বোতলের ভূত — জার্মানের রূপকথা

এক সময় ছিল গরিব এক কাঠুরে । সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত সে কাজ করত । সামান্য কিছু টাকাকড়ি জমিয়ে সে তার ছেলেকে বলল, “তুই আমার একমাত্র সন্তান । তাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা কিছু জমিয়েছি তোকে দেব তোর শিক্ষার জন্যে খরচ করতে । এমন কিছু শিথিস যাতে আমার বুড়ো বয়েসে আমাকে খাওয়াতে-পরাতে পারিস । … বিস্তারিত পড়ুন

চুরিবিদ্যা — তারাপদ রায়

নাবালক বয়সে এ বিষয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম। সম্ভবত সেটাই ছিল আমার প্রথম রম্যরচনা। এত বিষয় থাকতে ওই নিষ্পাপ বয়সে আমি কেন চুরিবিদ্যার উপরে আমার প্রথম গদ্যটি লিখেছিলাম সেটা যাঁর যেমন ইচ্ছে অনুমান করতে পারেন। কিন্তু আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে। ওই লেখাটি লিখতে গিয়ে আমি প্রভূত আনন্দ পেয়েছিলাম। লিখতে লিখতে টের পেয়েছিলাম তস্করবৃত্তির প্রতি আমার … বিস্তারিত পড়ুন

ঈর্ষা

একটি লোক একটা তোতাপাখী কিনে এনেছে বাড়িতে। দস্তরমত পোষমানা । অনেক কাজে লাগবে এ, অনেক আনন্দ দেবে । – চিমনীর ধারে বসে বাড়ির সবাই আরামে আগুন পোহাচ্ছে, এমন সময় তোতাটা উড়ে এসে বসলো ! পাশেরই এক উঁচু জায়গায় । বসে নানা মজার মজার কথা বলতে লাগল। – বাড়ির বেড়ালটা এই দেখে এসে তাকে বললে,-কে তুমি … বিস্তারিত পড়ুন

কলসির কাজ দেখাশোনা — তিব্বতের লোককাহিনী

কোনো এক কালে, একদিন একটি পোড়া মাটির কলসি, একটি কাদামাটির সানকি, একটি ওলকপি, একটি মাছি, একটি যবের শীষ এবং একটি সূচ বাড়ির কাজ ভাগ করে নেওয়ার জন্য একত্র হল । বাড়ির কর্তা হল কলসি । সে সবার মধ্যে কাজ ভাগ করে দিল । কাদার সানকি আনবে পানি, ওলকপি চরাবে গাই, মাছি চরাবে ষাঁড়, যবের শীষ … বিস্তারিত পড়ুন

অহংকারী খরগোশ — নরওয়ের রূপকথা

এক ছিল অহংকারী খরগোশ। দেখতে বেশ নাদুস-নুদুস। কচি কচি মুলো খেত। বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াত। আর ধেইধেই করে নেচে নেচে গান গাইত। লাফিয়ে লাফিয়ে খুব বেগে ছুটতে পারত সে। তাই তার মনে ভারি অহংকার। অন্য খরগোশদের সে গণায় ধরত না। যাকে-তাকে সে শুধুশুধু খোচা দিত। ঘোড়াকে গিয়ে বলত, কী তোমার ঠ্যাঙের ছিরি! দাঁড়িয়ে ঘুমাতে হয়।’ গাধাকে … বিস্তারিত পড়ুন

সাতটি ছাগল ছানা — নরওয়ের রূপকথা

বনের ধারে ছোট্ট একটি ঘর । সেখানে থাকে সাতটি ছাগলছানা আর তাদের মা। ছাগলছানারা নেচে গেয়ে ঘুরে বেড়ায় । গান গায় চিকন সুরে । যা পায় তাই খায়। মায়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে যায় দূরের বনে । একদিন ছাগল-মা বলল, আমি আজ কাজে বের হচ্ছি। যাব বেশ দূরেই। ফেরার সময় তোমাদের জন্য নিয়ে আসব ভালো ভালো … বিস্তারিত পড়ুন

এক যে ছিল ছাগলছানা — নরওয়ের রূপকথা

  এক যে ছিল ছাগল ছানা। খুব ভীতু। সবসময় সে তার ঘরের আশেপাশেই থাকত। বাইরে যেত কম। বন্ধুরা একদিন খোঁচা দিল— ঘরের বাইরে বেরিয়ে কিছু দেখে এস। জানার আছে অনেক কিছু! ছাগলছানার মাথাতে ভূত চাপল। ঠিক করল— দূরে, বহুদূরে যাবে সে । মা-বাবা কাউকে কিছু বলল না। এক বিকেলে বেরিয়ে পড়ল। আকাশ মেঘলা । জোরে … বিস্তারিত পড়ুন

ভালুকের বড়াই — নরওয়ের রূপকথা

ভালুকের সঙ্গে দেখা হল এক ছোট্ট খরগোশের । কোনোকিছু না বলেই খরগোশের কান মলে দিল ভালুক । আহ’ বলে চেঁচিয়ে উঠল খরগোশ । দু-গালে দুটো থাপ্পড় মেরে চলে গেল ভালুক। শক্তির বড়াই তার উপচে পড়ছে। খরগোশ কাঁদছে আর কাঁদছে। কানের ব্যথা মিলিয়ে গেল। তবু তার কান্না থামে না। এখন সে কী করবে? কেন সে ভালুকের … বিস্তারিত পড়ুন

খেঁকশেয়ালের লেজ — নরওয়ের রূপকথা

কেমন ছাই ছাই বাদামি রঙের একটা লেজ রয়েছে ওদের । চোখ দুটো জুলজুলে, ইতিউতি তাকায়। যেন সব বোঝে। ভারি চালাক । কিন্তু খেকশেয়ালের লেজ একসময় বাদামি ছিল না। ছিল একেবারে টকটকে লাল । কী করে লেজের রং পাল্টে গেল সে গল্পটাই শোনাই তোমাদের । ছিল একটা গহিন বন । দিনের সূর্যের আলো পৌছায় না সেই … বিস্তারিত পড়ুন

ঝড়ো বাতাস –নরওয়ের রূপকথা

ছায়াঘেরা, মায়াঘেরা পাহাড়ের কোলে ছোট্ট সেই গ্রামটি একেবারে ছবির মতো । সেই গ্রামে থাকে এক দুঃখী বুড়ি-মা আর তার আদরের ধন ছোট্ট একটি ছেলে। মা-ছেলেতে কাজ করে। টেনেটুনে সংসার চলে। এক. বেলা ভালো খায় তো আরেক বেলা উপোস থাকে । একদিন মা বলল, বাছা, ঘরে একটুখানি আটা আছে। তাই নিয়ে এস। রুটি তৈরি করব ? … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!