ফেরিওয়ালা বাহরাম

  অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক ফেরিওয়ালা ছিল। তার স্ত্রীর সবেমাত্র এক সন্তান হলো, পুত্রসন্তান। ফেরিওয়ালা তার পুত্র সন্তানের নাম রাখলেন বাহরাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপারটি হলো ছেলেটি শৈশবেই তার ফেরিওয়ালা বাবাকে হারালো। সে কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হলো বাহরামের মাকে। এতো কষ্টের পরও বাহরামের মা চেয়েছিল সন্তানকে উপযুক্ত মানুষ বানাতে। কী করে ছেলেটাকে … বিস্তারিত পড়ুন

বুড়ি ও ব্যবসায়ীর গল্প

  এক বৃদ্ধা মহিলার গল্প। তাঁর ছিল দুটি ছেলে সন্তান। এক ছেলে ছিল গ্রামের মাতবর বা নেতা গোছের। আরেক সন্তানও ছিল বেশ লেখাপড়া জানা। শিক্ষিত এই ছেলের নাম ছিল বাহলুল। এক রাতে এক ব্যবসায়ী এসে বৃদ্ধার ঘরের দরোজার কড়া নাড়ল। বৃদ্ধা দরোজা খুলে দিল। ব্যবসায়ী বৃদ্ধাকে বলল ‘আমাকে তোমার ঘরে থাকতে দেবে? রাত হয়ে গেছে, … বিস্তারিত পড়ুন

খকন চিনের কন্যা

  ফার্সি ভাষার লোক বা ফোক-গল্পগুলোর মধ্যে কিছু আছে বেশ বড়ো। যারা গল্প বলতো হাট-বাজারের খোলা জায়গায় বিভিন্ন কৌশলে আসর জমিয়ে গল্প বলতো। প্রতিদিনই তারা একটু একটু করে বলে দর্শক শ্রোতাদের মনে কৌতূহল জাগিয়ে রাখতো যাতে পরদিনও সবাই বাকি গল্প শুনতে আসে এবং তাই হতো। সবাই গল্প শোনার জন্যে উদগ্রিব হয়ে থাকতো এবং জমায়েতে এসে … বিস্তারিত পড়ুন

সিন্দাবাদের ঈগল

মৌখিক সাহিত্য বলে যেসব সাহিত্য ইতিহাসে ধরা হয়, সেগুলোর মধ্যে কবিতা যেমন আছে তেমনি কিসসা কাহিনী বর্ণনাও আছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের ভাষা যেহেতু বিভিন্ন ঢঙের সেজন্যে কিসসাগুলোও মুখে মুখে সেই ভাষাভঙ্গিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কবিতার ধারাটি ইরানী জনগণের মাঝে বহু আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। এগুলোকে ‘ফাহলাভিয়াত’ বলা হতো। কবিগান যারা করতেন তারা এই ফাহলাভিয়াত হাটে মাঠে … বিস্তারিত পড়ুন

‘সহস্র এক রজনী’র গল্প

কিসসা কাহিনী আর রূপকথার গুরুত্ব সাহিত্যে অপরিসীম। তবে এই সাহিত্যকে মৌখিক সাহিত্য বলে ধরা হয়। মৌখিক মানে হলো আজকাল গল্প যেমন লেখা হয় এবং ছাপা হয়ে বই তৈরি হয়, সেরকম রূপ আগেকার দিনে ছিল না। কারণটা হলো সে সময় না কাগজ ছিল না ছাপাখানা। মুখে মুখে তাই ছড়িয়ে পড়তো গল্প। আধুনিক লিখিত গল্প, ধ্রূপদী গল্প ইত্যাদির … বিস্তারিত পড়ুন

দেয়ালে পেরেকের ক্ষতচিহ্ন

যে কোনো পাড়া মহল্লাতেই কিছু কিছু তরুণ থাকে, যুবক থাকে। পুরো মহল্লার কোথায় কী হচ্ছে, কোথায় কে এলো আর কে গেল তার সকল খবরাখবর তাদের জানা থাকে। এরা মহল্লার মুরব্বিদের দেখলে সমীহ করে। দূর থেকে সালাম দিয়ে মাথা নীচু করে থাকে। এ রকম শ্রদ্ধা সম্মান আবার তারাও আশা করে তাদের ছোটোদের কাছ থেকে। মহল্লার কোনো … বিস্তারিত পড়ুন

‘সুঁইয়ের সূতোটা ছোটো রাখতে হয়’

টেইলার বলতে ইদানীং আমরা বুঝি যারা জামা কাপড় সেলাই করে তাদেরকে। এটি একটি সভ্য পেশা। সভ্যতার শুরু থেকেই এ পেশাটির গুরুত্ব ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। টেইলার শব্দের বাংলা প্রতিরূপ হলো দর্জি। আগেকার দিনে এই দর্জিদেরকে খলিফাও বলা হতো। তবে ইসলামের পরিভাষায় খলিফা বলতে বোঝায় পৃথিবীর বুকে আল্লাহর প্রতিনিধিকে। বাংলাদেশে কিন্তু এখনো দর্জি অর্থে খলিফা … বিস্তারিত পড়ুন

চোর হলেও সাহসী হও

আগেকার যুগে তো আজকালের অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাময় হোটেল কিংবা মুসাফিরখানার ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু বাণিজ্য ছিল, ব্যবসায়ী ছিল, মালামাল নিয়ে তাদের এক শহর থেকে অন্য শহরে, দূর দূরান্তে যাবার প্রয়োজন ছিল। দূরের মুসাফিরদের জন্যে তখন ছিল সরাইখানার ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীরা এসব সরাইখানায় রাতের বেলা বিশ্রাম নিয়ে সকালে আবার রওনা দিতো গন্তব্যে। এরকম সরাইখানার মধ্যে দূর্গের মতো … বিস্তারিত পড়ুন

‘মিস্ত্রীগিরি বানরের কাজ না’

অনেক অনেক দিন আগের কথা। যে কালের কথা বলছি সঠিক দিন তারিখ জানা না গেলেও এটুকু জেনে রাখলেই হবে যে সে সময়টায় গল্প এভাবেই শুরু হতো। গল্পটা অবশ্য জঙ্গলের, মানুষ আর বানরের। বানর কিন্তু অসম্ভব অনুকরণপ্রিয় একটা প্রাণী। অন্যদেরকে যা কিছু করতে দেখবে নিমেষেই তারা তা অনুকরণের চেষ্টা করবে। এটা খুব ভালো অভ্যাস নয়। কেননা … বিস্তারিত পড়ুন

বাদশা জামশিদ ও তার ছেলের গল্প

অনেক অনেক দিন আগের কথা। কোনো এক বাদশার কথা বলছি। ওই বাদশার এক পুত্র সন্তান ছিল। রাজপুত্র। রাজপুত্রের নাম ছিল জামশিদ। জামশিদের বয়স যখন দশে পড়লো তখন তার মা মারা যান। মাতৃস্নেহহীন জীবন তার জন্য ছিল বেশ কষ্টকর হয়ে উঠলো। মনটা তার একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। কোনো কিছুই ভালো লাগছিলো না তার। আনমনা হয়ে থাকতো জামশিদ। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!