বিড়ালদের শহর : হারুকি মুরাকামি– প্রথম পর্ব

তেংগো কোয়েনজি স্টেশনে ফিরে আসা দ্রুতগামী ট্রেন চৌলাইনে উঠল। বগিটা ছিল বেশ ফাঁকা। সেদিন কোনো কিছুরই পরিকল্পনা ছিল না তার। কোথায় যাবে আর কী করবে (বা করবে না) তা ছিল পুরোপুরিই তার নিজের মর্জি। সেটা ছিল গ্রীষ্মের এক বাতাসহীন ভোরবেলা আর ছিল প্রখর সূর্যের তাপ। ট্রেনটা শিনজুকু, ইয়ৎসুয়া, ওচানোমিজু পেরিয়ে গেল আর পৌঁছাল টোকিও সেন্ট্রাল … বিস্তারিত পড়ুন

বিড়ালদের শহর : হারুকি মুরাকামি–দ্বিতীয় পর্ব

  যারা আসতো তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো। যদি লোকেরা দিতে না চাইতো তার বাবা তাদেরকে শাসাত কিংবা তোষামোদ করতো। যদি তারা না দেবার চেষ্টা করতে যেত তার বাবা গলা চড়াতেন। কখনো কখনো তিনি তাদেরকে পথভ্রষ্ট কুকুরের মতো অভিশাপ দিতেন। তার এসব অভিজ্ঞতা এমন ধরনের বিষয় না যা তার বন্ধুদের কাছে বলা যায়। বাবু … বিস্তারিত পড়ুন

বিড়ালদের শহর : হারুকি মুরাকামি–তৃতীয় পর্ব

  তেংগোর পক্ষে কেবল যে শরীরী বৈশিষ্ট্যের কারণে বাবার সঙ্গে সাদৃশ্য করা কঠিন হতো তা নয়, তাদের মনস্তাত্ত্বিক গড়নও ছিল আলাদা। তার বাবার মধ্যে কখনো এমন কিছুর চিহ্ন দেখা যেত না যাকে বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রহ বলা চলে। সত্য যে, একটা গরিব পরিবারে জন্ম নিয়ে তিনি উপযুক্ত শিক্ষা পান নি। বাবার পরিস্থিতির ব্যাপারে তেংগোর মনে একটা মাত্রায় … বিস্তারিত পড়ুন

বিড়ালদের শহর : হারুকি মুরাকামি–চতুর্থ পর্ব

  ফেলে চলে যেতে পারতো। কিন্তু গেল না। তরুণ বয়স হবার কারণে তার ছিল প্রাণবন্ত আগ্রহ আর সে প্রস্তুত ছিল অভিযানের জন্য। এরকম আরও আজব দৃশ্য সে দেখতে চাইল। যদি সম্ভব হয়, সে খুঁজে বের করতে চায় কখন এবং কীভাবে এটা বিড়ালদের শহর হয়ে উঠল। এই তৃতীয় রাত্রিতে ঘণ্টা-ঘরের নিচের চত্বরে সে একটা গোলমালের শব্দ … বিস্তারিত পড়ুন

ব্যাঙ ও ঘাসফড়িংয়ের বন্ধুত্ব

এক ছিলো ঘাসফড়িং আর এক ছিলো ব্যাঙ। তারা ছিলো খুব ভালো বন্ধু। লোকে সবসময় তাদের একসঙ্গেই দেখতো। কিন্তু তারা কখনও কেউ কারও বাড়িতে খায়নি। একদিন ব্যাঙ ঘাসফড়িংকে বললো, বন্ধু কাল তুমি আমার বাড়িতে এসো। আমরা একসঙ্গে রাতের খাবার খাবো। আমি আর আমার বৌ তোমার জন্য বিশেষ খাবার তৈরি করবো। ঘাসফড়িং রাজি হলো। পরের দিন সময়মতো … বিস্তারিত পড়ুন

অসুস্থ সিংহ, খ্যাঁকশিয়াল ও হরিণ

এক সিংহ ব্যামোতে বড় কাবু হয়ে পড়েছে, গুহা ছেড়ে নড়বার ক্ষমতা নেই। সে তখন তার প্রিয় অনুচর খাঁকশেয়ালকে বললে, শোন, তুমি যদি আমায় বাঁচিয়ে রাখতে চাও তাহলে এক কাজ করতে হবে তোমায় । বনে যে বড় হরিণটা আছে নানা মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ভালিয়ে তাকে নিয়ে আসবে আমার একেবারে কাছে। বড় খিদে পেয়েছে আমার, তার মাংস, … বিস্তারিত পড়ুন

লাল দৈত্য — ইংল্যান্ডের রূপকথা

এক ছিল গরীব বিধবা। তার দুটি ছেলে। ছেলেদের নিয়ে দুঃখ-কষ্টে তার দিন কাটে । দুভাই বড় হয়ে উঠেছে। এখন ভাগ্যের অন্বেষণে ঘর ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে পড়ার সময় হয়েছে তাদের। একদিন বড় ছেলে যাত্রার জন্যে তৈরি হলো । মা কাছে ডাকল তাকে। ঘড়ায় করে কুয়ো থেকে পানি নিয়ে এসো, বলল মা, আমি তোমার জন্যে কেক তৈরি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃসাহসী জ্যাক— ইংল্যান্ডের রূপকথা

রাজা আর্থারের আমলে কর্নওয়ালে বাস করত এক চাষী। তার একটিমাত্র ছেলে, নাম জ্যাক। তরুণ জ্যাক যেমন ছিল শক্তসমর্থ, তেমনি ছিল সাহসী আর বুদ্ধিমান। সেময় কর্নওয়ালের পাহাড়ে থাকত করমোরান নামে এক ভয়ঙ্কর দৈত্য। বেজায় লম্বা আর তাগড়া সেই দৈত্যের গায়ে ছিল অসম্ভব শক্তি—তার ওপর সে ছিল সাঙ্ঘাতিক নিষ্ঠুর। আশপাশের সব শহর আর গায়ের লোকজন তার ভয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

আলুথালু — ইংল্যান্ডের রূপকথা

এক যে ছিলেন ধনী জমিদার। তার টাকা-পয়সা ধন-দৌলতের অন্ত ছিল না ! জমিদারের স্ত্রী বেঁচে নেই। তার তিন মেয়ে । মেয়েদের তিনি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন । জিজ্ঞেস করে দেখা যাক । রাতের খাবারের পর বড় মেয়েকে ডেকে পাঠালেন তিনি। বলো তো, মা, কতটা ভালোবাসো তুমি আমাকে? জানতে চাইলেন তিনি। জীবনকে যতটা ভালোবাসি, ততটাই ভালোবাসি তোমাকে … বিস্তারিত পড়ুন

হাঁদা জ্যাক — ইংল্যান্ডের রূপকথা

বহু দূরে সাগরপারের এক শীতের দেশ। অনেক দিন আগে জ্যাক নামে এক ছেলে থাকত সেখানে। সংসারে তার আপনজন বলতে ছিল শুধুমা। ওদের অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না। বুড়ি মা চরকায় সুতো কেটে সামান্য যা আয় করত তা দিয়েই কষ্টেসৃষ্টে সংসার চলত। জ্যাক কিন্তু ছিল ভারী অলস। সারা শীতকাল সে কাটাত ঘরের ভেতর আগুনের পাশে বসে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!