শালুকের দৈত্য

বিকেলবেলা। বাগানে মাটি খুঁড়ছে শালুক। ছোট্ট শাবলটা দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গর্ত করছে ও। হঠাৎ ঠন করে একটা শব্দ। কিসের শব্দ? শালুক সাবধানে শাবল চালায়। কিছুটা খুঁড়তেই একটা ছোট্ট কাচের বোতল বেরিয়ে এলো। বোতলটা নেড়েচেড়ে দেখে শালুক। বোতলের গায়ে লেগে থাকা কাদা মাটি সরিয়ে ভেতরে তাকায়। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ভেতরটা জমাট অন্ধকার। ধুৎ! বিরক্ত হয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

জাদুর আয়না

সে অনেককাল পরের কথা। পৃথিবীটা তখন অনেক বদলে গেছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেকটাই আগের যুগে ফিরে গিয়েছে পৃথিবী। রেডিয়েশনের কারণে পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গা পরিত্যক্ত। রাজাদের যুগ আবারও ফিরে এসেছে। ফিরে এসেছে আদিম যুগের অনেক কিছুই। একবার এক বৃদ্ধ রাজা তার দুই ছেলেকে ডেকে বললেন, “একটা উপকথা আছে তোমরা জানো- জাদুর আয়না। যে এই আয়নার দিকে … বিস্তারিত পড়ুন

আসিফ ও দানবের গল্প

তখন শরৎকাল। নদীর পাড়ের বিস্তৃত মাঠে ফুটে আছে সারি সারি কাশফুল। নদীর জলে ভেসে চলে পালতোলা নৌকা। মাঝি মনের সুখে গান গায় আর দাঁড় টানে। এক ঝাঁক পাখি উড়ে যায় নীল আকাশে। কাশবনে শোনা যায় অনেক পাখির ডাক। গাঙচিল উড়ে এসে বসে কাশবনের মাঝে বাবল গাছের ডালে। স্কুল ছুটি হলে বাড়ি ফেরার পথে আসিফ রোজ … বিস্তারিত পড়ুন

শাহ্‌রবনু’র গল্প -২

মোল্লাবাজি শাহরবনুকে এক পোটলা তুলার পরিবর্তে তিন পোটলা তুলা আর গরু নিয়ে চারণভূমিতে পাঠিয়েছে গরুকে ঘাসা খাওয়ানো আর সূতা বানানোর জন্য। কিন্তু ছোট্ট মেয়েটির পক্ষে এতো বেশি কাজ করা কী করে সম্ভব! তাই বিকেলের দিকে সে বসে কাঁদছিল। সে সময় হলুদ গরু এসে তাকে একটা পথ বাতলে দিলো। দৈত্যের কাছে গিয়ে সে দৈত্যের মন জয় … বিস্তারিত পড়ুন

শাহারবনু’র গল্প-১

বাবা-মায়ের আদরের মণি শাহরবনু দেখতে দেখতে সাত বছরে পড়লো। বাবা মেয়েকে নারী শিক্ষকের কাছে পাঠিয়ে দিলো পড়ালেখা শেখার জন্য। এই নারী শিক্ষকের তৎকালীন পরিভাষা ছিল মোল্লাবাজি। মোল্লাবাজির ছাত্ররা তাকে যে ধরনেরই উপহার দিতো শাহরবনু’র উপহারটা হতো একবারেই ভিন্নরকমের এবং উন্নত।শিক্ষকের মনে কৌতূহল জাগলো। কৌশলে শাহরবনু’র কাছ থেকে কথা বের করার চেষ্টা করলো তার বাবার অবস্থা … বিস্তারিত পড়ুন

স্বার্থপর দৈত্য

রোজ বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে ছেলের দল দৈত্যের বাগানে ঢুকে খেলা করে। বেশ বড়োসড়ো সুন্দর বাগান। নরম সবুজ ঘাসে ভরা। ঘাসের মধ্যে এখানে ওখানে ফুটে রয়েছে তারার মতো সুন্দর সব ফুল। আর রয়েছে বারোটি পিচ গাছ। বসন্তকালে সেই গাছগুলিতে গোলাপি আর মুক্তো-রঙা ফুল দেখা দেয়, শরতে ধরে ফল। পাখিরা বসে সেই সব গাছের ডালে। … বিস্তারিত পড়ুন

টুনটুনির নৃত্য !

টুনটুনি গিয়েছিল বেগুন পাতায় বসে নাচতে। নাচতে-নাচতে খেল বেগুন কাঁটায় খোঁচা। তাই থেকে তার হল মস্ত বড় ফোঁড়া।ও মা, কি হবে? এত বড় ফোঁড়া কি করে সারবে? টুনটুনি একে জিগগেস করে, তাকে জিগগেস করে। সবাই বলরে, ‘ওটা নাপিত দিয়ে কাটিয়ে ফেল।’ তাই টুনটুনি নাপিতের কাছে গিয়ে বললে, নাপিতদাদা, নাপিতদাদা, আমার ফোঁড়াটা কেটে দাও না!’ নাপিত … বিস্তারিত পড়ুন

কচ্ছপ কেন আস্তে হাঁটে

বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই খরগোশ ও কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতার সেই বিখ্যাত গল্পটি শুনেছ। কিন্তু কচ্ছপ কেন আস্তে হাঁটে তা-কি তোমরা জানো? কী বললে জানো না! আসলে না জানারই কথা। কারণ মহান আল্লাহ একেক প্রাণিকে একেক বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। কচ্ছপের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে আস্তে হাঁটা। তবে কচ্ছপের আস্তে হাঁটার কারণ খোঁজা চেষ্টা করেছে এক বাংলাদেশি। এ সম্পর্কে … বিস্তারিত পড়ুন

হিংসা-বিদ্বেষ

বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই হিংসা-বিদ্বেষ শব্দ দু’টির সঙ্গে পরিচিত এবং হিংসুটে লোকদের আচরণ সম্পর্কে কমবেশি জানো। মানুষের মধ্যে এমন কিছু রোগ আছে যেগুলো চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব হয় না তেমনি হিংসা মানুষের অন্তরের এমন একটি দুরারোগ্য ব্যাধি, যা সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে, সমাজে নানা ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টি করে। হিংসা-বিদ্বেষের ফলে মানুষ কারো বিরুদ্ধে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র … বিস্তারিত পড়ুন

গরু-ভেড়ার অনুতাপ

প্রাচীনকালে বিস্তীর্ণ এক প্রান্তরে পাশাপাশি চলছিল তিনটি প্রাণী। একটি উট, একটি গরু এবং একটি বুনো ভেড়া। চলতে চলতে তারা তাদের ফেলে আসা শৈশব কৈশোর এবং যৌবন নিয়ে কথা বলছিল। সেইসাথে নিজেদের জীবনের সুখকর এবং হাসির বিভিন্ন স্মৃতির কথা বলাবলি করছিল। সময়টা ছিল বসন্তকাল। আবহাওয়াও ছিল উপভোগ্য। খোশ আলাপ করতে করতে পুরনো তিন বন্ধু গিয়ে পৌঁছল … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!