ভূলের কাছে ঋণ

প্রাচীনকালে একটি গ্রামের শেষ প্রান্তে পর্বত নামে একটি গরীব লোক ছিল। তার বউ আর সে একটি কুঁড়েঘরে থাকত। তার কুঁড়ের পাশে ছিল আর একটি ঘর। একদিন ঐ ঘরে ঢুকল এক বুড়ো। বুড়োর আত্মীয় স্বজন কেউ ছিল না। বুড়ো অসুস্থ ছিল। এসব লক্ষ্য করে তাকে সাহায্য করার ইচ্ছা জগল পর্বতের মনে। কিন্তু ইচ্ছা জাগলেও পর্বতের ক্ষমতা … বিস্তারিত পড়ুন

সাধুর বর

প্রাচীনকালে এক সিদ্ধসাধু তার শিষ্যদের নিয়ে একটি নগরে এসেছিল। সেই নগরে একজন ধনী ছির। তার নাম মণিগুপ্ত। তাকে লোকে দাতাকর্ণ নামে অভিহিত করত। সাধু মণিগুপ্তের বাড়িতে গেল। তার আশা ছিল মণিগুপ্ত তাকে নিশ্চয়ই অতিথি হিসেবে গ্রহণ করবে। সাধু দেখল মণিগুপ্তের বাড়ির সামনে হাজার হাজার গরিব মানুষ দাঁড়িযে আছে। তার লোকজন তাদের দান দক্ষিণা দিচ্ছে। একদিন … বিস্তারিত পড়ুন

ঠাকুরের ইচ্ছা

বসন্ত দেশের রাজা ছিল নামকরা বীর। তার সিংহাসনে বসার কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিবেশী দেশ হেমন্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হল। ঐ যুদ্ধে বসন্তদেশের রাজার জয় হল। ফলে সিংহাসনে বসতে না বসতেই বসন্তদেশের রাজা দুটি দেশের রাজা হয়ে গেলেন। যুদ্ধে দুটো দেশেরই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হল। লোকজন মারা গেল। ধনসম্পত্তি নষ্ট হল। রাজা ছিল মহাবীর। এত সহজে একটি দেশ … বিস্তারিত পড়ুন

নাস্তিকের দৈবভক্তি

কোন এক দেশে রামেশ্বর নামে একজন লোক ছিল। গরিবদের সে খুব সাহায্য করত। গরিবের দুঃখে তার প্রাণ কাঁদত। তবে তার ঠাকুরদেবতার প্রতি ভক্তি ছিল না। কোন মন্দিরে ঢুকত না। সে ছিল নাস্তিক। তার ধারণা ছিল অসহায় মানুষকে সেবা করার চেয়ে ইহজগতে বড় ধর্ম আর কিছু নেই। একবার রামেশ্বরের মেজ ছেলের কঠিন অসুখ করল। তার কথা … বিস্তারিত পড়ুন

অনুভবানন্দ

ধনগুপ্ত ছিল এক ব্যবসাদারের ছেলে। বাপের অনেক সম্পত্তি সে পেয়েছিল। তাঁর ঝোঁক ছিল ভোগবিলাসের দিকে। কিন্তু ব্যবসা এমন একটা জিনিস যা করতে হলে ভোগবিলাসে গা ভাসানোর সময় তেমন থাকে না। ফলে ধনগুপ্তের কিছুদিনের মধ্যেই বিরক্ত জা্গল। সে ভাবল, অত কষ্ট করে ব্যবসা না করে জুয়ো খেলে টাকা রোজগার করবে। ধনগুপ্ত আস্তে আস্তে ব্যবসা ছেড়ে চুটিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিজ্ঞা

প্রাচীনকালে মালবদেশ ও পঞ্চাল দেশের মধ্যে একবার প্রচন্ড বিরোধিতা দেখা দিল। মালবদেশের রাজার নাম ছিল বীরসেন। তার ছেলের নাম ঝছিল বিজয় সিংহ। পঞ্চাল দেশের রাজার নাম ছিল বিমলাদিত্য। ঐ রাজার একটি মেয়ে ছিল। নাম মণিমালা। সে খুব সুন্দরী ও নম্রস্বভাবা ছিল। যথাসময়ে মণিমালার জন্য পাত্র বাছাই করতে স্বয়ম্বর সভা ডাকা হর। বিভিন্ন দেশে খবর পাঠানো … বিস্তারিত পড়ুন

আরুণির কর্তব্যনিষ্ঠা

অনেক অনেক কাল আগের কথা। শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহে গিয়ে থাকত। লেখাপড়া শেষ করে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেত। শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহকে নিজেদের বাড়ির মতোই মনে করত। গুরুও শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতোই ভালবাসতেন। এমনি এক শিক্ষার্থী ছিলেন আরুণি। তাঁর গুরু ছিলেন ঋষি ধৌম্য। তখন বর্ষাকাল। বর্ষার জলের তোড়ে মাঠে ঋষি ধৌমের একখন্ড জমির আল ভেঙে গিয়েছিল। ঋষি ধৌম্য আরণিকে … বিস্তারিত পড়ুন

সহমর্মিতা

মমতা আর কমল। একই স্কুলে পড়ে। মমতা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে আর কমল পড়ে প্রথম শ্রেণিতে। কমল তার সহপাঠীদের সাথে বিদ্যালয়ে যায়। সবাই খুব চঞ্চল। রাস্তায় হাঁটে তো না, যেন দৌড়ায়। একদিন ওরা রাস্তায় এরকম ছোটাছুটি করছে। এমন সময় পাশের রাস্তা দিয়ে ওদের সঙ্গে মিলিত হলো মমতা। সে কমলকে ছোটাছুটি করতে দেখে বারণ করল।বলল, রাস্তায় এলোমেলো … বিস্তারিত পড়ুন

যাদুর কম্বল

অনেক কাল আগে হিমালয়ে আত্মানন্দ নামে একজন সাধু ছিল। বহু লোক অনেক কষ্ট সহ্য করে ঐ বৃদ্ধ সাধুকে দেখতে যেত। ওরা মাঝে মাঝে ঐ সাধুর সাধনায় বিঘ্ন ঘটাত নানা ধরনের প্রশ্ন করে। বারবার সাধনায় বিঘ্ন ঘটায় বিরক্ত হয়ে সাধু একটি কম্বলে মন্ত্রপড়া জল ছিটিয়ে ঐ কম্বলে এমনভাবে নিজেকে মুড়ে রাখতো যে লোকে তাকে দেখতে পেত … বিস্তারিত পড়ুন

পরামর্শ

মণিপুরে রাজা ছিলেন মণিকেত। তাঁর কোন ছেলে মেয়ে ছিল না। অনেক বছর পরে তাঁর একটি মেয়ে হল। বাচ্চা বয়স থেকে মেয়েটিকে ওঁরা আদরযত্নে লালন-পালন করল। মেয়েটি যা ইচ্ছে তাই করত, যা মুখে আসত তাই বলত। যখন-তখন সে রেগে যেত। রাগের মাথায় হাতের কাছে যা পেত তাই দিয়ে যাকে তাকে মারত। তার এত রাগের কারণ যে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!