চারটে বল করার পর প্রমাদ গুনল মানব। মাত্র সাত রানই হয়েছে। অর্থাৎ বাকি দু’বলে আরও এগারো রান দিতে হবে। মাহেশ্বরীর সাথে সেইরকমই চুক্তি হয়েছে। ষাট লাখ টাকার চুক্তি। অবশ্য সে একা নয়, রাভিন্দরও সঙ্গে ছিল। রাভিন্দর ও তার দু’ওভারে গলাতে হবে অন্তত ত্রিশ রান। তাহলেই ঐ টাকা তারা দু’জনে ভাগ করে নিতে পারবে। কিন্তু হতচ্ছাড়া … বিস্তারিত পড়ুন
পাখিদের সমাজে আজ সোরগোল পড়ে গিয়েছে , সকাল থেকেই চিত্কার চেঁচামেচি আর ব্যস্ততা । আমগাছের ওই মগডালে আজ সভা বসেছে। মানুষগুলো সারাজীবন ধরে পাখিদের জ্বালিয়ে মারছে, হয় খাঁচায় বন্দী করছে, নয়তো উদরস্থ করছে– আরো কত কি!!! তাই সভাপতি ময়না এক প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে। মানুষকে বিরক্ত বা ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিজ্ঞতা লিখে জমা দিতে হবে, আর তার … বিস্তারিত পড়ুন
এখন আমি শহুরে হয়ে গেছি। থাকি শাহরের একটি অভিজাত এলাকায়। দোতলা বাড়র নিচিতলায় ঝুল বারান্দায় একটা কালচে রংয়ের ঝোলানো খাঁচায় আমার বাসা। এখান থেকে দিব্যি দুবেলা মানুষজন, ঘর-বাড়ি, কুকুর-বেড়াল, কাক-শালিক আরো কত কি যে দেখা যায়! এক্ষুনি হয়তো মাথায় ঝাঁকা করে কলা বেচা ফেরিওয়ালাটা অদ্ভুৎ ডাক দেবে – “ক-লা-চা-ই, ক-লা—” পরক্ষনে হয়তো লম্বা ঢ্যাঙ্গা লুঙ্গি … বিস্তারিত পড়ুন
ছোটবেলা থেকেই আমার পাখি পোষার ভীষণ সখ। লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, বা পেঙ্গুইন পেলিক্যান নয়, যে কোন একটা পাখি হলেই হ’ল। এমনকি চড়াই বা গোলা পায়রা হলেও আপত্তি নেই। আমাদের বাড়ির কাছেই একটা জুটমিলের জমিতে একটা শাল কাঠের খুঁটির ওপর কে বা কারা জানিনা, একটা হাল্কা কাঠের বাক্স লাগিয়ে ছিল। তাতে অনেক পায়রার বাস ছিল। বেশীর … বিস্তারিত পড়ুন
তিনতলার দক্ষিণের ঘরে থাকতেন আমার মেজোকাকা বা কাকামণি- সুবিনয় রায়। বাবা মারা যাবার পরে ছাপাখানার তদারকি কাকামণিই করতেন। জার্মানি থেকে তখন নানারকম কাগজের নমুনার বই আসত আমাদের অফিসে। মোটা, পাতলা, রেশমী, খসখসে, চকচকে, এবড়োখেবড়ো, কতরকম যে কাগজ তার ঠিক নেই। কাকামণির ঘরে গেলে তিনি আমার হাতে ওই রকম একটা বই দিয়ে বলতেন- দেখ তো এর … বিস্তারিত পড়ুন
সেই বেলা তিনটা থেকে বার তের বছরের একটি কিশোর হেঁটে চলছে দিনাজপুর শহরের রাস্তার ফুটপাত ধরে। খুঁজে ফিরছে মহাজন পাড়া উত্তর ফরিদপুর এর ৩৩ নং বাড়িটা। কিন্তু তিন চার ঘণ্টা খুঁজেও বাড়িটার সন্ধান পায়নি। এদিকে দিনমণি তার আলো গুটিয়ে বিদায়ের হাতছানি দিয়ে লুকিয়ে গেছে পশ্চিমাকাশে। প্রকৃতি তিমিরের চাদরে আবৃত হওয়ার সাথে সাথে প্রকৃতিতে নেমে এসেছে … বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ঘুরে দেখার মতো অনেক জায়গা আছে। চাইলেই একজন পর্যটক প্রকৃতির কোলে হারাতে পারেন। আমার পছন্দের তিনটি জায়গা আছে। যে তিনটি জায়গা আমাকে কাছে টানে তার প্রথমটি হলো সিলেট, তারপর নেত্রকোনার সুসং দূর্গাপুর এবং পাহাড়িকন্যা রাঙ্গামাটি। সিলেটের প্রতি ভালো করে দেখতে না পারার অতৃপ্ততা আমাকে বারবার যেন কাছে টানে। দূর্গাপুরের প্রতি আছে বিশেষ এক দূর্বলতা।রাঙ্গামাটির … বিস্তারিত পড়ুন
দণ্ডকারণ্যের কথা।উড়িষ্যার মালকানগিরি নামক জাগায় পরিবার নিয়ে তখন বাস করি।গ্রামের নাম পদমগিরি।সেখানে আমি আর আমার স্ত্রী শিক্ষকতা করতাম। সে ছিল অজ পাড়াগাঁ।গাঁ থেকে বড় রাস্তা ছিল পাঁচ কিলো মিটার দূরে।মেঠো রাস্তায় সাইকেল ছাড়া কখনো সখনো দু একটা বাইক চোখে পড়ত।গরুর গাড়ির যাতায়াত ছিল সবচে বেশী।রাত হলে মনে হতো জন মানবহীন কোন দ্বীপে বাস করছি।কেরোসিনের ল্যাম্প,বড় … বিস্তারিত পড়ুন
বিশ্বদীপ মামা বলল অতি কৌতূহল ভলো নয়। অতি কৌতূহলের ফলও ভালো হয়না। আমরা বললাম, কেন? এ ব্যাপারে গল্পের ঝুলিতে কিছু গল্প রয়েছে নাকি? শুনি তাহলে। বিশ্বদীপ মামার গল্পের ঝুলি কখনো খালি হয় না। অতি কৌতূহল বিষয়ক একটা গল্প ঝুলিতে রয়েছে দেখতে পাচ্ছি, তবে গল্পটা ঝুলিতে ঢুকে পড়েছে কিভাবে সেটা কিন্তু বলতে পারব না। শোন তবে, … বিস্তারিত পড়ুন
একবার সেজদার মাথায় ম্যাজিক ভর করল। আমার তখন কতই বা বয়স? ক্লাস টু বা থ্রি-তে পড়ি। আজ থেকে প্রায় বছর কুড়ি-বাইশ আগেকার কথা। যাই হোক, সেবার গ্রামের বাড়ি গিয়েই সেজদার পাল্লায় পড়লাম। আমায় পাকড়াও করে নিয়ে এল নিজের ঘরে – “এই দ্যাখ।” একটা দু’টাকার নোট তুলে দেখালো সেজদা – “এটাকে আমি ভ্যানিশ করে দেব।” উৎসুক … বিস্তারিত পড়ুন
দুঃখিত!