে বাসা বেঁধে রাজপুত্রদের ভালো ভালো মতলব দেবার জন্যে বসে থাকত। রাজপুত্ররাও তখন কথায় কথায় পক্ষিরাজে চড়ে দেশ বিদেশ ঘুরতে … বিস্তারিত পড়ুন

কালরাক্ষস কোথায় থাকে? — প্রেমেন্দ্র মিত্র শেষ পর্ব

আর কি বুঝতে কিছু বাকি থাকে? নির্ঘাত সেই কালরাক্ষসের কাজ। কোনো অচিনদেশের কুমার হবে নিশ্চয়। বেচারাকে ধরে এনে কয়েদ করে রেখেছে মনের সুখে মারবার জন্যে। “কাঁদছ কেন ভাই? ভয় কি!”—কাছে গিয়ে খুদকুমার মিষ্টি গলায় সাহস দেয়। অচিনকুমার চমকে উঠে বসে কেমন হতভম্ব হয়ে তাকায়! তারপর তার কান্না আবার যেন উথলে ওঠে নতুন করে। খুদকুমার পাশে … বিস্তারিত পড়ুন

জলের ভূত — জার্মানের রূপকথা

এক কুয়োপাড়ে ছোট্টো একটি ছেলে তার বোনের সঙ্গে প্রায়ই খেলা করত । একদিন খেলা করতে করতে দুজনেই তারা ঝুপ করে জলে পড়ে গেল । কুয়োর তলায় থাকত এক জলের ভূত । তাদের দেখে সে চেঁচিয়ে উঠল, “এইবার তোদের বাগে পেয়েছি । আমার জন্যে এইবার তোদের খাটাব।” সুতো কাটার জন্যে মেয়েটিকে সে দিল জলের নানা আগাছা … বিস্তারিত পড়ুন

বুড়ীর পাল্লায় মানুষ খেকো কুমীর — মোহাম্মদ নাসির আলী ১ম পর্ব

গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নারায়নগঞ্জ বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ নদীবন্দর। এ বন্দর থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার পাট রপ্তানী হয় দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে। নারায়নগঞ্জ থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরে ব্ৰহ্মপুত্র নদের পাড়ে এক সময়ে একটি কুঠিবাড়ী ছিল। বাড়ীটি ব্যবহৃত হতো ডাকবাংলো হিসেবে। সরকারী কর্মচারির কাজে এসে সময় সময় সেই বাড়ীতে আশ্রয় নিতেন। … বিস্তারিত পড়ুন

বুড়ীর পাল্লায় মানুষ খেকো কুমীর — মোহাম্মদ নাসির আলী ২য় পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আর মনে মনে হাসছিল। নৌকো এগিয়ে চলল। সাহেব বন্দুকের গোড়ায় হাত দিলেন। আঙ্গুলগুলো তার নিশপিশ করতে লাগল। আর ঠিক সেই মুহুর্তে-ঝুপ ঝুপ করে নদীতে পড়েই ধূর্ত কুমীর এক সেকেন্ডে অদৃশ্য হয়ে গেল। বন্দুক হাতে শিকারী সাহেব বোকার মতো হাঁ করে চেয়ে রইলেন । কিন্তু মজা হল তার পরে। … বিস্তারিত পড়ুন

বুড়ীর পাল্লায় মানুষ খেকো কুমীর — মোহাম্মদ নাসির আলী শেষ পর্ব

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আধঘণ্টা পরে ছেলেটি ফিরে এল দু’বগলে দুটা ছাগলের বাচ্চা নিয়ে। তাই দেখে মিঃ অগাস্টাস ভাবলেন, বুড়ী বোধহয় তাকে বাড়িতে পেয়ে ভোজের আয়োজন করছে। বুড়ী তার মনের ভাব বুঝতে পেরে বলল, “সবুর করো সায়েব ! কি করি তাই দেখো। গরীব মানুষ আমি ভোজ তোমাকে দেবো না,-ভোজ দেবো কুমীরকে। এই … বিস্তারিত পড়ুন

রুপকথার রাজকন্যা এবং বৃদ্ধ রাখাল

রুপকথার আকাশে আজ বিশাল একটা চাঁদ উঠেছে। চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে চারদিক। প্রবল জোৎস্নায় নদীতে বান ডেকেছে। জোয়ার এসেছে মানুষের মনেও। বিস্তৃত চারণভূমির পাশে একটা বেশ পুরনো বটগাছ। বটগাছের কালচে সবুজ পাতায় এসে চাঁদের আলো পড়ছে। চাঁদের আলোয় সবুজ পাতাগুলি রুপার মত চক-চক করছে। সেই বটগাছের নিচে একজন আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। অনেকদিন আগে, … বিস্তারিত পড়ুন

ভালবাসা দিয়ে কঠিন হৃদয়কেও জয় করা সম্ভব

অনেক অনেক দিন আগে, চীন দেশে ছিল Leu নামের এক মেয়ে । সে বিয়ে করে স্বামী এবং শ্বাশুড়ীর সাথে বাস করতে ছিল। খুব অল্প সময়েই Leu দেখল যে তার শ্বাশুড়ীর সাথে বাস করাটা প্রায় অসম্ভব। ক্রমশ তাদের মধ্যে মতানৈক্য আর ঝগড়া শুরু হয়। শ্বাশুড়ী প্রায়শ Leu কে কটাক্ষ করতো বিভিন্ন কাজে। কিন্তু, চাইনিজ পরম্পরা অনুয়ায়ী, … বিস্তারিত পড়ুন

কাঁপতে শেখা–জার্মানের রূপকথাঃ ১ম পর্ব

একটি লোকের ছিল দুই ছেলে। বড়োটি চালাক-চতুর। ছোটোটা হাবাগোবা। কিছুই সে বোঝে না, কিছুই পারে না শিখতে। তাকে দেখে লোকে বলে, “ছেলেটার জন্যে বাপের কপালে অনেক দুঃখ আছে।” কোনো কিছু করার দরকার হলে ডাক পড়ে বড়ো ছেলের । কিন্তু কোনো জিনিস অনার জন্য সন্ধে কিংবা রাতে তার বাবা যেতে বললে আর পথটা গিজের কবরখানা বা … বিস্তারিত পড়ুন

কাঁপতে শেখা–জার্মানের রূপকথাঃ ২য় পর্ব

নয়তো সিঁড়ির নীচে তোমায় ছুঁড়ে ফেলব।” পুরুতমশাই ভাবলেন, ‘সত্যিই কি আর ছুঁড়ে ফেলবে । তাই তিনি পাথরের মূতির মতো চুপচাপ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন । ছেলেটা তৃতীয়বার হাঁক ছাড়ল । কিন্তু তাতেও কোনো ফল হল না দেখে ছুটে গিয়ে সেই ভুতকে এমন জোরে সে ঠেলা মারল যে, দশটা সিঁড়ি গড়িয়ে এক কোণে ভূত পড়ে রইল … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!